পৃথিবীর শ্রেষ্ট আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক ১০% সাই ফক্স ও ৫% এবিবি স্কুল
আসসালামু আলাইকুম /আদাব
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন আশা করি ভালো আছেন। আমি ও আল্লাহর অশেষ রহমাতে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি মোটিভেশান পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আমি যে বিষয় নিয়ে কথা বলবো। তা হলো মানুষের বিবেক নিয়ে, এটাই বুঝাতে চাই যে পৃথিবীর শেষ্ট আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। আজকে যদি মানুষের জ্ঞান বুদ্ধি বিবেক সঠিক পন্থায় ব্যবহার হতো তাহলে আজকে আমাদের এত আদালতের দরকার হতো না।তাই সবাই আমার পোস্টটি মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য অনুরোধ রইলো। সুন্দর মতামত দিয়ে ও কমেন্ট করে পাশে থাকবেন। এবং পোস্টটি লেখা কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাবেন।
ছোট বেলা থেকেই , আইন আদালত, কোর্ট-কাচারি, এসব শব্দের সাথে পরিচিত। কে শিক্ষিত কি অশিক্ষিত আমাদের দেশে একটা প্রচলন কথা আছে বাঙালকে হাইকোর্ট দেখাও,এ থেকে বঝা যায় সাধারণ মানুষ শিক্ষা না থাকলেও বাংগালীরা বুঝে।মানুষের বিবেক হলো সর্বোচ্চ আদালত, কিন্তু মাঝে মাঝে ধর্মীয় কারণে মানুষ তার নিজের বুদ্ধি, বিবেক বর্জন করে।মানুষের মন বড় বিচিত্র, কখন কিসের পক্ষ, আবার কখন কিসের বিপক্ষে চলে যায় সেটা বলাই মুশকিল। আমি খারাপ কাজ করলে তার পক্ষে দশটা জাস্টিফিকেশন খারা করবো,আর অন্য কেউ করলে তার কথা কানেই তুলবো না। বার বার বলবো সব বুঝিছি, তবুও তুমি এ কেন করলে।আমরা সব সময় নিজের বেলায় আঁটিসাঁটি আর অন্যের বেলায় দাঁত কপাটি।
শিক্ষা মানুষের বিবেককে জাগ্রত করে।কিন্তু কতটা সুশিক্ষা আমরা পাচ্ছি, বা গ্রহণ করছি তার উপর নির্ভর করে আমাদের বিবেক কতটা লোভ পাচ্ছে।বিবেককে বলা হয় নাকি সবচেয়ে বড় আদালত। আচ্ছা আদালতে কি হয়? বিচার হয়।একপক্ষ থাকে ন্যায়ের পক্ষে, আর আরেক পক্ষ থাকে, অন্যায়ের পক্ষে। উভয়ের মতামত শুনে আইন অনুযায়ী বিচারক বিচার করেন।আপনি যেহেতু মানুষ আপনি হচ্ছেন সেই বিচারপতি, যাকে ভালো মন্দ বুঝে রায় দিতে হয় প্রতিটি ক্ষেএেই।আচ্ছা বিবেক অর্থ কি?বিবেক অর্থ হচ্ছে চিন্তার রায়।আপনি আপনার চিন্তা শক্তিকে ব্যবহার করে উক্ত বিচারপতির মতো রায় দিতে পারেন প্রতিটি ক্ষেএে। কিন্তু আপনি যদি অন্যায়ের পক্ষে রায় দেন, তাইলে তো আপনি একজন সুন্দর বিবেক সম্পন্ন মানুষের মতো মানুষ থাকলেন না।
এবার বলি মানুষের বিবেক কেমন মানুষ দুইধরনের। এক হচ্ছে স্বার্থপর,যে নিজের স্বার্থটাই আগে দেখে, ভালো মন্দ যাচাই করে বিচার করে না।আরেক হচ্ছে, ওই মানুষটাই যে ভালো মন্দ যাচাই করে বিচার করে।কিন্তু এ জমানায় ভালো মানুষের বড়ই অভাব। ভালো মানুষ খুজে পাওয়া বড়ই মুশকিল। স্বার্থপর ব্যক্তিরা অন্যের স্বার্থ দেখে না, সবসময় নিজের স্বার্থ টাই আগে দেখে। তাদের চিন্তা ভাবনাই হলো এটা যে, আমার লাভ যেখানে আছে আমি ও সেখানে আছি। কিন্তু অন্যের কাজে মাথা ঘামানো আমার লাভ কি, আমার প্রয়োজন মিটালে আমি সেখানেই যাব।এবং সত্য টাকে মিথ্যা বলে মিথ্যা টাকে সত্য বানিয়ে আমি বিচার করবো।এই হলো আমাদের বিচারের অবস্থা।
অতীত, বর্তমান ভবিষ্যৎ কালের মানুষের মন যেমনই হোক না কেন।তাদের সবার বিবেক একই রকম।
তাদের সবার বিবেকেই একই কথা বলে,যে সত্যকে গ্রহণ কর এবং মিথ্যা কে বর্জন কর।কিন্তু সকলে সেই বিবেকের কথায় সারা দেয় নায়।কিন্তু সত্যকে কি আর চাপা রাখা যায়, সেটা একদিন না একদিন প্রকাশ হয়ে যায়। সত্যি কথা বললে আমারা আজকাল মানুষের ছুঁড়াতেই আছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মানুষের মতো মানুষ হতে পারিনি।আমাদের বিবেক বলতে আজকাল কিছুই নেই, বিবেক নামের কারিগরি আজ নষ্ট হয়ে গেছে। আমরা পশুর চাইতেও খারাপ হয়ে গেছে। কারণ পশুর মধ্যে মানবতা আছে, একটা পশুই অন্যায় কাজ দেখলে সেখানে গিয়ে প্রতিবাদ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু আমরা মানুষ হয়েও অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাই।আসলে আজকে আমাদের বিচার আচার ঠিক নেই বলেই, আজকে আমাদের দেশে অন্যায় অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে।
