ঔষধি গুণে ভরা গিমা শাকের রেসিপি।।
আসসালামু আলাইকুম,
হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। প্রতিদিনের মত আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের পোষ্টের বিষয় হলো ঔষধি গুণে ভরা গিমা শাকের রেসিপি। চলুন নিচে বিস্তারিত বর্ণনা করছি।
বন্ধুরা আমি জানিনা আপনারা গিমা শাক চিনেন কিনা। যারা ছোট থেকে শহরে বড় হয়েছে তারা হয়তো গিমা শাক চিনতে পারবে না। তবে যারা শিশুকাল,শৈশব,কৈশর গ্রামে কাটিয়েছে,যারা গ্রামের তেলে জলে মানুষ হয়েছে, তারা সবাই গিমা শাক কে চিনতে পারবে। গ্রামের খালের কিনারে,পুকুর পারে,নদীর ধারে,খেতের আইলে,সবজি খেতে গিমা শাক জন্মে থাকে। যারা এই শাকটা চিনে তারা খুব যত্ন করে এই শাকটা তুলে নিয়ে আসে। এই শাকটা খেতে অনেক তিতা। যার ফলে এই শাকের সাথে আলু বা অন্য কোন সবজি ছাড়া খাওয়া যায় না। এই শাকের অনেক উপকার রয়েছে।
- ঔষধি গুণে ভরা গিমা শাকের উপকারিতা
গিমা শাক স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক উপকারী। যাদের চোখে পেচুটি পড়ে তারা গিমা পাতার কয়েক ফোটা রস চোখে দিলে পেচুটি পড়া বন্ধ হয়। অম্ল পিত্তের কারণে যাদের বমি হয়, তারা গিমা পাতার ১ চামচ রসের সাথে আমলকী ভিজানো পানি আধা কাপ মিশিয়ে সকালে খেলে অচিরেই বমিভাব দূর হয়ে যাবে। লিভারের সমস্যা দেখা দিলে সপ্তাহে ৩/৪ দিন অল্প পরিমাণে গিমা শাক ব্যবহার করলে যকৃতের ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে আসে। “ওয়াট সাহেব তার গ্রন্থে লিখেছেন, গিমা শাক বেটে গায়ে মাখলে চুলকানি ও অন্যান্য চর্মরোগ সেরে যায়”। “আয়ুর্বেদাচার্য কালীপদ ভট্রাচার্য তার গ্রন্থে লিখেছেন তিনি নিঃসন্দেহ যে মহিলারা ডিসমেনোরিয়ায় ভুগলে গিমা শাক খেলে সে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। তবে যাদের স্রাবের অধিক্য আছে তারা এটা খাবেন না।”
সর্বোপরি আহার্যের সাথে মাঝে মাঝে শাক হিসেবে বা ফুলুরির মতো বড়া করে গিমা শাক খেলে কিছু না কিছু উপকার হয়। যায়হোক চলুন এখন রেসিপিটির বিস্তারিত বর্ণনা দেখি।
প্রয়োজনীয় উপকরন-

- গিমা শাক
- আলু দুইটি
- পেঁয়াজ কুচি
- রসুন বাটা
- আদাঁ বাটা
- কাচাঁ মরিচ
- লবন
- হলুদ
- জিরা গুড়া
- সয়াবিন তেল
ধাপে ধাপে গিমা শাকের রেসিপি তৈরীর বিবরণ দেখানো হলো:-

প্রথমে চুলাতে কড়াই বসিয়ে তেল দিয়ে দিলাম। তেলটা গরম হওয়ার পরে পেয়াজ আর কাচঁমরিচ দিয়ে দিলাম।
পেয়াঁজ গুলো একটু হলুদ হয়ে আসলে আদাঁ বাটা,রসুন বাটা আর জিরা বাটা দিয়ে সব কিছু এক সাথে মিক্স করে নিলাম।
তারপর ছোট ছোট টুকরো করে রাখা আলু গুলো কড়াইতে দিয়ে দিলাম। দশ থেকে পনের মিনিট সময় নিয়ে আলো গুলো সিদ্ধ করে ভাজা ভাজা করে নিলাম।
তারপর বেছে রাখা গিমা শাক গুলো আলুর সাথে কড়াইতে দিয়ে দিলাম। গিমা শাক গুলো কড়াইতে দেওয়ার সাথে সাথে মিশে গেছে। এখানে গিমা শাকের তুলনায় আলুর পরিমান বেশি হয়ে গেছে। আলু বেশি দেওয়ার কারনে একটি উপকার হয়েছে,খেতে বেশি তিতা লাগে নাই। পাঁচ মিনিটের মত রান্না করে রেসিপিটা শেষ করে দিলাম।
পরিবেশন
বন্ধুরা আজকে এ পর্যন্তই। কেমন হলো আমার আজকের গিমা শাক রেসিপিটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।। আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভাল লাগবে। যদি কোথাও কোন প্রকার ভুল হয়,ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভাল থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কিছু নিয়ে।
ফটোগ্রাফির বিবরণ:
ডিভাইস | মোবাইল |
---|---|
মডেল | রেডমি নোট-৮ |
রেসিপির নাম | ঔষধি গুণে ভরা গিমা শাকের রেসিপি |
স্থান | নিজের বাসা |
