
ভূমিকাঃ
“আমার বাংলা ব্লগ”- এখন শুধু একটি কমিউনিটির নাম না বরং সকলের নিকট জনপ্রিয় মাধ্যম, নিজের ভাষায় আবেগ, অনুভূতি ও ভালোবাসা প্রকাশের। দিন দিন যার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং শীর্ষে উঠে আসছে র্যাংকিং এ। আসলে আমার বাংলা ব্লগ এর যাত্রা শুরু হয় মাতৃভাষায় মনের ভাব প্রকাশে স্টিম ব্লকচেইন এ সুযোগ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে। পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষী কমিউনিটিকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে ভাষার প্রতি ভালাবাসা সৃষ্টি করা এবং নিজেদের বন্ধনকে আরো মজবুত করা। আমাদের বিশ্বাস আমরা খুব দ্রুততম সময়ের মাঝে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবো। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে এখন পর্যন্ত ৮৬৮৯ জন সদস্য হয়েছেন এবং বর্তমান এ্যাকটিভ পোষ্টের সংখ্যা ১১৪।
বিশেষ হ্যাংআউট রিপোর্ট
প্রথম দিনঃ
আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন
@shuvo35 ভাই যথারীতি সময়ের পূর্বে চলে আসেন। শুরুতেই সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিয়ম করেন এবং নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন। তারপর বলেন আমার বাংলা ব্লগ এখন পর্যন্ত যতগুলো কমিটমেন্ট করেছে তার সবগুলোই পূর্ণ করেছে এবং ভবিষ্যতে করবে। সকলের উপস্থিতি আজকে বেশ সুন্দর কিছু সময় উপভোগ করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার এখনো কিছুটা সময় বাকি আছে, এর মাঝেই সবাই সংযুক্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতাকে ডিএম করেছেন, আশা করেন তিনি দ্রুত আমাদের সাথে সংযুক্ত হবেন।
তারপর সবাইকে একটু সতর্ক করেন এবং স্বাস্থবার্তা দেন, আজকের পরিবেশ খুবই গরম, সবাইকে বেশী তরল খাবার, পানি এবং লেবুর শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন। যথা সম্ভব নিরাপদে থাকতে বলেন। যারা উপস্থিত হয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানান। প্রতিষ্ঠাতার জন্য কিছুটা সময় অপেক্ষা করেন, তার অনুমতি নিয়েই আজকের আয়োজন শুরু করতে চান। আজকের আয়োজনকে গতিশীল রাখার জন্য প্রতিষ্ঠাতার পক্ষ হতে বেশ ভালো একটা এমাউন্টের রিওয়ার্ডস এয়ারড্রপস দেয়া হবে। তারপর নির্দিষ্ট সময় হওয়ার সাথে সাথে আয়োজনের মূল পর্ব শুরু করেন। নিজের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন, আমার বাংলা ব্লগ এবং আজকের এই আয়োজনের জন্য।
এরপর শুভ ভাই আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার কাছ হতে অনুমতি নেন অনুষ্ঠান শুরু করার। দাদা বাহিরে আছেন এবং অনুষ্ঠান শুরু করার অনুমতি প্রদান করেন। তারপর শুভ ভাই আমার বাংলা ব্লগের থিম সং প্লে করেন। যেহেতু সেটা ঠিক মতো বটে সাপোর্ট করছে না তাই সবাইকে একত্রে নিজ নিজ অবস্থান হতে প্লে করে সেটা উপভোগ করার আহবান জানান। সবাই থিম সংটা দারুণভাবে উপভোগ করেন।
তারপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং আমার বাংলা ব্লগের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জন্মদিনের টিউন বাজানো হয়, সবাই সেটা উপভোগ করেন। এরপর শুভ ভাই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং প্রতিষ্ঠাতার সহধর্মিণী তনুজা বৌদি আজকের আয়োজনে সংযুক্ত হয়েছেন বিধায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারপর কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স) সুমন ভাইয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ভার্চুয়াল কেক কাটার দৃশ্যের ভিডিওর লিংকটি শেয়ার করার অনুরোধ করেন। তারপর সবাই সেই দৃশ্যগুলো উপভোগ করেন।

এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা
@rme দাদা, দেখতে দেখতে তো চারটা বছর পার করে ফেললাম আমরা। এটা একটা বিশাল ব্যাপার কারণ এই ধরণের কমিউনিটিতো খুব বেশী অপরিচিত থাকে। জনপ্রিয়তা থাকে না তেমন। এসব ক্ষেত্রে ডিসেন্ট্রালাইজড ব্লগিং কমিউনিটি সেটা বুঝানোর একটা ব্যাপার আছে। এটা খুবই টাফ চার বছর পার করা। এই চার বছরে আমরা অনেক এ্যাডমিন মডারেটরকে হারিয়েছি, অনেক কারণেই হারিয়েছি। কাউকে কাউকে বের করে দেয়া লেগেছে, আবার কেউ নিজ উদ্যোগে বেরিয়ে গেছে। আর যারা একদম প্রথম হতে এখন অব্দি আছেন তাদেরকে আমি আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই, কারণ তারা কমিউনিটিকে ভালোবেসেই থেকে গেছেন আসলে।
এখানে লোভের থেকে কমিউনিটির প্রতি ভালোবাসাটাই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের কারণ টাকা ইনকাম আমরা সবাই করি, টাকার জন্য সবাই পাগল কিন্তু তার বাহিরে আমাদের কিছু থাকা উচিত। নিজের কাজের প্রতি ভালোবাসা, কর্মস্থানের প্রতি ভালোবাসা থাকা, এগুলো থাকা দরকার আসলে। সবকিছু টাকা দিয়ে বিচার করা ঠিক না। জীবনে আনন্দের একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে, জীবনে যদি আনন্দ না থাকে সেক্ষেত্রে টাকা পয়সা দিয়েও কোন লাভ হবে না। আপনার প্রচুর টাকা আছে কিন্তু কোন আনন্দ নেই, তাহলে সেই রকম জীবন চাই না আমরা। সেই রকম জীবনের কোন গুরুত্ব নেই। আপনার জীবনে প্রচুর অর্থ আছে কিন্তু আপনার জীবনে শান্তি নেই, সুখ নেই, আনন্দ নেই, তাহলে বুঝতে হবে যে আপনার জীবন ব্যর্থ।
আমি কমিউনিটি খুলেছিলাম মূলত আনন্দের উদ্দেশ্যে, সবাই আনন্দ নিয়ে কাজ করবে, সেটা আস্তে আস্তে ফেড হয়ে যাচ্ছে আসলে। আর একটা বড় সমস্যা হলো, আমাদের এটা ক্লোজড গ্রুপ ছিলো। ক্লোজড গ্রুপ থাকলে কি হয় আসলে, ইউজারদের একটা সীমাবদ্ধতা থাকে। অনেক ইউজারইতো জীবনে চলার পথে জড়ে যায় আস্তে আস্তে। এটাই নিয়ম। যদি নতুনদের না ঢুকতে দেয়া হয়, এ জিনিষটা আস্তে আস্তে আরো অজনপ্রিয় হয়ে যায়। কারণ যদি সেম ইউজার সেম গন্ডির ভেতরে আবদ্ধ থাকে, তাহলে তারা আস্তে আস্তে একজন দুইজন করে বেরিয়ে যেতে যেতে সেই স্থানটা আরো বেশী সংকোচিত হয়ে যায়। এই জন্য এখন হতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে কমিউনিটিটাকে উন্মুক্ত করার। উন্মুক্ত করা বলতে যে কেউ জয়েন করতে পারবে, যে কেউ বেরিয়ে যেতে পারবে। এখানে কোন বাধ্যবাধকতার নিয়ম নেই।
শুধুমাত্র কিছু বেসিক রুলস কমিউনিটির শুরু হতে ছিলো সেগুলো ঠিক থাকবে। আর গেষ্ট ব্লগার যারা আছেন তাদের আর গেষ্ট ব্লগার স্ট্যাটাস থাকবে না তাদেরকেও ঐ ইউজার ব্যাজ দেয়া হবে। আর শুধুমাত্র ভেরিফাইড ব্লগারদের ক্ষেত্রে যে নিয়মটা ছিলো সেটা ঠিক থাকবে । আর বাদবাকি যারা আছে সবাই ইউজার হিসেবে থাকবে। তাদের জন্য কড়াকরি কোন আইন থাকবে না। বিশেষ করে জয়েন এবং লিভের ক্ষেত্রে কোন আইন কানুন নেই। যখন খুশি কেউ জয়েন করতে পারবে, যখন খুশি কেউ লিভ নিতে পারবে। আর একটা কথা হলো যে, কমিউনিটির তো চার বছর পার করে ফেললাম আমরা। এই চারবছর তো আমরা একই নিয়মে চালালাম, আর পরের তিন বা চার বছর আমরা আরেকটা ফেজ এ চালাবো। একটু অন্য রকম সিস্টেমে, সেটা কি হবে পরবর্তীতে জানানো হবে।
