একদা নিজের কম্পিউটার নিজে সার্ভিসিং করার স্বল্প অভিজ্ঞতা।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
শিশুসুলভ পোষ্ট ও কমিউনিটির সৃজনশীলতা রক্ষার্থে আমি চেষ্টা করব একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে হাজির হতে।
একদা নিজের কম্পিউটার নিজে সার্ভিসিং করার স্বল্প অভিজ্ঞতা। |
---|
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছি নিজের কম্পিউটার নিজে সার্ভিসিং করার স্বল্প অভিজ্ঞতা।কোন একদিন আমার কম্পিউটারে একটু সমস্যা দেখিয়েছিল যখন আমি এটি চালু করেছি তাখন দেখলাম কম্পিউটার রিস্টার্ট হচ্ছে, একবার চালু হচ্ছে, একবার বন্ধ হচ্ছে।আর অনেকদিন যাবত এটির কুলার ফ্যান আমি পরিষ্কার করিনি। মাঝে মাঝে আবার কুলার প্যানে যদি ময়লা জমে তখন এই সমস্যাটা হতে পারে।
তাই আমি চিন্তা করলাম কম্পিউটারটা খুলে একটু পরিষ্কার করে, তারপর আবার সেটিং করব। তার আগে বলে নেই আমি আবার বেসিক কম্পিউটার হার্ডওয়ার শিখেছিলাম যার কারণে এতটুকু অভিজ্ঞতা তো থাকতেই হয় সেজন্যই নিজে নিজে সাহস করে ল্যাপটপটা খুলে ফেললাম আর কিভাবে করেছি সে বিষয়ে আপনার সামনে তুলে ধরব
যদিও কম্পিউটারটি অনেক বছর ধরে চলে এসেছে, তবুও আমি এটি ব্যবহার করছি, এতে একটু সমস্যা হতে পারে।তাই ঠিক করলাম কম্পিউটার খুলে একটু ওয়াশ করে দেখব ঠিক আছে কিনা। তারপর আমি কম্পিউটারটি খুলতে বসে পড়লাম।
তারপর প্রথমে আমি একটি স্ক্রু ড্রাইভার দিয়ে কম্পিউটারের পেছন থেকে স্ক্রু খুলে ফেললাম এবং কম্পিউটার থেকে ব্যাটারিটি সরিয়ে ফেললাম।
তারপর যখন সমস্ত স্ক্রু খুলে ফেলা হয়, আমি কম্পিউটার থেকে হার্ড ডিস্ক এবং RAM সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নিলাম।
তারপর আমি ডি-ভিডি রোমটা বের করে ফেললাম। তারপর কম্পিউটারের সামনের দিকে গিয়ে কীবোর্ডের তারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে, কীবোর্ডটি সরিয়ে ফেললাম।
তারপর আমি কীবোর্ডের নীচে স্ক্রুগুলিও সরিয়ে ফেলি। সেগুলি খোলার পরে আমি ল্যাপটপের চেসিস অথবা কেসিং খুললাম।
তারপর খুলতে খুলতে মাদারবোর্ড এ পৌঁছে গেলাম। আমি মাদারবোর্ডে থাকা কেবল কানেকশনগুলো রিমুভ করে দিয়েছি। শুধুমাত্র সংযোগ এবং স্ক্রুগুলি করে মাদারবোর্ডটি আলাদা করে ফেললাম।
তারপরে আমি মাদারবোর্ডে থাকা কুলিং ফ্যানটি সরিয়ে ফেললাম এবং তারপরে আমি কুলিং ফ্যানটিকে পুরনো ব্রাশ দিয়ে এবং কাপড় দিয়ে যথাসম্ভব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলো ডানাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করলাম।
দেখতে পাই আগে প্রসেসরে কিছু পেস্ট লাগানো হয়েছিল তা শুকিয়ে গেছে, তাই আমি সেখানে কিছু পেস্ট লাগিয়ে দিয়েছি।
তারপর আমি আবার পুনরায় আমার কম্পিউটারে যেভাবে খুলেছি সেভাবে আবার ঠিকঠাক করে লাগিয়ে ফেলেছি এবং চার্জার লাগিয়ে একটু বাইরে গেলাম বাইরে থেকে এসে কম্পিউটার ওপেন করে দেখলাম কম্পিউটার ভালো চলছে।.
