কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের প্রথম পর্ব ।। 10% beneficary for @shyfox ❤️
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই
আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। যে যেখানেই থাকেন,সতর্ক থাকুন। মিতব্যয়ী হওয়ার চেষ্টা করুন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশি ভাল না। বাজারের অবস্থা,মার্কেটের অবস্থা খুবই খারাপ। বাংলাদেশের বাজার সরকারের অনিয়ন্ত্রিত থাকার কারনে দিন দিন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে আর টাকার মান দিন দিন কমছে। এশিয়ার মধ্যে টাকার মান সবার নিচে চলে এসেছে। ২০২৩ সাল নিয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলতেছে। যায়হোক এই বিষয়ে অন্যদিন বড় একটি পোষ্ট সেয়ার করবো। আজকে অনেক দিন আগের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের প্রথম পর্ব সেয়ার করবো। চলুন শুরু করা যাক।
গত বছর কোন এক বৃহস্প্রতিবারে সকাল দশটার সময় হঠাৎ করে আমার ছোট ভাই তার মাদ্রাসা থেকে কোন এক হুজুরের মোবাইল থেকে আমাকে কল দিলো। আমি অপরিচিত নাম্বার দেখে রিসিপ করে সালাম দিলাম। অপর পাশ থেকে আমার ছোট ভাই সালাম দিয়ে বললো ভাই আমি নাইম। আমি বললাম এটা কার নাম্বার সে বললো এটা আমাদের হুজুরের নাম্বার। আমি বললাম হঠাৎ হুজুরের নাম্বার থেকে কল দিলি কোন সমস্যা নাকি..? সে বললো না। তেমন কোন সমস্যা না। আমাদের মাদ্রাসা থেকে একটি বাস কক্সবাজার যাবে। তারা চল্লিশ হাজার টাকা দিয়ে বাসটি রিজার্ভ করেছে। এখন চল্লিশ জন হয়েগেছে, ইচ্ছা করলে আরো পাচঁ ছয়জন যেতে পারবে, আপনি যাবেন কি না। আমি বললাম কত টাকা করে সে বললো আসা যাওয়া এক হাজার টাকা। আর খাওয়া দাওয়া নাস্তা পানি সব নিজের খরচ। আমি বললাম কখন যাবে সে বললো আজ রাত ৮ টার সময় বাস ছেড়ে যাবে। আমি কিছুক্ষন চিন্তা ভাবনা করে বললাম ঠিক আছে তর আর আমার জন্য দুইটি সিট বুকিং কর।
আমার ছোট ভাই ঢাকা জুরাইন পোকাড় বাজারে একটি কওমি মাদ্রাসায় পড়ে। আমি অফিস শেষ করে সন্ধা সাড়ে সাতটার আগে তাদের মাদ্রসায় পৌছে গেলাম। গিয়ে দেখলাম মাদ্রাসার হুজুর ছাত্ররা রেডি হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতেছে। আমি বাসা থেকে খেয়ে গেছিলাম ছোট ভাইও মাদ্রাসা থেকে খাওয়া দাওয়া করেছে। ঠিক আটটার সময় শনির আখড়া বাস এসে বাসের ড্রাইভার হুজুরকে ফোন দিলো। হুজুর সবাইকে নিয়ে শনির আখড়া গেল। মাদ্রাসার ছাত্ররা অনেক খুশি। জীবনের প্রথম কক্সবাজার যাচ্ছে খুশি হওয়ারই কথা। আমরা গেয়ে দেখি CDM নামের একটি বাস শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ডে দাড়ানো আছে। সবাই খুশি মনে বাসে উঠে যার যার সিটে বসে গেল।
আমি আর আমার ছোট ভাই এক চল্লিশ এবং বিয়াল্লিশ নাম্বার সিটে বসলাম। আমাদের পিছনে আরো কয়েক জন বসলো। প্রায় নয়টার দিকে বাস সবাইকে নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা দিলো। প্রায় সোয়া দশটার দিকে উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, দাউদকান্দি, কুমিল্লা নামের রাস্তার পাশে একটি মসজিদে বাস থামলো। সবাই সেখানে এশার নামাজ পড়ার জন্য নেমে পড়লো। মসজিদ টি খুবই সুন্দর। মসজিদের কারুকার্য দেখে আমার মনটা ভরে গেল। রাস্তা থেকে মসজিদটি অনেক উচুতে অবস্থিত। পনের বিশ মিনিটের মাঝে সবাই নামাজ শেষ করে আবার বাসে এসে স্ব স্ব সিটে বসে পড়লো। সব সিট চেক করে বাস আবার কক্সবাজারের দিক চলতে লাগলো।
বাসে উঠে সবার ঘুম দিলো। আমার আবার জার্নি করা অবস্থায় গাড়িতে বা ট্রেনে ঘুম আসে না। আমি ঘুমের বান ধরে চোখ বন্ধ করে বসে রইলাম। রাত প্রায় সাড়ে এগারোটার দিকে কোর্টবাড়ি কুমিল্লার উজালা হাইওয়ে হোটেলে এসে বাস আবার থামলো। সেখানে বাস থামার উদ্দ্যেশ্য হলো কেউ কিছু খাবে কিনা বা কারো কোন টয়েলেটে যাওয়া লাগবে কিনা সে জন্য। অনেকে বাস থেকে নেমে হালকা পাতলা নাস্তা করলো। দশ মিনিটের বিরতি দিয়ে বাস আবার নিজ গতিতে চলতে লাগলো।
উজালা হাইওয়ে হোটেল থেকে বাস ছেড়ে রাস্তায় আর কোথাও থামে নাই। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ডলফিন মোড়,কলাতলি বিচ,কক্সবাজার মেরিন ফুডস রেস্তোরার সামনে বাস থামলো। সেখানে সবাই সকালের নাস্তা খেয়ে সি-বিচ গেলাম। বিচে গিয়ে কি কি করলাম সে গুলো দেখতে পারবেন দ্বিতীয় পর্বে....। আল্লাহ হাফেজ।।
বন্ধুরা আজকে এখান থেকেই বিদায় নিতেছি। আবার আগামীকাল দেখা হবে। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। বাড়ির চারপাশ নিজ দায়িত্বে পরিষ্কার রাখবেন। ধন্যবাদ।।
দেখা হবে দ্বিতীয় পর্বে.........