তারপর দাদা বলেন, আজকের এই আয়োজনে আমাদের কিছু এ্যাডমিন মডারেটর অনুপস্থিত আছেন, যেমন কমিউনিটির কো-ফাউন্ডার দিল্লী গিয়েছেন বলে থাকতে পারেন নি, কমিউনিটির এ্যাডমিন স্বাগতা অসুস্থ, বাড়িতে অনুষ্ঠান আছে বলে উপস্থিত থাকতে পারে নি। আর কমিউনিটির মডারেটর তানজিরা ম্যাডাম বেশ গুরুতর অসুস্থ, উনার একটা অপারেশন হয়েছে কিন্তু এখনো সুস্থ হতে পারেন নাই। কিছু শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে তাই আবার হসপিটালে ভর্তি হয়েছেন। তারপর দাদা বলেন, আমরা সবাই আশা প্রকাশ করবো এবং প্রার্থনা দ্রুত হয়ে আবার আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন তানজিরা ম্যাডাম। বাকি সকল এ্যাডমিন মডারেটরদের ধন্যবাদ জানান এতোদিন একত্রে থাকার জন্য। ইউজারদেরকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ২০২১ হতে ২০২৫ পর্যন্ত সবাই মিলে প্রায় ৪ মিলিয়ন টাকা ইনকাম করেছি। অনেকেই এসেছেন আবার অনেকেই চলে গেছেন।
কমিউনিটিটা খুব বেশী স্ট্রিক না রেখে যেহেতু বেশী স্ট্রিক থাকলে আনন্দটা কমে যায়, আর আমি খুব একটা সময়ও পাই না, যেহেতু আমার ব্যবসার বড় হচ্ছে, এটা আমার একটা শখের জায়গা ছিলো শখের জায়গা হিসেবে থাকবে। বন্ধ হবে না কখনো। তবে আরো বেশী আনন্দ আনার জন্য নতুন নতুন সিস্টেম আনবো। আর একটা আপডেট হলো, স্টিমিট এ আমি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করছি। স্টিমিটকে জনপ্রিয় করার, প্রাইজটাকে আপ করার, উইটনেস সার্ভারে মূলত আমাদের এবিবি নেটওয়ার্কের সুপারভিশনেই কাজ করছি। ফান্ডিংটা আসলে আমার ভোট ছাড়া করা অসম্ভব। আপনারা জানেন ডাওফান্ডটা যে আছে, ডাওফান্ডের টাকা প্রায়৫৫ লাখ ডলারের। প্রচুর প্রজেক্ট আপনারা দেখতে পারবেন কিছু দিনের মাঝেই। সময় নিয়ে আরো কিছু কিছু প্রজেক্ট আমরা আনতে চাচ্ছি।
পুশ স্টিমিট এর একটা প্রজেক্ট ছিল, এই পুশের অধীনে আমরা আরো অনেকগুলো প্রজেক্ট আনতে চাচ্ছি। পুশটাকে ব্যবহার করেই একজন মানুষ বেসিক ইনকাম করতে পারবে। সারাজীবন ধরেই করতে পারবে। অল্প অল্প পুশ খরচ কিংবা মোটেও খরচ না করেও করতে পারবে। সেই রকম কিছু করার চেষ্টা করছি। কাজের কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমি যতটা সময় পাচ্ছি। যারা যারা শুরু হতে আমাদের সাথে ছিলেন তাদেরকে আমি আরো একবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এরপর কথা বলি আমি
@hafizullah, শুরুতেই দাদাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ প্রতিষ্ঠা করার জন্য। ৪র্থ বছরে পদার্পণ করলো আজ আমার বাংলা ব্লগ। মনে হচ্ছে এই তো সেদিন যাত্রা শুরু করেছিলাম, আর আজ দেখতে দেখতে চারটা বছর হয়ে গেলো। নতুন বছরে নতুনভাবে আরো এগিয়ে যাবে আমার বাংলা ব্লগ, সামনে হয়তো অনেক পরিবর্তন আসবে, হয়তো আমরা অনেকেই থাকবো না, নতুন কেউ আমাদের জায়গায় এসে হাল ধরবে, নতুনভাবে সব কিছু সাজিয়ে গতিশীল রাখবে। আমার বাংলা ব্লগ ঠিক থাকবে তার অবস্থানে, বাংলা ভাষার মাধুর্য ঠিক থাকবে পুরো স্টিমিট ব্লকচেইন জুড়ে, এই স্বপ্নটা কখনো মিথ্যে হবে না।