আমরা অন্যায়কে কেউ প্রর্চয় দেই না। অন্যায় কাজ কেউ আমরা পছন্দ করি না আর এটাই স্বাভাবিক। সেটা যে ধর্মের হোক না কেন, কারণ অন্যায় কে কোন ধর্মই প্রর্চয় দেয় না।বিবেক হলো আত্মার সেই আয়না, যা মানুষের ভুল গুলো কে পূর্ণরূপে দেখায়।বিবেকের মতো মারাত্মক কোন সাক্ষী ও শক্তিশালী কোন অপবাদকারী নেই যা আমাদের মাঝে থাকে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় প্রায়শই বুঝানো হয় কিছু অনুভূতি যেমন, অনুশোচনার অনুভূতি যখন কোন মানুষ তার নৈতিক মূল্যভোধের বিরুদ্ধে কাজ করে।এবং সততার ন্যায়পরায়নতার অনুভূতি যখন তার কৃতকর্মের নৈতিক মূলভোধের কারনে অনুগামী হয়।ইসলাম ধর্মে,বলা হয়েছে মানুষ ,শ্রেষ্ঠ কারণ তাঁকে বিবেক দেওয়া হয়েছে। যা দিয়ে সে ন্যায় অন্যায়ের বাছ-বিচার করবে।এবং অন্যায় অত্যাচার জুলুম নির্যাতন, থেকে নিজেকে বিরত রাকবে।এই বিবেকের কারনে মানুষ পশুর থেকে পৃথক সওা।
বিবেকের আদালতে নালিশের সংখ্যা বাড়ছে। এখন বলা হচ্ছে, দেশে শিক্ষিত ও ধনী মানুষের সংখ্যা বাড়লেও, কমছে বিবেকবান মানুষের সংখ্যা। বিবেকের এখন বড়ই করুন অবস্থা বিরাজ করছে। কেন বিবেকের মৃত্যুহার হঠাৎ এতটা বৃদ্ধি পেল।বিবেক বিক্রেতার কাছে জাতি অসহায়, বিবেক বিক্রি হলে ধ্বংস, ক্ষতিগ্রস্ত হয় দেশ ও জাতি।বিবেক নেমে গেছে হাটুর নিচে। ঘুমন্ত বিবেক তুমি কোথায়? জাগ্রত বিবেকের ডাক দিতে হবে।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষের বিবেক। আর এই বিবেক হারালে আমাদের কি থাকবে ।সমাজে বুদ্ধিজীবী রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সবাই এখন সব বিষয়ে তাকিয়ে থাকে বিবেকের দিকে।বিবেকের আদালতের মাধ্যমে দেশে আইন-শৃঙ্খলা উন্নতি গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সব শ্রেণীর নাগরিকদের সমানভাবে সুবিচার নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন অনেকেই।বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতার বার আমরা এখন দেশের মালিকরা বিবেকের কাছে ছেড়ে দিয়েছি।আর্জি করছি বিবেক যদি তাদের সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে অনুপ্রাণিত করে তবেই আমাদের মুক্তি।যাইহোক আমরা যদি আমাদের বিবেক দিয়ে সঠিক বিচার -বিচারক করে।তাহলে অবশ্যই আমাদের দেশে, সমাজে প্রতিটি ক্ষেএেই শান্তি চলে আসবে।
যাইহোক আজকে এপর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সবসময় এই কামনা রইলো। এবং আমার সকল ভারতীয় ও বাংলাদেশের বন্ধুদের সুস্থতা কামনা করে শেষ করছি আজকের ব্লগ। আমার লেখার মধ্যে কোন ভুল হলে সবাই ক্ষমা করবেন।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ আদালত মানুষের বিবেক। আমরা অনেক সময় ভুল করে থাকি কিন্তু বিবেক দিয়ে কাজ করলে সেই ভুলগুলো আর হয় না। অনেক সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ আদালত হচ্ছে মানুষের বিবেক। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার লেখাটা।
কিন্তু এই পোস্টটা মনে হয় দুই বার হইছে। আর আপনার ট্যাগ steem বানান ভুল আছে একটু ঠিক করে নেবেন।
আপনার লেখা আগের তুলনায় অনেক ভালো হয়েছে তবে আপনি কি ধরনের ছবি ব্যবহার করছেন সেটাই আমি বুঝতে পারতেছি না.... ছবি আপনি Pixabay থেকে নিতে পারেন. যেটা আমাদের নিয়ম আছে সেভাবে ব্যবহার করলে আপনার পোস্টে আরো সুন্দর লাগবে....
সুন্দর সাজেশন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।