শুভ বিকেল সবাইকে,
প্রিয় কমিউনিটির সম্মানিত ব্লগার ভাই ও বোনেরা আসসালামু আলাইকুম। বন্ধুরা আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। পরিবার পরিজনকে নিয়ে কেমন সময় কাটল আপনাদের? নিশ্চয়ই ভালো সময় কাটালেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন। আমিও ভালো আছি এবং সুস্থ আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আবার হাজির হয়ে গেছি নতুন রেসিপি নিয়ে। সবাইকে শুভেচ্ছা ও স্বাগতম জানাচ্ছি আমার আজকে এসেছি ব্লগে। বন্ধুরা সপ্তাহে সাত দিন সাত রকমের পোস্ট শেয়ার করতে চেষ্টা করি। যদিও রেসিপিগুলো তৈরি করতে ইদানিং বেশ কষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পোস্টের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য অবশ্যই রেসিপি গুলো তৈরি করে নিতে হয়। ইদানিং এত বেশি গরম রান্না করে ঢুকলেই মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়।

যেহেতু অতিরিক্ত গরমের মধ্যে বেশিক্ষণ রান্না করা যায় না তাই রেসিপি নিতে বেশ কষ্ট হয়। বিশেষ করে দীর্ঘক্ষণ রান্না ঘরে থাকলেই ইদানিং একটি বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে তা হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায়। তাই যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে রেসিপিগুলো কিভাবে তৈরি করা যায় তার চেষ্টা করি। এই রেসিপি যদিও আজকে বা কালকে করি নাই। রেসিপিটি সপ্তাহ খানেক আগে তৈরি করেছিলাম। তখন বাজার থেকে একটি বড় সাইজের মাছ আনা হয়েছিল কোরাল মাছ। সামমুদ্রিক কোরাল মাছ খেতে খুবই ভালো লাগে। আমাদের এদিকে এই মাছকে কোরাল মাছ বলা হয়। তবে আপনারা কি নামে চিনেন এই মাছ কে আমি জানিনা। এই মাছ খেতে এত ভালো লাগে সত্যি মুখে লেগে থাকার মত একটি মাছ।

তাছাড়া বাজারে এই মাছের প্রচুর পরিমাণ চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে দামে অনেক বেশি অন্যান্য মাছের তুলনায়। তাই এই মাছ বাজার থেকে আনলে আমারও অনেক ভালো লাগে। এই মাছ যেদিন রান্না করছিলাম সেই দিন বাসায় কচুর মুখি তরকারি ছিল। যেহেতু কচুর মুখি আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া ও বড় মাছের মধ্যে কচুর মুখি দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই মজার হয়। তো আমি চিন্তা করলাম যে কচুর মুখি দিয়ে সামুদ্রিক কোরার মাছের রেসিপি তৈরি করি। যে চিন্তা ভাবনা সে কাজ বন্ধুরা রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। কচুর মুখি দিয়ে যে কোন মাছ রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে যায়। আজকে বন্ধুরা সেই রেসিপিটি নিয়ে আমি হাজির হয়েছি। আশা করি রেসিপি তৈরি করার প্রসেস গুলো আপনাদের দেখে ভালো লাগবে—

রেসিপির প্রয়োজনীয় উপকরণ সমূহঃ |

বন্ধুরা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্রথমে আমি উপকরণসমূহ পরিমাণ মতো উল্লেখ করেছি এবং পরিমাণ মত আপনাদেরকে নিয়ে দেখিয়েছি। মাছ পরিস্কার করে ধুয়ে নিয়েছি। আর কচুর মুখি খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
কচুর মুখির সাথে কোরাল মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরীর ধাপ সমূহঃ
রান্নার ধাপ-১
বন্ধুরা প্রথমে তো আপনাদেরকে উপকরণ সমূহ নিয়ে দেখালাম। এখন সরাসরি আমি রান্নার ধাপে চলে যাচ্ছি। রান্না করার জন্য একটি পাত্র চুলায় বসিয়ে দিয়েছি। সেখানে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে গরম হওয়ার জন্য অপেক্ষা করবো। যখন তেল গরম হয়ে আসে তখন কুচি করে রাখা পেঁয়াজ এবং রসুনগুলো দিয়ে দিছি।