যাইহোক, চতুর্থ বছরের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগকে, আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা, সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং শুরু হতে এর সাথে সংযুক্ত ছিলেন যে সকল এ্যাডমিন মডারেটর ও সদস্যবৃন্দ তাদের সবাইকে। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফল এটা, সকলের সুন্দর সহযোগিতা কিংবা পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের নিদর্শন এটা। কারণ একটা কমিউনিটি শুরু করা খুবই সহজ কিন্তু এর যাত্রা গতিশীল রাখা কিংবা একটা দীর্ঘ সময়ের জন্য ধরে রাখা মোটেও সহজ বিষয় না। আমাদের সকলের সুন্দর প্রচেষ্টার মাধ্যমেই এটা সম্ভব হয়েছে, এই সুন্দর প্রচেষ্টা চলমান থাকুক। ধন্যবাদ সবাইকে।
তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এক্সিকিউটিভ এ্যাডমিন
@winkles ভাই, শুরুতেই আমার বাংলা ব্লগের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। চারটা বছর একটা দীর্ঘ যাত্রা, এই যাত্রায় আমরা এ্যাডমিন, মডারেটর ও সদস্যরা মিলে একত্রে পথ চলে এসেছি। আমার বাংলা ব্লগ শুরু হতেই শুধু একটা কমিউনিটি ছিলো না একটা পরিবার হিসেবেই দেখা হয়েছে সব সময়ই। সবাই যার যার সৃজনশীলতার মাধ্যমে, বাংলা ভাষার মাধ্যমেই, বাংলা কমিউনিটিকে একটা উন্নতির শিখরে নিয়ে গিয়েছেন। সেটা আর্ট হোক, রেসিপি হোক বা ফটোগ্রাফি হোক, সাহিত্য বা কুইজ হোক, ভিবিন্ন বিষয়ে হোক। আর ভিবিন্ন প্রতিযোগিতায় দেখেছি আমরা সবাই যার যার প্রতিভার মাধ্যমে বেশ সাড়া পাওয়া গিয়েছিলো। এখন যেহেতু শেষের দিকে এসে সকলের মাঝে একটু অনিহা প্রকাশ পেয়েছে, সে যাইহোক আশা করছি সবাই মিলে সামনের সময়টাতে বাংলা ব্লগকে আরো সামনের দিকে নিয়ে যাবো। আর এই দীর্ঘ সময়ে সংযুক্ত থাকার জন্য এ্যাডমিন মডারেটরসহ সকল সদস্যকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।
তারপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের এ্যাডমিন
@nusuranur আপু, আসসালামু আলাইকুম। আজ আমরা এক গর্বিত মুহূর্তের সাক্ষী। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমরা ৪র্থ বর্ষপূর্তি উদযাপন করছি। এ যেনো একটি স্বপ্নপূরণের চার বছর!চার বছর আগে আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, জ্ঞান ও মতামতের মুক্ত চর্চার একটি কমিউনিটি গড়ে তোলার প্রত্যয়ে। আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি যে এই কমিউনিটি শুধুমাত্র একটি ব্লগিং কমিউনিটি নয়। এটি এখন একটি পরিবারে রূপ নিয়েছে। এই যাত্রায় যারা আমাদের সাথে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন আপনাদের প্রতি আমার অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা। আপনারা যেভাবে নিয়মিত উৎসাহের সাথে এই কমিউনিটির সাথে যুক্ত রয়েছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো আমরা কোনো একটি নির্দিষ্ট ধারায় আটকে থাকিনি বরং নতুনত্বকে সমানভাবে অগ্রাধিকার দিয়েছি।