কমিউনিটি | আমার বাংলা ব্লগ |
ফটোগ্রাফার | @joniprins |
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
আপনি ত সেই ছোটবেলার কথা মনে করিয়ে দিলেন। গিমা শাক খেতে চাইতাম না আম্মা জোর করে খাওয়াতেন। শাকের ছবি দেখেই আমার ভাল লেগেছে। গীমা শাক কিছুটা তিতা বলে অনেকেই খেতে চায় না তবে অনেক গুণাগুণ সম্পন্ন এই শাক। আপনি শাক তৈরী করার রেসিপি খুব সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
জী ভাইয়া আমার আম্মুও প্রথম প্রথম জোর করে খাওয়াতো। এখন আমি নিজেই খায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
গিমা শাক দিয়ে আলু দিয়ে এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি।তুবে দেখে বোঝা যাচ্ছে আসলেই পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু হয়েছে ।আমাদের বাড়ির আশেপাশেও এই শাকগুলো রয়েছে। তবে সব সময় পাওয়া যায় না । বিশেষ কিছু সময় পাওয়া যায় ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একবার খেয়ে দেখবেন। অনেক ভাল লাগবে। ধন্যবাদ আপু।
আমি গিমা শাক খেয়েছি। এটি করলার মতো তিতা হয়।তবে আমার কাছে খেতে বেশ ভালো লাগে।আপনার গিমা শাকের রেসিপি টা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু এটি করলার মত তিতা। ধন্যবাদ আপু।
এই শাকগুলোকে আমরা ডিমি শাক বলি। গিমা নাম এই প্রথম শুনলাম। তবে অনেকদিন আগে এভাবে এই শাকগুলো দিয়ে আলু দিয়ে রান্না করে খেয়েছিলাম। আপনার রেসিপিটি দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু এলাকা বেধে অনেক নাম থাকতে পারে। ধন্যবাদ আপু।
এই গিমা শাক খুব তেতো হয়, আমি তেমন পছন্দ করি না।তবে আমার আব্বুর খুব প্রিয়। আব্বু প্রায়ই এনে খায়।আপনার রেসিপি দেখে মনে পরল।ধন্যবাদ ভাইয়া ঔষধি গুন সম্পন্ন এই গিমা শাকের রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই শাকটা আমার খুব প্রিয়। আমি প্রায় সময়ই খেয়ে থাকি। ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি যে শাককে গিমা শাক বলছেন এই শাককে আমরা শান্তি ঘাস বলে থাকি। আমার কথায় কিছু মনে করবেন না। আজকে বিকালেও আমি এই ঘাস কেটে এনে ছাগলকে দিয়েছি। গ্রাম অঞ্চলে মানুষগুলো এটা খায় না। তবে এটা ঠিক বলেছেন এগুলো পুকুরের পাশেই প্রচুর পরিমাণে জন্মে থাকে। তবে এটা আমার জানা ছিল না এটি একটি ঔষধি গাছ। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই গাছ সম্পর্কে নতুন একটি তথ্য দেওয়ার জন্য। কোন জন্য শুভকামনা রইল।
জী ভাইয়া এগুলোর গুন না জানার কারনে সবাই খায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গিমা শাকের রেসিপিটা খুব সুন্দর হয়েছে ভাই। গিমা শাক অনেকদিন আগে খেয়েছিলাম। গিমা শাক খেতে তিতা হলেও এই শাকের উপকারিতা অনেক। আপনার রেসিপিটা আমার কাছে খুব ইউনিক লেগেছে। রেসিপির পরিবেশনাও চমৎকার হয়েছে। ধাপে ধাপে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জী ভাইয়া এগুলো তিতা বলেই এত উপকারিতা। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গিমা শাকের রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তবে এই শাকের নাম প্রথম শুনলাম।অনেক উপকারী এই রেসিপি। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জী ভাইয়া এই শাকের অনেক গুন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
গিমা শাক নামটা প্রথম শুনলাম।যেহেতু ঔষধি গুণ ভরা শাক।তাহলে তো খেতেই হবে।আপনার রান্নার প্রক্রিয়া দেখে খেতে ইচ্ছে করছে,পরিবেশন টা চমৎকার লাগছে।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জী আপু একবার খেয়ে দেখবেন। ধন্যবাদ আপু।