সারাদিনের ব্যস্ততা।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আজকের নতুন ব্লগে আপনাদের সবাইকে স্বাগতম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো এবং সুস্থ আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে অন্যরকম একটি পোস্ট শেয়ার করব। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে গরম বেড়েছে। এই গরমে বাইরে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না। আমি তো বর্তমানে একদমই বাইরে বের হয় না। কিন্তু কয়েকদিন আগে গিয়েছিলাম ডক্টরের কাছে। সেই দিনটা আমার খুবই বোরিং কেটেছিল। কারণ ডাক্তার দেখাতে গিয়ে সিরিয়ালে বসে থাকা আমার কাছে খুবই বিরক্তিকর লাগে। সেদিন আমার কিছু টেস্ট ছিল তাই আমি এবং আমার হাসব্যান্ড অনেক সকালেই বাড়ি থেকে রওনা হয়েছিলাম।
আমাদের বাড়ি থেকে হসপিটাল ৩০ মিনিটের দূরত্ব। প্রথমে শুনেছিলাম যে আমার খালি পেটে টেস্টগুলো করতে হবে।কিন্তু যাওয়ার পর শুনলাম যে খাওয়ার পর টেস্ট করলে ভালো হবে। তাই আমরা হাসপাতালের ক্যান্টিনে চলে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য। কিন্তু খাবার গুলো আমার কেমন পছন্দ হলো না। হালকা নাস্তা করে টেস্ট করতে চলে আসলাম।সকাল ৯ টার দিকে সবগুলো টেস্ট করা শেষ হলো। কিন্তু তারা রিপোর্ট দিতে চাইলো দুপুর বারোটার দিকে।
এবার শুরু হলো বসে বসে অপেক্ষা করার পালা। আমাদের দুজনের সময় পার হচ্ছিল না। আর সকালে তেমন কিছু খাইনি তাই খিদা পেয়ে গিয়েছিল। আমরা হসপিটালের পাশে একটি রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম। সকাল বেলা হওয়ার কারণে তেমন কোন ভিড় ছিলো না। আপনাদের সাথে রেস্টুরেন্টের ভেতরের পরিবেশটা শেয়ার করার জন্য কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছিলাম। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা মোটামুটি ভালই ছিল।
সকালবেলা হাওয়ায় কারণে রেস্টুরেন্টে ও তেমন কোন আইটেম ছিল না। তারপরে আমরা ফ্রাইড রাইস এবং চিকেন ফ্রাই অর্ডার করলাম। খাবারগুলো মোটামুটি ভালো ছিল। তারপর কোল্ড কফি অর্ডার করলাম। এগুলো খাওয়ার মাধ্যমে এবং গল্পের মাধ্যমে আমরা সেখানে প্রায় দুই ঘণ্টার মতো অতিবাহিত করলাম। কিন্তু মজার বিষয় হলো খাবারগুলো পাওয়ার পর একদমই ছবি উঠানোর কথা মনে ছিল না। কিছু খাবার খাওয়ার পর ফটোগ্রাফি গুলো করেছি। আসলে ফটোগ্রাফি করার অভ্যাস না থাকলে যা হয় আর কি।
যেহেতু বারোটার দিকে রিপোর্ট দেবে তাই আবার আমরা হসপিটালে চলে গেলাম। সেখানে আরো এক ঘন্টা অপেক্ষা করার পর রিপোর্টগুলো হাতে পেলাম। ততক্ষণে বাইরে প্রচুর পরিমাণে মেঘ জমে ছিল। পুরো অন্ধকার হয়ে এসেছিল শহরটা৷ অনেকক্ষণ ধরে বৃষ্টিও হয়েছিলো। রিপোর্ট পাওয়ার পর আমরা ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। ডাক্তার দেখাতে যেয়ে শুধু অপেক্ষা আর অপেক্ষা। অপেক্ষায় যেন শেষ হয় না। অবশেষে ডাক্তার দেখানোর শেষ হলো। তারপর ড্রাইভার কে কল করে আসতে বললাম হসপিটালে সামনে। বৃষ্টি হওয়ার কারণে পরিবেশটা খুবই ঠান্ডা ছিল। গাড়ির জানালা খুলে দিয়ে বাইরের ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করছিলাম।অনেক ক্লান্তিবোধ করছিলাম তাই ঠান্ডা হাওয়ায় গাড়ির মধ্যেই কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।