আমাদের লক্ষ্য এখনও আগের মতোই – বাংলা ভাষায় একটি মুক্ত, গঠনমূলক এবং মননশীল চর্চার ক্ষেত্র তৈরি করা। সামনের দিনগুলোতে আমরা চাই আরও নতুন ব্লগার যুক্ত হোক, আরও নতুন চিন্তা আসুক,আইডিয়া আসুক এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি হয়ে উঠুক আরো সৃজনশীল। আজকের এই আনন্দঘন দিনে, আমি আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।বিশেষ করে দাদা,ব্ল্যাক্স ভাই এবং উনাদের জীবন সঙ্গিনী ও আমার কলিগদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই।চলুন, আগামী দিনগুলোকে আরও প্রাণবন্ত আরও সৃষ্টিশীল করে তুলি।
এরপর কথা বলেন কমিউনিটির অ্যাডমিন (রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স)
@rex-sumon সুমন ভাই, আজ আসলেই অনেক আনন্দের একটা দিন, সারাদিনই অনেক ভালো কেটেছে অনেক উত্তেজনা নিয়ে। গত বছর এই দিনেই আমরা কিন্তু চেয়েছিলাম সামনের বছর এই রকম একটা ভালো দিন উদযাপন করবো। সেই দিনটাই আজকে আমরা উদযাপন করতেছি, এটাই আসলেই ভালো লাগা। আবার পরের বছর আসলে আরো বেশী ভালো লাগা নিয়ে উদযাপন করতে পারবো, এটাই প্রত্যাশা আজকের। দীর্ঘ চারটা বছর একসাথে থাকাটাই আমার কাছে অনেক বড় কিছু, আমি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি প্রতিষ্ঠাতার প্রতি। এখানে যা কিছু হয়েছে সবই আসলে দাদার জন্য। সেই সাথে আমার সকল সহযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসা জানাচ্ছি। আমরা একসাথে যেমন অনেক দূর এসেছি, আমার বিশ্বাস আমাদের একসাথে আরো বহু দূর যেতে হবে। আজকের এই শুভক্ষণে বাংলা ব্লগের দীর্ঘায়ু কামনা করছি আমি। শুভ জন্মদিন আমার বাংলা ব্লগ, বেঁচে থাকুক তোমার বিশালতা, বেঁচে থাকুক সবার মাঝে। ধন্যবাদ সবাইকে।
তারপর কমিউনিটির এ্যাডমিন (উইটনেস এবং ডেভ টীম)
@moh.arif আরিফ ভাই কথা বলেন, আমাদের সবচেয়ে আবেগের একটা জায়গা আমার বাংলা ব্লগ। সময় খুবই দ্রুত কেটে যায়। যখন আমার বাংলা ব্লগ শুরু হয়েছিলো চোখ বন্ধ করলেই আমরা সেদিনের কথা স্মরণ হয়ে যায়। মনে হচ্ছে যেন এই তো কিছু দিন আগেই সেটা শুরু হয়েছে। এখানে একটা সময় ছিলো যখন স্টিমিটে বাংলা লেখা বা বাংলা ভাষাকেই ইগনোর করা হতো বা অবজ্ঞা করা হতো। ঐ সময়টাকে আপরা পেছনে ফেলে এখন বাংলা ভাষাভাষি মানুষদেরকে স্টিমিটে যে সম্মানটা প্রদর্শন করা হয়, যে কোন সেক্টরেই বলেন বিশেষ করে আমি যেহেতু ডেভলোপমেন্ট সেক্টরে আছি সেই বিষয়েই বলতে চাই। আমরা যখন ঢুকি তখন কেমন একটা আচরণ ছিলো, সবাই ছিলো ভিন্ন দেশী, সেখানে কিন্তু এখন দারুণ পরিবর্তন হয়েছে। এই সবই কিন্তু দাদা কিংবা ব্ল্যাকস ভাই উনাদের অবদানের কারণেই সম্ভব হয়েছে।
আজকে আমরা যে সম্মানটা পাচ্ছি সেটা সত্যি অকল্পনীয় ছিলো, উনাদের অবদান কখনোই আমাদের ভুলার নয়। একটা কমিউনিটি চলতে গেলে আসলেই ইউজার প্রয়োজন, কারণ সকলের অনুভূতি নিয়েই কমিউনিটি। অনেকেই শুরু হতে আছেন, অনেকেই মাঝ পথে চলে গিয়েছেন, সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ কারণ ইউজার না থাকলে আমরা এতোদূর আসতে পারতাম না। যারা আমাদের সহকর্মী ছিলেন, অতীতে ছিলো কিন্তু এখন নেই , তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা। অনেকেই বলেছিলেন আমার বাংলা ব্লগ খুব বেশী দিন থাকবে না, আমাদের ইউজারদেরও বলা হয়েছিলো এক বছর কিংবা দুইবছর পর কি করবা? এখন তারাই কিন্তু নেই, আমার বাংলা ব্লগ ঠিকই আছে। এভাবেই আমার বাংলা ব্লগ চলতেই থাকবে, যতদিন দাদা আছেন।