রান্নার ধাপ-২
রসুন এবং পেঁয়াজের মধ্যে আমি সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়েছি যাতে রসুন এবং পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি সফট হয়ে আসে। কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নেওয়ার পরে শুকনো উপকরণ গুলো দিয়ে দিলাম।

রান্নার ধাপ-৩
সব মসলার উপকরণগুলো দেওয়ার পরে ভালোভাবে কষিয়ে নিয়েছি। এরপরে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা কচুর মুখি দিয়ে দিলাম এবং সিদ্ধ করে নিতে হবে।

রান্নার ধাপ-৪
যখন কচুর মুখি গুলো সিদ্ধ হয়ে আসে তখন পরিষ্কার করে ধুয়ে রাখা মাছের পিস গুলো দিয়ে দিলাম। মাছগুলোকে সিদ্ধ করে নিতে হবে কিছুক্ষণের জন্য।

রান্নার ধাপ-৫
মাছগুলোকে কিছুক্ষণ কষিয়ে নেওয়ার পরে পরিমাণ মতো হালকা ঝোল দিয়ে আবারও সিদ্ধ করে নিলাম। এভাবে যখন পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে আসে তখন চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো। এভাবে তৈরি হয়ে যায় কচুর মুখি দিয়ে কোরাল মাছের সুস্বাদু রেসিপি।

রেসিপির পরিবেশনা
যখন রেসিপিটি পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যায় তখন আমি আপনাদের সাথে উপস্থাপন করে নিয়েছি। আশা করি বন্ধুরা আমার আজকের সুস্বাদু রেসিপিটি আপনাদের দেখে ভালো লাগবে। আমি চেষ্টা করেছি রেসিপির পুরো ধাপ গুলো আপনাদের সাথে বিস্তারিত শেয়ার করে নেওয়ার। আপনারা দেখে বুঝতে পারছেন খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। কচুর মুখি দিয়ে যেকোন সবজি কিংবা মাছ রান্না করলে আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। তাই প্রায় সময় চেষ্টা করি বড় মাছের সাথে কচুর মুখি দিয়ে রান্না করার। বন্ধুরা আপনাদের কেমন লাগলো আমার আজকে শেয়ার করা রেসিপিটি মতামত দিয়ে জানালে অনেক ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।




ডিভাইসের নাম | Wiko,T3 |
মডেল | W-V770 |
ফটোগ্রাফার | @samhunnahar |
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
আজ এখানে আমার লেখা সমাপ্তি করছি। আবার উপস্থিত হব নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সবাই সুস্থ থাকবেন আর ভাল থাকবেন।
💘ধন্যবাদ সবাইকে💘
@samhunnahar
আমার পরিচয়
আমি সামশুন নাহার হিরা। আমার ইউজার আইডি @samhunnahar। আমি আমার বাংলা ব্লগে কাজ করছি বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে। আমি বাংলা ভাষায় লিখতে-পড়তে ভালবাসি। আমি রান্না করতে পছন্দ করি। ভ্রমণ আমার কাছে অনেক ভাল লাগে। আমি সব ধরনের ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি গান গাইতে এবং কবিতা আবৃত্তি করতে ভীষণ ভালবাসি। আমার মনের ভাব বাংলায় প্রাকাশ করতে পেরে অনেক আনন্দিত। তার জন্য আমার প্রাণের কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"কে অনেক ভালবাসি।



