টিকিট বিড়ম্বনা!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আগামী ৭ তারিখ বাংলাদেশে ঈদুল আযহা। ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক কোটি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। ফিরে যাবে তার বাড়িতে নিজের পরিবারের সাথে ঈদ করতে। পরিবার ছাড়া ঈদ উৎযাপনে সত্যি কোন মজা নেই আনন্দ নেই। মোটামুটি একবছর হয়ে গিয়েছে আমার জবের। এখন পুরোপুরিভাবে বাইরে থাকি। এইজন্যই হয়তো আরও বেশি করে এই অনূভুতি টা বুঝতে পারি এখন। আমার অফিস শেষ হবে ৪ তারিখ বুধবার। ৫ তারিখ থেকে ১৩ তারিখ পযর্ন্ত ছুটি। ৯ দিনের লম্বা একটা ছুটি বলতে পারেন। তবে ঈদের সময় সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ টা হলো টিকিট সংগ্রহ করা। আগে আমরা দৌলতদিয়া - পাটুরিয়া ঘাট হয়ে যাতায়াত করতাম। তখন বাসের কোন সমস্যা ছিল না। বাসের টিকিট সহজলভ্য ছিল বলা যায়। তবে সময় লাগত ৬-৭ ঘন্টা।
তবে পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পরে আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হয়। ঢাকা থেকে আমাদের কুষ্টিয়া যেতে এখন সময় লাগে মাএ সাড়ে তিন চার ঘন্টা। কিন্তু সমস্যা অন্য জায়গাই। পদ্মা সেতু হয়ে আমাদের রুটে বাস সংখ্যা সীমিত। এইজন্যই টিকিটের জন্য বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। ২২ তারিখে আমি বাসের টিকিট সংগ্রহ করেছি। যেদিন প্রথম টিকিট ছাড়ে ঐদিনই। অর্থাৎ বাড়ি যাওয়ার প্রায় ১৫ দিন আগে। সাধারণত ভাড়া নেয় ৬০০ টাকা। কিন্তু ঈদ আসতেই সেই ভাড়া বেড়ে হয়ে গেছে ৮০০ টাকা। পথ এক রাস্তা এক তবে একপ্রকার দৈবক্রমে ২০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। কারণ এখন চাহিদা বেশি। কোন টিকিট পড়ে থাকবে না। আর এই সুযোগ টাই তারা নিচ্ছে। কিছু করার নেই টিকিট সংগ্রহ করে রাখলাম। যাক শান্তিতে বাড়ি তো যাওয়া যাবে। ।
তবে এখন চিন্তা ফেরার টিকিট কাটতে হবে। যেহেতু ১৪ তারিখ অফিস ১৩ তারিখে বিকেলের বাসে আবার ঢাকা ফিরব ঠিক করেছি। বাস কাউন্টারে কথা বললাম ওরা বলে ৩০ তারিখ যোগাযোগ করতে। ৩০ তারিখ যোগাযোগ করি সকালেই। ওদের স্বাভাবিক উওর ভাই বিকেলে ফোন দিয়েন এখন ও ছাড়িনি টিকিট। বিকেলে আমার এক বন্ধুকে পাঠিয়েছিলাম। টিকিট ছাড়ার মাএ ১০ মিনিটের মধ্যে ভালো টিকিট সব শেষ। আমার ভাগ্যে জুটলো একেবারে শেষ লাইনের একটা সিট। আমি মোটামুটি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম এতো দ্রুত বাসের টিকিট শেষ! কীভাবে সম্ভব। কিন্তু কিছু করার নেই। ট্রেনের টিকিট পুরোপুরি অনলাইন হয়ে যাওয়ার পরেও অনেক বড় একটা সিন্ডিকেট চলে। ট্রেনের টিকিট পাওয়া একপ্রকার অসম্ভব বলা যায় ঈদের সময়। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাসের টিকিটও।
বাংলাদেশে অন্য যে বাস ট্রান্সপোর্ট গুলো আছে তারা চাইলেও আমাদের রুটে এখন বাস সার্ভিস চালু করতে পারছে না। যদি তারা করতে পারতো তাহলে আমাদের ভোগান্তি কমে যেত। টিকিটের জন্য আর এভাবে তটস্থ থাকতে হতো না। কিন্তু গোল্ডেন লাইন কোম্পানির এক সিন্ডিকেটের জন্য অন্য ট্রান্সপোর্ট গুলো বেশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এরা আমাদের রুটে অন্য কোন বাস চালু করতে দিচ্ছে না যেন এদের একক আধিপত্য থাকে এবং এরা এইরকম অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে পারে। এদের কাছে আমরা একেবারেই নাজেহাল। আমাদের এগুলো মেনে নেওয়া ছাড়া কিছু করার নেই। কারণ বাড়ি তো যাওয়া লাগবেই। আমি হয়তো কষ্ট করে টিকিট পেয়েছি। কিন্তু আমার মতো অসংখ্য মানুষ আছে যারা টিকিট পাইনি। যোগাযোগ ব্যবস্থার আরও উন্নতি এখন সময়ের দাবি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1929461708432548351?t=ZzCEhymLVap2zsWUXQwpVQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর যাতায়াত সময় কমলেও বাসের সংখ্যা সীমিত থাকায় টিকিট সংকট দেখা দিচ্ছে। সরকার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি এই রুটে আরও বাস অপারেটরদের অনুমতি দেয়, তাহলে প্রতিযোগিতা বাড়বে এবং ভাড়া ও টিকিট প্রাপ্তি সহজ হবে। এ বিষয়ে পরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআরটিএ’র হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।