বাড়িতে আসতে আসতে প্রায় তিনটা বেজে গিয়েছিল। সারাদিনটা খুবই ক্লান্ত বোধ করছিলাম আমি। বাড়িতে এসে ফ্রেশ হয়ে খাবার খেয়ে লম্বা একটি ঘুম দিলাম দুজনে। ঘুম থেকে ওঠার পর তখন খুব ফ্রেশ ফিল করছিলাম। এই ছিল আমার সারাদিনকার ব্যস্ততম একটি দিন।
আসসালামু আলাইকুম। আমি নীলিমা আক্তার ঐশী। জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি অনার্স ৪র্থ বর্ষের ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ছাত্রী। আর্ট করা,ঘুরতে যাওয়া এবং রান্না আমার খুবই প্রিয়। প্রিয়জনদের পছন্দের খাবার রান্না করে খাওয়াতে এবং তাদের প্রশংসা শুনতে আমার খুবই ভালো লাগে। নতুন নতুন রেসিপি শেখার আমার খুব আগ্রহ রয়েছে। আমি ২০২৩ সালের জুন মাসে স্টিমিটে জয়েন হয়েছি।আমি বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে জয়েন হয়েছি সবার সাথে বিভিন্ন রেসিপি এবং আর্ট শেয়ার করার জন্য এবং সেই সাথে অন্য সবার থেকে দারুন দারুন সব ক্রিয়েটিভিটি শিখতে। বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি পরিবারের মত আর এই পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরে আমি অনেক খুশি।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

এই গরমে বাইরে বের হওয়া সত্যি ই খুব কষ্টকর।কিন্তু ডাক্তার দেখাতে হলে তো বের হতেই হবে।তবে সারাটা দিন কেটে গেলো এটা ভেবে খারাপ লাগলো।সকলা বেলা টেস্ট করানো,রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তার দেখানো।এর মাঝে দুজন কিছু খেয়ে নিলেন এতে কিছুটা স্বস্তি। নয়তো আরো বেশী ক্লান্ত লাগতো।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
জ্বি আপু,, খাওয়া-দাওয়া করে রেস্টুরেন্টে কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম জন্য খুব বেশি খারাপ লাগেনি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ব্যস্ত সময়ের মাঝেও দেখি ভালই উপভোগ করেছেন দিনটা। আসলেই খাবার সামনে থাকলে কি আর ছবি তোলার কথা মনে থাকে নাকি আগে খেতে হবে। তবে ডাক্তার দেখাতে গেলে মনে হয় সব থেকে বেশি অপেক্ষা করতে হয়। বৃষ্টি শেষে পরিবেশটা ঠান্ডা হয়ে যায় ওই সময়ে জার্নি করতে বেশ মজা লাগে।
ঠিক ঠিক।অনেক ক্ষুদার্ত ছিলাম তাই ছবি তোলার কথা মনে ছিলো না😅
আসলে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সিরিয়াল টাও একটু বেশি হয়ে থাকে। সকাল সকাল গিয়েছিলেন এবং তিনটার সময় বাড়ি ফিরেছিলেন। আর যেহেতু ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন তাহলে তো বোরিং ফিল করার কথা। যাইহোক শেষ পর্যন্ত সবকিছু কমপ্লিট করে বাড়ি ফিরেছেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সাবলীল ভাষায় একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ডাক্তার দেখাতে গেলে সিরিয়ালে বসে থাকতে আসলেই খুব বিরক্ত লাগে। এই সময়টাতে আপনারা দুজনের রেস্টুরেন্টে খেয়ে এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আসলেই খুব সুন্দর। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ লোভনীয় ছিল। দারুন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন নিশ্চয়ই। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