যদিও আমার কাছে অনেক গুলো ছবি আছে, কিন্তু আমি সেগুলি দেখাইনি কারণ এখানে আমি মূল ধাপগুলির কয়েকটি ফটো এবং কিছু তথ্য দিয়েছি যা গুরুত্বপূর্ণ।
তো বন্ধুরা আজকে এতটুকু ,আর আমার পোস্ট এ যদি কোন ভুল ত্রুটি থাকে সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।এই বলে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
ফোনের বিশদ বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
পোষ্ট | কম্পিউটার সার্ভিসিং |
মডেল | M32 |
ফটোগ্রাফার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | শুধু সেচুরেশন |
অবস্থান | বাংলাদেশ। |
আমি বাংলাদেশ থেকে এমদাদ হোসেন নিভলু। আমার স্টিমিট আইডি হল @ nevlu123। আমি ফেনী জেলায় থাকি। আমার কাজ কম্পিউটার শেখানো, আমার একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। যেখানে আমি স্টিমিট কাজের পাশাপাশি আমার সময় কাটাই। @nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট আছে। আমার বয়স এখন 30 বছর। আমি জাতিগতভাবে মুসলিম বা আমি মুসলিম কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।
নিজের কম্পিউটার নিজে ঠিক করলেন এর থেকে আনন্দের আর কি হতে পারে।আসলে আমাদের সকলের কম্পিউটারের হার্ডওয়ার্কের কিছু ছোট খাটো নলেজ টাকা খুবই দরকারি।আপনি জানেন বিদায় আপনি নিজে ঠিক করতে পারছেন।যদি কম্পিউটারের দোকানে নিয়ে যেতেন তাহলে আপনাকে অনেক হয়রানির শিকার হতে হতো।অনেক ভাল একটি কাজ শেয়ার করেছেন।
আসলে দোকানপাটে নিয়ে গেলে, অবশ্য হয়রানির শিকার হতে হত। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
নিজের কাজ নিজে করার মাঝে আনন্দ আছে আর নিজের কাজ নিজে করার মাঝে যে আনন্দ খুঁজে পায় তার মত সুখী এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। নিজের কম্পিউটার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল তাই আপনি মনের সাহস নিয়ে নিজের কম্পিউটার নিজেই সার্ভিসিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। আসলে কোন কাজ সাহস করে একবার শুরু করলে সেটা হয়তোবা খুব ভালোভাবে শেষ করা সম্ভব। শেষমেশ আপনার কম্পিউটারটা চালু হয়েছে এটাই আপনার সার্থকতা।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, সাহস থাকলে আসলে অনেক কাজই করা সম্ভব।
বাহ তাহলে তো ভালই নিজের ল্যাপটপ নিজেই খুলে পরিষ্কার করে ফেললেন। আপনি আগে বেসিক কম্পিউটার হার্ডওয়ার শিখেছিলেন যার জন্য কাজটি করতে পেরেছেন। এরকম নলেজ থাকা ভাল। নলেজ না থাকলে দোকানে নিয়ে গেলে কত পার্টস খুলে রেখে দিতো বুঝতেই পারতেন না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
একদম ঠিক বলেছেন অন্যকে কোনভাবেই বিশ্বাস করা যায় না, ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
কুলার ফ্যান অনেকদিন পরিস্কার না করার কারণে হয়তো সমস্যা হয়েছে। তবে আপনি যেহেতু বেসিক কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর উপর কোর্স করেছেন তাই তো এই কাজগুলো আপনার কাছে বেশ সহজ হয়েছে এবং নিজের কম্পিউটারের সমস্যা সমাধান করতে পেরেছেন। আজকে ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট দেখে ভালই লাগলো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এত সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।
ল্যাপটপের হ্যার্ডওয়্যারের এইরকম ব্যাসিক কিছু আমাদের জেনে রাখা উচিত। এতে করে বেশ সুবিধা পাওয়া যায়। আপনি নিজের ল্যাপটপ নিজে সার্ভিসিং করেছেন এটা দেখে ভালো লাগছে। আমি তো আমার ল্যাপটপের পেছনে হাত দিতেই ভয় পাই। এখন পযর্ন্ত আমি আমার ল্যাপটপ ক্রু ডাইভার দিয়ে খুলিনি।
একদিন সাহস করে চেষ্টা করে দেখেন, হয়তোবা ভালো কিছু হতে পারে।
রেসিপি পোস্ট যেমন ধাপে ধাপে হয় তেমনি আজকের পোস্টটাও সে রকম ধাপে ধাপে কমপ্লিট করলেন। হা হা হা... আসলে নিজের কাজ নিজে করার ভিতরে একটা আলাদা রকম শান্তি রয়েছে। যাই হোক শেষ পর্যন্ত ল্যাপটপ ঠিক হয়েছে এটাই বা কম কিসের।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই, নিজের কাজ নিজে করতে অনেক বেশি মজা। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এইভাবে আমিও একবার আমার ল্যাপটপ ঠিক করতে গেছিলাম কিন্তু করতে গিয়ে পুরোপুরি সফল হতে পারেনি। আমার পরে দোকানে গিয়ে সবকিছু ঠিক করানো লেগেছিল। আপনি নিজেই নিজের ল্যাপটপ ঠিক করতে সফল হয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। ল্যাপটপ ঠিক করানোর ব্যাপারে টুকটাক নলেজ থাকা খুব জরুরী।