মাথা যন্ত্রণা একবার শুরু হলে কিচ্ছু ভালো লাগে না।আপনি চমৎকার সুস্বাদু করে লোভনীয় কোরালা মাছের রেসিপি করেছেন কচুরমুখী দিয়ে। আমার খুব পছন্দের সবজি কচুরমুখী।ধাপে ধাপে সুস্বাদু রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় রেসিপিটি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আমার রেসিপিটি দেখে ভালো লাগার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কচুর সমন্বয়ে মাছের সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। আপনার রেসিপি তৈরি করতে দেখে বেশ ভালো লেগেছে আমার। তবে এই মাছটা সম্ভবত নদীর মাছ। যার জন্য আমার কাছে একটু অপরিচিত মনে হলো। রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো আশা করি খুবই সুস্বাদু ছিল।
হ্যাঁ ভাইয়া নদীর মাছ ছিলো আর খেতে বেশ সুস্বাদু ছিলো।
সামুদ্রিক কোরাল মাছ কখনো খাওয়া হয়নি। কচুর মুখির সাথে কোরাল মাছের চমৎকার রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। মনে হচ্ছে খেতে দুর্দান্ত হয়েছিল। অসাধারণ একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি দেখে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
https://x.com/nahar_hera/status/1855304246310388070?t=gEkqKAVYkRnkODX-etA78Q&s=19
আপু ঢাকায় কিন্তু বর্তমানে ততটাও গরম নয়। আমার কাছে এই সময়টা খুব ভালো লাগে। কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে পরিবেশ মোটামুটি ঠান্ডা রয়েছে। যাই হোক সামুদ্রিক কোরাল মাছের খুবই মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। কচুর মুখী খেতে আমি খুব পছন্দ করি। এভাবে মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আজকে আপু আবার অনেক বেশি গরম ছিল। বলতে গেলে সহ্য করা যায় না এমন গরম।
কচুর মুখির সাথে কোরাল মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখেই খুবই মজাদার মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করছে। রেসিপি পরিবেশ আমার কাছে দারুন লেগেছে। আর আপনার ধাপে ধাপে উপস্থাপন দেখে শিখে নিলাম।
সময় দিয়ে রেসিপিটি ভিজিট করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
কোরাল মাছের রেসিপি এখন পর্যন্ত কোন দিন খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথম এই মাছের নাম শুনে পারলাম। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কচুর মুখির সাথে কোরাল মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার হাতে তৈরি করা এতো সুন্দর একটি মাছের রেসিপি দেখে বেশ ভালো লাগলো।আর আপনি রেসিপি তৈরি করতে বেশ পারদর্শী।
এই মাছের অন্য কোন নাম আছে কিনা জানিনা তবে এই নামে আমরা পরিচিত। বিশেষ করে খেতে খুবই ভালো লাগে।
কচুর মুখি দিয়ে কোরাল মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। কচুর মুখি দিয়ে যেকোনো মাছ রান্না করলে অনেক সুস্বাদু হয়। বিশেষ করে কচু মুখি দিয়ে ইলিশ মাছ রান্না করলে এটি নাকি অত্যন্ত সুস্বাদু হয়। সুন্দর ও সুস্বাদু রেসিপিটি প্রত্যেকটি ধাপে বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কচুর মুখি আমার বেশ পছন্দের। বিশেষ করে ইলিশ মাছের সাথে আমারও খেতে খুবই ভালো লাগে।
এই কচুর মুখি আমার ভীষণ পছন্দ। ইলিশ মাছ দিয়ে রান্না করলে আরো অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে খেতে। কোরাল মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। এই মাছগুলো নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু। রেসিপিটা দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
যে কোন মাছের সাথে কচুর মুখি দিলে খেতে খুবই ভালো লাগে আপু।
কচুর মুখী খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আর আপনি তো দেখছি কোরাল মাছের সাথে মজাদার ভাবে এটির রেসিপি তৈরি করেছেন। কোরাল মাছ খেতেও আমি অনেক পছন্দ করি। আপনার তৈরি করা এই রেসিপি দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে। নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক মজা করে খেয়েছেন। সবার মাঝে সুন্দর করে শেয়ার করে নিলেন দেখে ভালো লাগলো।
নিজের রেসিপি সম্পর্কে এত সুন্দর সুন্দর মতামত জানতে পারলে অনেক ভালো লাগে আপু🙂🙂।