রেস্টুরেন্টে কাটানো সময় গুলো দারুন ছিল। কিন্তু হসপিটালে এসে অপেক্ষা করার সময়টা খুবই বিরক্তিকর ছিল।
ঠিক বলেছেন আপনি এই গরমে বের হতে একদম ইচ্ছা করে না ।যতই প্রয়োজন থাকুক। আপনার ইমারজেন্সি প্রয়োজনের কারণে আপনি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। আসলে ডক্টর দেখানো এই যে সিরিয়াল এটা আসলে খুবই বোরিং। অনেক মানুষ তারপর নিজের ডাক শুধু বসে থাকা। হসপিটালে ক্যান্টিনে খাবারগুলো খুব একটা ভালো হয় না । এবং তারপর রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করেছেন কিছু সময় পার করেছেন।মোটামুটি সেদিন আপনার ব্যস্তময় দিন গিয়েছে। এবং সেগুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনাও করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ঠিক বলেছেন আপু,, হসপিটালে ক্যান্টিনের খাবার গুলো খুব বেশি ভালো হয় না। তাই বাইরে যেয়ে যেটাই পেলাম, সেটাই খেলাম।
হাসপাতালে গিয়ে টেস্ট করা বেশ ঝামেলার কাজ। সকালে গিয়েছেন না খেয়ে তার পরে ওখানে যাওয়ার পর বলতেছে খেয়ে টেস্ট করলে ভালো হয়। তার পরে হালকা খাওয়া দাওয়া করেছেন এর পরে টেস্ট করেছেন। হাসপাতালে ছোট কাজের জন্য গেলেও অনেক সময় লাগে। আপনার কাছে খারাপ লাগতেছিলো বুঝতে পারছি আশাকরি বৃষ্টি এসে একটু পরিবেশন ঠান্ডা করেছে। বাসায় এসে বেশ ভালো ঘুম দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
সত্যি ভাইয়া,, হাসপাতালে যেয়ে টেস্ট এবং ডাক্তার দেখানোর জন্য বসে অপেক্ষা করাটা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
এটা ঠিক কথা বলেছেন আপু। তাছাড়া হসপিটালে গেলে আসলেই কোন প্রকারে সময় কাটতে চায় না। যাইহোক, ভাইকে নিয়ে আপনি দেখছি বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন এবং সুন্দর খাওয়া দাওয়াও করেছেন। চিলি চিকেন আর ফ্রাইড রাইস আমার কিন্তু অনেক পছন্দের আপু। যাইহোক, অনেক ভালো লাগলো আপনার ব্যস্ততম একটা দিনের কথা পড়ে। ভালো থাকবেন আপু আপনার, অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি পড়ে অনেক বেশি খুশি হলাম ভাইয়া। আপনার জন্যও রইল অনেক অনেক শুভকামনা।
তাহলে তো ব্যস্ত সময় কাটালেন সেদিন ডাক্তার দেখাতে গিয়ে। আজকাল লোকজনের এত ভিড় হাসপাতালে। একজন মানুষ হাসপাতালে গেলে আরো রোগী হয়ে আসে। কারণ এত গরমের মধ্যে এতক্ষন বসে থাকা মানে খুবই অসহ্যকর। খাবারগুলো ভালো খেলেন আপনি বিশেষ করে কোল্ড কফিটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করলেন এত কষ্টের মাঝেও। মুহূর্তটি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ভালো লাগলো।
পোস্টটি পড়ে আপনার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
আপনাদের ডাক্তার দেখাতে গিয়ে দেখছি ভালোই ব্যস্ত সময় পার করেছেন।বিশেষ করে অপেক্ষা আর খাওয়ার মাধ্যমে ভালো সময়ও কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।অপেক্ষা করতে আসলেই বিরক্তিকর লাগে,আর আপনাদের বাড়ি থেকে হসপিটাল বেশি দূরত্ব নয় দেখছি।ধন্যবাদ আপু।
পোস্টটি পড়ে দারুণ একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।