কমিউনিটির এ্যাডমিন (সোশ্যাল মিডিয়া এবং মার্কেটিং)
@shuvo35 শুভ ভাই কথা বলেন এরপর, চার বছর সময় কিভাবে যে অতিবাহিত হয়ে গেল, তা যেন বুঝে উঠতেই পারলাম না। সময় বহমান, এ কথার গুরুত্ব যেন বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারছি। মনে হচ্ছে এইতো সেদিন শুরু হলো, তারপর থেকেই যেন অবিরত কলম চলতেই আছে, অনেকটা বিরতিহীন ভাবে। কি পেলাম বিগত চার বছরে ? এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো জায়গা ভেদে ভিন্ন রকম হবে। তবে সহজ বাক্যে যদি বলতে চাই, তাহলে হয়তো উত্তর হবে, বর্তমানে আমার সবকিছুর অংশীদার হচ্ছে এই কমিউনিটি।

ভালোলাগা থেকে দায়িত্ব, কর্তব্য কিংবা সঠিকভাবে নিজেকে প্রকাশ করার সুযোগ হয়েছে এই কমিউনিটির মাধ্যমে। যে মানুষগুলোকে বাস্তবে কখনো চোখে দেখিনি, তারপরেও শুধুমাত্র ভার্চুয়ালি লেখালেখির জন্য কতটা গভীরে গিয়ে সম্পর্ক স্থাপন হয়েছে, সেটা ভাবলেই মাঝে মাঝে গুলিয়ে যাই। কষ্টকর মুহূর্তগুলো খুব একটা বেশি মনে রাখি না , মনে করি ওসব কাজের অংশ। তবে সুখ স্মৃতি মনে রাখতে তো অসুবিধা নেই। যদি গুনে গুনে সুখস্মৃতি হিসাব করি, তাহলে তা হবে অফুরন্ত এবং চলমান। ভালোবাসা শেষ হবার নয়, কোন না কোন ভাবে জড়িয়ে থাকে আষ্টেপৃষ্ঠে। হয়তো কমিউনিটি থেকে ভালোবাসার প্রাপ্তি আমার ক্ষেত্রে তেমনটাই । কোন না কোন ভাবে প্রতিনিয়তই আমার সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
জানিনা, এ পথ আরো কত দীর্ঘ হবে ? তারপরেও এই চার বছরের প্রাপ্তি, অমলিন থাকুক আমার কাছে। দীর্ঘ পথ চলায় যদি, আমার পক্ষ থেকে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে কিংবা আমার আচরণে কেউ যদি ভুলেও কষ্ট পেয়ে থাকেন, তার জন্য আজকের এই বিশেষ দিনে সকলের কাছে উন্মুক্তভাবে ক্ষমা চাচ্ছি। তাছাড়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতা-সহ প্রতিষ্ঠাতা, শ্রদ্ধেয় কলিগ এবং প্রিয় সদস্যদের কাছে। শুভ জন্মদিন বাংলা ব্লগ।
এরপর কমিউনিটির মডারেটরগণ কথা বলেন, শুরুতে মডারেটর
@alsarzilsiam ভাই বলেন, "আমার বাংলা ব্লগ" এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সবার প্রতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। আজ আমরা একত্রিত হয়েছি আমাদের প্রাণের প্ল্যাটফর্ম "আমার বাংলা ব্লগ" এর গৌরবময় বর্ষপূর্তি উদযাপন উপক্ষে। এই ব্লগ শুধু লেখার জায়গা নয় এটা আমাদের চিন্তার মুক্তমঞ্চ, স্বপ্নের ক্যানভাস, আর ডিজিটাল বন্ধুত্বের উষ্ণতম ঠিকানা। আমরা এখানে শুধুমাত্র লেখা প্রকাশ করি না, বরং ভাষা, সংস্কৃতি, সমাজ আর প্রযুক্তির সমন্বয়ে এক নতুন বাংলা জগৎ গড়ে তুলছি।
আমাদের ব্লগের প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি কমেন্টে, প্রতিটি প্রতিক্রিয়ায় লুকিয়ে থাকে ভালোবাসা, দায়িত্ব আর শেখার তাগিদ। এমন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার জন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠাতা ও সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং সকল নিবেদিত এডমিন, মডারেটর ও ব্লগারদের, যারা দিনরাত এই ব্লগটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। "আমার বাংলা ব্লগ" এগিয়ে যাক আরো অনেক বছর। সবাইকে ধন্যবাদ। শুভ বর্ষপূর্তি!
তারপর কথা বলেন কমিউনিটির মডারেটর
@kingporos ভাই বলেন, নমস্কার। আমার কাছে আমার বাংলা ব্লগ শুধু কিছু লেখা বা চিন্তার প্রকাশের জায়গা হিসেবে নয়, আমার বাংলা ব্লগ ব্যাক্তিগত জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যখন আমি এই ব্লগ শুরু করেছিলাম, তখন শুধুই নিজের ভাবনাগুলো প্রকাশ করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে আমার বাংলা ব্লগের সাথে এগিয়ে চলতে চলতে আমার আত্মবিশ্বাস, ভাবনার গভীরতা, এবং নিজের পরিচয় তৈরি করতে বিশাল ভূমিকা নেয়।
সবচেয়ে বড় কথা, এই ব্লগের মাধ্যমে আমি দাদা এবং ব্লাকসের মতো দূরদর্শী নেতা ও অভিভাবক পেয়েছি। তাঁদের দিকনির্দেশনা, সহানুভূতি, এবং সুযোগ দেওয়ার মানসিকতা আমাকে জীবনে শিরদাঁড়া গড়ে তুলতে শিখিয়েছে। আজ আমি শুধু মানসিকভাবে নয়, আর্থিকভাবেও অনেক বেশি স্বাবলম্বী, এবং এই আত্মনির্ভরতার পেছনে তাঁদের অবদান অপরিসীম। আমি গর্বিত যে আমি এই কমিউনিটির অংশ, এবং কৃতজ্ঞ যে আমার বাংলা ব্লগ আমার জীবনকে এতটা বদলে দিতে পেরেছে। মাহেন্দ্রক্ষণ পৌঁছে আমার বাংলা ব্লগকে জানাই শুভ জন্মদিন। শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রইল দাদা, ব্লাক্সের, আমার বাংলা ব্লগের প্রতিটা এডমিন এবং মডকে। ধন্যবাদ সকল সদস্য যারা এতদিন ধরে আমাদের সাথে যুক্ত আছেন।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং আমার বাংলা ব্লগের ৪র্থ বর্ষপূর্তির এই বিশেষ আয়োজনে কমিউনিটির সদস্যদের মাঝ হতে কয়েকজনকে তাদের অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ দেন। ভেরিফাইড সদস্যদের মাঝ হতে joniprins, nazmul01, jamal7, bdwomen এবং riyadx22, নিজেদের অনুভূতি শেয়ার করেন এবং সব কিছুর জন্য কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতাকে ধন্যবাদ জানান। এরপর কুইজ পর্ব শুরু করার জন্য শুভ ভাই আরিফ ভাইকে আমন্ত্রণ জানান, কমিউনিটির এ্যাডমিন ও মডারেটরদের পক্ষ হতে দশটি কুইজ শেয়ার করা হয় এবং কমিউনিটির প্রতিষ্ঠাতার পক্ষ হতে দশটি কুইজ শেয়ার করা হয়।

দ্বিতীয় দিনঃ
দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনের আয়োজন কিছুটা ভিন্নভাবে সাজানো হয়েছিলো। যথারীতি শুভ ভাই শুরু করেন এবং নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন। ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তে নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন। তারপর আমার বাংলা ব্লগের ৪র্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এ্যাডমিন ও মডারেটরদের পক্ষ হতে আয়োজিত বিশেষ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীদের অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ দেয়া হয়।
এরপর ঘোষণা করা হয় বিগত এক বছরে যে সকল ইউজার এ্যাকটিভ ছিলেন তাদের মাঝ হতে বর্ষসেরা পাওয়ার আপকারী বিজয়ী হলেন mahfuzur888। বর্ষসেরা সংগীত পরিবেশনকারী বিজয়ী হলেন aongkon এবং bristychaki । বর্ষসেরা কবিতা আবৃত্তিকার বিজয়ী হলেন saymaakter এবং kausikchak123। এরপর আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতার পক্ষ হতে আয়োজিত বিশেষ প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীকে তার অনুভূতি শেয়ার করার সুযোগ দেন।
এরপর কথা বলেন আমার বাংলা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা
@rme দাদা, আজকে যে বিষয়ে দাদার কথা বলার কথা ছিলো সে বিষয়ে মোটামুটি সবটাই বলা হয়েছিলো গতকালের বক্তব্যে। আজকে নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই। শুধু বলার আছে এটাই যে, যে উদ্দেশ্যে কমিউনিটি খোলা সেদিক হতে আমরা যেন সরে না আসি। কারণ কমিউনিটিতে এখানে কাজ করে টাকা ইনকামের চেয়ে বড় বিষয় হলো আনন্দ করা, সে আনন্দ পাওয়ার থেকে আমরা যেন দূরে সরে না যাই সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর আমার বাংলা ব্লগ একটু অন্যভাবে সাজাচ্ছি আমরা, সেটা একটু সময় লাগবে কয়েক দিন। তারপর আস্তে আস্তে এর ইফেক্টটা বুঝা যাবে। পুশ নিয়ে নতুন করে তেমন কিছু বলার নেই। যে কোন কয়েনের ক্ষেত্রে দাম উঠা নামা করে, প্রথম দিকে কিছুটা দাম বাড়ে তারপর দীর্ঘদিন ধরে দাম থাকে তারপর হঠাৎ করে একদিন দাম পড়ে যায়, পুশটাও এইরকম চলবে।
অন্য যে কোন ক্রিপ্টো করেন্সির মতো পুশও একটা কয়েন। তার নেচারটাও তো একই থাকবে। আর পুশের ভবিষ্যত পরিকল্পনা হলো নানা রকম ইউটিলিটি তৈরী করা, ভিবিন্ন রকম সার্ভির তৈরী করা, এখন যেমন আছে। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আপনারা পুশ হতে একটা প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। প্রাইস থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো কতদিন টিকে থাকে সেটা, অলরেডি আমরা প্রায় এক বছরের কাছাকাছি চলে আসছি পুশের। তাহলে বুঝতে হবে সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। এরপর দাদা অলট কয়েন নিয়ে কিছু কথা বলেন। অলট কয়েন সিজন শুরু হলে পুশেরও কিছুটা দাম বৃদ্ধি পাবে।
এরপর শুভ ভাই ফিরে আসেন এবং বিশেষ গানের আসর শুরু করেন। একে একে গান পরিবেশন করেন bristychaki, saikat890, nilaymajumder, mohinahmed এবং shuvo035 ভাই। তারপর কবিতা আবৃত্তি করেন, saymaakter, ah-agim, selinasathi1, tithyrani, hafizullah, kingporos এবং alsarzilsiam ভাই। সবচেয়ে আকর্ষণীয় আয়োজন ছিলো বিশেষ শ্রুতি নাটক আর সেটা উপস্থাপন করেন neelamsamanta এবং kausikchak123 ভাই। দারুণ ছিলো আয়োজনটি এবং সবাই দারুনভাবে উপভোগ করেন।

তৃতীয় দিনঃ
তৃতীয় দিনের আয়োজনটি ছিলো বিশেষভাবে সকলের আগ্রহের কেন্দ্রে, দারুণ সকল গানের আয়োজন নিয়ে সাজানো হয়েছিলো তৃতীয় দিনটি। শুরুতেই শুভ ভাই নিজের অনুভূতি শেয়ার করেন, থিমটি সংটি প্লে করেন। তারপর দাদার অনুমতি নিয়ে ডিজে পার্টি শুরু করার জন্য সিয়াম ভাইকে আমন্ত্রণ জানান। সিয়াম ভাই একে একে দারুণ সকল গান প্লে করেন এবং উপস্থিত সবাই কি কি গান শুনতে চান সেটা শেয়ার করারও সুযোগ দেন। গানোর ফাঁকে ফাঁকে চলে এয়ারড্রপস, পুরো আয়োজনটি ছিলো দারুণ জমজমাট কিছু। ভিন্ন ভিন্ন আয়োজনে আমার বাংলা ব্লগের চতুর্থ বর্ষপূর্তির আয়োজন সবাই দারুণভাবে উপভোগ করেন।
ধন্যবাদ সবাইকে
@hafizullah

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বিশেষ হ্যাংআউট বেশ উপভোগ করেছি। বেশ ভালো লাগলো রিপোর্টটি পড়ে। এই রিপোর্টটি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
৪র্থ বর্ষপূর্তির বিশেষ হ্যাংআউটটি এই বছর দারুণ কেটেছিলো।যদিও স্বাগতা বৌদি ও তানজিরা আপু অসুস্থ ছিলেন, তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রে করি।অনেক চেনা মুখ হারিয়ে গেছে আবার নতুন কেউ যুক্ত হয়েছে।তবুও সবমিলিয়ে ভালোই মজা হয়েছিলো, ধন্যবাদ দাদা সুন্দর রিপোর্ট প্রকাশ করার জন্য।
চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আমার বাংলা ব্লগের বিশেষ হ্যাংআউটটি দারুন উপভোগ করেছিলাম। কারণ হ্যাংআউটের কোন প্রোগ্রাম কখনো মিস করি না।তবে স্বাগতা দিদি ও তানজিরা আপু অসুস্থ ছিল তাদের জন্য দোয়া রইল সৃষ্টিকর্তা তাদের যেন দ্রুত সুস্থ করে তোলেন।বেশ ভালো লাগলো রিপোর্টটি পড়ে। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি রিপোর্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।