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ক্যামেরা | রেডমি নোট-৭ প্রো |
ধরন | কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের প্রথম পর্ব |
সময় | ৯.০০PM |
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলে কোথাও ঘুরতে গেলে হুটহাট সিদ্ধান্ত না নিলে হয়না। আসা যাওয়া ভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা বিশাল সুযোগ এটা। সিদ্ধান্তটা নিয়ে ভালোই করছেন। কুমিল্লার উজালা রেস্টুরেন্টে কয়েকবার গিয়েছি, মোটামুটি ভালো এটা। আর বেশ সকাল সকাল পৌঁছাতে পেরেছেন দেখছি কক্সবাজারে। নাস্তা করেই সিবিচে নেমে পরেছেন।
দ্বিতীয় পর্বে নিশ্চয়ই কক্সবাজারের চমৎকার কিছু ছবি দেখতে পাবো।
জী ভাইয়া চট্রগ্রামে একটু জ্যাম পড়ছিলো না হয় আরো আগে যেতে পারতামন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কোথাও হুট করে ঘুরতে গেলে সেটার মজাই আলাদা। আমার কাছে সেটা সারপ্রাইজ মনে হয়। আপনি আপনার ছোট ভাইয়ের সাথে ঘুরতে গিয়েছেন এবং যে মসজিদে নামাজ পড়েছেন সেই মসজিদটা অনেক সুন্দর।
জী আপু মসজিদটা দেখে আমার কাছেও অনেক ভাল লাগছে। ধন্যবাদ আপু।
কক্সবাজার ভ্রমণের সুন্দর একটি বড়রা আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। দাউদকান্দি মসজিদে নামাজ পড়া, উজান ভাটি হোটেলে খাওয়া দাওয়া আর মসজিদের ছবি সবই ছিল যেন প্রাণবন্ত।
জি আপু মসজিদ আর হোটেল দুইটি আলাদা আলাদা সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপু।
যে কোন জায়গায় যাওয়ার জন্য ৩-৪ মাস ধরে প্ল্যান করলে, সেই প্ল্যান ক্যান্সেল হবেই। আমাদের এই করে অনেক প্ল্যান ক্যান্সেল হয়েছে। এ ভাবেই বেড়িয়ে পড়বেন। দেখবেন দারুণ মজাও হয় আচমকা কিছু পাওনা তে। যাই হোক আপনার ভ্রমণ দেখে মনে হচ্ছে এখন কক্সবাজারে সবাই যাচ্ছে। কারণ দুদিন আগেই দেখলাম আরেকজন পোস্ট করেছেন। খুব ভালো বিষয়। আনন্দ করুন।
জী আপু মাঝে মাঝে ঘুরতে গেলে মনটা রিফ্রেশ থাকে। ধন্যবাদ আপু।
আসলে কোথায় ও যেতে চাইলে দিন তারিখ ঠিক করে যাওয়া কঠিন ব্যাপার।আর আপনি এমন সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে হাত ছাড়া করেনি জেনে ভালো লাগল। আপনি আপনার ভাইয়ের সাথে পিকনিক গিয়েছেন
সেখান নামায পড়ে আবার রওনা দিলেন বেশ ভালো লাগল।যাইহোক তারাতাড়ি পৌঁছাতে পেরেছেন তার পর নাস্তা করে সিবিচে নেমে পড়ছেন। পরবর্তী পর্বের জন্য আপেক্ষায় থাকলাম।
জী আপু ভাবলাম সুযোগটা কাজে লাগাই। তাই হুট করেই চলে গেলাম। ধন্যবাদ আপু।
আমার আগের থেকে পরিকল্পনা করার থেকে হুটহাট কোথাও বেড়াতে গেলে খুবই ভালো লাগে। আপনি খুব সকালেই পৌঁছে গেছেন কক্সবাজারে। আপনি আপনার ছোট ভাইকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছেন কক্সবাজারে। ছোট ভাই বোনদের সাথে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে আমার। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু হুটহাট কোথাও গেলে ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু।