বেঁচে থাকার জন্য সুস্থ থাকা ভীষন জরুরী.....!!
আজ - ২৭শে, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
নমস্কার - আদাব। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন।
সুপ্রিয়, আমার বাংলা ব্লগবাসি আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন সুস্থ আছেন আর এমনটাই প্রত্যাশা করি। মানব জীবনে বেঁচে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সুস্থ থাকা অতি আবশ্যক ।
একটাবার যদি চিন্তা করা যায় তাহলে সৃষ্টিকর্তার কি অপার মহিমা। তার সৃষ্টির কি বিচিত্র রূপ যে এমন সুন্দর একটি পৃথিবী সেই পৃথিবীতে গাছ-পালা আকাশ নদী নালা পাহাড়-পর্বত কত কিছু। আর তার উপরেও আরেক সৃষ্টি হলো মানুষ। হাত পা থেকে শুরু করে চোখ মুখ শরীরের প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গ কি নিখুঁতভাবেই না তৈরি করেছে।
আর তার দেয়া সৃষ্টির প্রতিটি অঙ্গ প্রতঙ্গের মধ্যে যদি একটু কোন সমস্যা হয় তাহলেই আমরা বড় সমস্যা পরে যাই। আর ঠিক তখনই বুঝতে পারি যে সুস্থ শরীর আর অসুস্থ শরীরের মধ্যে পার্থক্য কতটা ।তাইতো বলি যে অসুস্থতা হলেই সুস্থতার মর্মতা বুঝতে পারি। তাই আমাদের ব্যক্তিজীবনে প্রতিটি মানুষকে খুব সতর্কতা থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত সঠিকভাবে নিরাপত্তার জন্য চলা উচিত ।
আজকের পোস্টের টাইটেলটা ইতিমধ্যেই দেখেছেন ।মূলত আমার আপন কাকু অর্থাৎ চাচা আজকের সকাল সকালবেলা হঠাৎ করে পা পিছলে পড়ে যাওয়াতে কোমরের এক বড় সমস্যা হয়ে যায় ।বলতে গেলে হাঁটাচলা করতে গেলে অনেকটাই ব্যথা অনুভব ।এর মধ্যে দুপুরের পরপরই আমরা রওনা দিলাম দেবিগঞ্জের হিউম্যান ক্লিনিক এর উদ্দেশ্যে । সেখানে হাড় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছে।
বাড়িতে থেকে ফোন করে অলরেডি সিরিয়াল নাম্বার দিয়েছি ৷ তাইতো খুব দ্রুতই আমরা ডাক্তার দেখাতে পেরেছি ।
আমরা চেম্বারে গিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম এরপরেই আমাদের সিরিয়াল নাম্বার চলে আসে। অলরেডি ডাক্তারের পরামর্শে সবার প্রথমে এক্স-রে করাতে বলে। ঠিক তাই করলাম ডাক্তারের পরামর্শ মতে এক্স-রে করাতে গেলাম।
এরপর আমরা এক্সরে রুমে ঢুকলাম আমাদেরই মতো এক ভাই তিনি মূলত এক্সরে করবেন। তাই কিভাবে কি করতে হবে কোন ভাবে থাকতে হবে সবকিছুই শিখে দিলেন ।
এরপরেই এক্সরে কাজ শুরু করলো সামান্য কিছু সময় মাত্র ।আসলে এসব আধুনিক প্রযুক্তির ফলে আজ মানুষ এত উন্নত চিকিৎসা করছে। যার সবচেয়ে বড় অবদান হলো আলতাসনোগ্রাফি কিংবা এক্সরে ।যেগুলোর মাধ্যমে ভিতরের সমস্যাকে আমরা বুঝতে পারছি ।কিংবা ডাক্তার সেভাবে চিকিৎসা প্রদান করছে। তাই বলতে হয় যে উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা মানুষের জীবনকে অনেকটাই বাঁচিয়ে রেখেছে।
এক্সরে করার পর এক ঘন্টা পরে আমাদের পূর্ণ রিপোর্টটি হাতে পাবো সেই অপেক্ষায় রইলাম ।আর এক ঘন্টা পর রিপোর্টটি দেখে অনেকটাই হতাশায় পড়তে হলো ।কারণ ডাক্তারবাবু রিপোর্টটি দেখে বেশ আতঙ্কিত হয়ে উঠলেন। কারণ কোমরের হাড় অনেকটা ফাটল বলতে গেলে চির ধরেছে ।এমন অবস্থায় প্রায় ছয় মাস এর মত রেস্টে থাকতে হবে ।এমনকি ঔষধ পত্র খেতে হবে তাই অনেকটাই মন খারাপ হয়ে গেল।
যদিও আমি ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকিনি কারণ ওখানে বেশি মানুষকে এলাও নেই ৷ যাহোক ডাক্তার প্রেসক্রিপশন সেই সাথে কিভাবে নিয়ম কানুন করবে সবই বলে দিয়েছে ।সবচেয়ে কষ্টের ব্যাপার হলো যে ছয় মাস তাকে পুরোদমে রেস্টে থাকতে হবে।
তাই আজকে থেকে এমনটাই অনুভূতি হলো যে আসলে বেঁচে থাকার জন্য অসুস্থ থাকা টা ্ কতটা জরুরি ।এই যে আমার কাকু এখন প্রায় ছয়টা মাস শুয়ে থাকা ব্যতীত কোন কাজ করতে পারবে না ।এটা একটা বাড়তি কষ্ট প্লাস স্বাধীনতা একটা সুখ শান্তি অনুভব প্রতিটি যেন বিনষ্ট।
তবে এটাও ঠিক যে, আসলে জীবনে দুর্ঘটনা কখন কিভাবে তা কখনো বলা যাবে না বা বলতেও পারব না ।তবে আমরা যদি একটু সতর্কতা অবলম্বন করি তাহলে হয়তোবা এমন দুর্ঘটনা থেকে অনেকটাই সেভ থাকতে পারি।
যা হোক সবাই আমার কাকুর জন্য দোয়া আশীর্বাদ করবেন। যেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আবার তার সুস্থ জীবনে ফিরে আসে।।
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আপনাদের কাছে এখানে বিদায় নিচ্ছি ৷ আবার নতুন কোন ইউনিক ব্লগ নিয়ে হাজির হবো৷ এমন প্রত্যাশা আশা আকাঙ্ক্ষা রেখে এখানেই শেষ করছি৷
ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন৷
https://twitter.com/gopiray36436827/status/1656664018982174720?t=sIIU4ioYhTKg7iWqaJoCSg&s=19
সুস্থ থাকাটা অনেক বড় বিষয়।
যারা অসুস্থ রয়েছে তারা বোঝে সুস্থ থাকাটা কতটা জরুরি। আপনার কাকু দূর্ঘটনায় পরে ছয় মাস বিশ্রামে চলে গেলেন। যাক দোয়া করি উনি আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুন।
জি ভাই সুস্থ থাকা টা ভীষন জরুরী ৷ আর অসুস্থ হলে সুস্থতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে পারি ৷
এরকম বয়সে হঠাৎ করেই এমন আঘাত পাওয়াটা সত্যিই অনেক কষ্টের একটা ব্যাপার। খুব খারাপ লাগলো ভাই লেখাটা পড়ে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন কাকু দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর খেয়াল রাখবেন যেন তিনি পুরোপুরি রেস্টে থাকতে পারেন।
হ্যাঁ এরকম বয়সে এমন হওয়া সত্যি কষ্টদায়ক একটা বিষয় ৷ তবে এখন পুরোপুরি রেস্টে আছে ৷ ধন্যবাদ দাদা