#childhood-memory : বন্ধুদের সাথে বরশি দিয়ে মাছ ধরার শৈশবের স্মৃতি

in আমার বাংলা ব্লগ11 days ago

আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি। আমরা যেন সর্বদা ভালো থাকি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে শৈশবের স্মৃতি নিয়ে পোস্ট লিখতে চাই। প্রত্যেক সপ্তাহে আমি শৈশবের স্মৃতি নিয়ে একটি করে পোস্ট লেখার চেষ্টা করি। কারণ প্রত্যেক মানুষের জীবনে শৈশব ছিল এবং শৈশব ছিল অত্যন্ত মধুময়। ঠিক আমার জীবনেও চমৎকার শৈশব ছিল এবং শৈশবে স্মৃতিগুলো আমি সব সময় মনে করি। তাই আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের মাধ্যমে আমি আমার শৈশবের মনে হওয়া স্মৃতি গুলো লেখার চেষ্টা করি। তাহলে সকলেই উপভোগ করুন ;

এখন বর্ষাকাল।

pexels-toulouse-3099187.jpg

যখন আমি ছোট ছিলাম তখন বর্ষাকালের আনন্দ আরো অনেক বেশি ছিল। কারণ বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে মাছ শিকার করা হতো।

আমাদের বাড়ির সামনে রয়েছে দুইটা ছোট ক্যানাল। মূলত, চমৎকার এই ক্যানেলগুলোতে বর্ষার শুরুতে প্রচুর পরিমাণে পানি এসে জমা হতো। নদীর শাখা থেকে ধীরে ধীরে আমাদের হাওর অঞ্চলে পানি এসে জমা হতো এবং তখন সেখানে প্রচুর মাছ জমা হয়ে যেত।

আমাদের গ্রামের যারা মাছ ধরতে পছন্দ করে তাদের সব থেকে আনন্দ দিন হলো বর্ষাকালে। কারণ বর্ষাকালে প্রত্যেক জেলেরা বিভিন্ন রকমের জাল ও বিভিন্ন প্রসেস ব্যবহার করে বর্ষাকালে প্রচুর পরিমাণে মাছ শিকার করে। কারেন্ট জাল এবং অন্যান্য আরো নানা ধরনের জাল দিয়ে গ্রামের মানুষ যখন মাছ শিকার করে তখন আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।

তবে শৈশবে আমিও অনেক বেশি মাছ ধরেছি। বিশেষ করে বরশি ব্যবহার করে আমি কই, মাগুর, শোল ও দেশি প্রজাতির আরো নানারকমের মাছ ধরেছি। মাছ ধরতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে এবং শৈশবে বন্ধুদের সাথে মাছ ধরার আমার অনেক বেশি গল্প রয়েছে।

pexels-yona-photography-2153357567-32682631.jpg

শৈশবে বিকেল হলেই বন্ধুদের সাথে মাছ ধরতে যেতাম। বাড়ির সামনে যতদূর চোখ যায় ততদূর পানি। তাছাড়াও ছোট বড় যতগুলো পুকুর রয়েছে সবগুলো পুকুরে পানি এবং মাছে পরিপূর্ণ।

একদিন বিকেলের ঘটনা। বিকেলে আমি স্কুল থেকে এসে দুপুরের খাবার শেষ করলাম এবং বরশি নিয়ে মাছ ধরতে বের হয়েছিলাম। এমন সময় আমার বাবা আমাকে ডেকেছিল এবং আমি যেন মাছ ধরতে না যায় সেজন্য আমাকে নির্দেশনা দিয়েছিল।

তবে আমাদের বাজারে মুদিখানার দোকান ছিল। বাবা বেশ কিছুক্ষণ সময় পর যখন দোকানে চলে গেল তখন আমি বড়শী এবং টোপ নিয়ে মাছ ধরতে চলে গিয়েছিলাম। আমার মোট তিনটি বরশি ছিল এবং আমি তিনটি বরশি দিয়ে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে বের হলাম।

আমি মাছ ধরতে গিয়ে সেখানে দেখেছিলাম আমার মত আরো অনেক মানুষ মাছ ধরতে এসেছে । আমি তাদের সাথে গিয়ে আনন্দে মাছ ধরতে শুরু করেছিলাম।

তবে দিনটি আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ছিল । কারণ আমি মাছ ধরতে গিয়ে অনেকগুলো কৈ মাছ পেয়েছিলাম এবং আমি দেশীয় আরো নানা জাতের মাছ শিকার করতে সক্ষম হয়েছিলাম।

অবশেষে আমি বাড়িতে ফিরে এসেছিলাম এবং রাত্রে যখন বাবার সাথে খেতে বসেছিলাম তখন বাবা মাছ দেখে অনেক বেশি আশ্চর্য হয়েছিল । অবশেষে বাবা আমাকে রাত্রে অনেক বেশি প্রশংসা করেছিল এবং আমার অনেক বেশি ভালো লেগে।

মূলত শৈশবে সবথেকে আনন্দঘন মুহূর্ত ছিল বড়শি দিয়ে মাছ ধরা। যদিও কোনদিন মাছ পেতাম আবার কোনদিন পেতাম না তবে তা নিয়ে কোন মন খারাপ ছিল না। মূল আনন্দ ছিল মাছ ধরার ভেতরেই।

সুতরাং বর্ষাকালে যখন আশেপাশে পানি চলে আসলো তখন শৈশবের এই স্মৃতি মনে পড়ে গেল। অবশেষে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। উপভোগ করার জন্য ধন্যবাদ।




VOTE @bangla.witness as witness



witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power


|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



ezgif.com-video-to-gif (6).gif

আমি


আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।

উষ্ণ শুভেচ্ছা


20221105_225033.jpg

@steem-for-future