কিছু রাসায়নিক তথ্য
যে সকল ধাতু বাতাসের অক্সিজেনের সাথে সহজেই বিক্রিয়া করে এবং ক্ষয়প্রাপ্ত হয় তাদেরকে সক্রিয় ধাতু বলে। যার সক্রিয়তা যত বেশি সে তত সহজ বাতাসের অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। সকল ধাতুর সক্রিয়তা সমান নয়। ধাতুসমূহকে তাদের সক্রিয়তা অনুসারে সাজালে যে ক্রম পাওয়া যায় তাকে ধাতুর সক্রিয়তা ক্রম বলে। ক্রমটি: পটাশিয়াম > সোডিয়াম > ক্যালসিয়াম > ম্যাগনেশিয়াম > অ্যালুমিনিয়াম > দস্তা > লোহা > টিন > লেড > হাইড্রোজেন > কপার > পারদ > রুপা> প্লাটিনাম > সোনা।
১৯১৯ সালে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সর্বপ্রথম ইলেকট্রনের মতো প্রোটনও পদার্থের পরমাণুর একটি সাধারণ উপাদান- এ তথ্য প্রমাণ করেন। প্রোটন (H+) ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট (+1.6×10−19C)। এর ভর 1.673×10−24g, যা একটি হাইড্রোজেন পরমাণুর ভরের সমান। প্রোটন নিউক্লিয়াসে অবস্থান করে।বিজ্ঞানী জেমস চ্যাডউইক সর্বপ্রথম ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে নিউট্রন সম্বন্ধে ধারণা দেন এবং বলেন, হাইড্রোজেন 1 ব্যতীত অন্য যে কোনো পরমাণুর অভ্যন্তরে নিউট্রন বিদ্যমান। নিউট্রনের ভর 1.675×10−24g। এটি চার্জ নিরপেক্ষ। এটি পরমাণুর কেন্দ্রে অবস্থান করে।

ইলেকট্রন গ্রহণ বিজারণ বিক্রিয়ায় ঘটে। জারণ বিক্রিয়ায় ইলেকট্রন বর্জন ঘটে। পটাসিয়াম অ্যালুমিনিয়াম সালফেটের কেলাসকে পটাশ এলাম বলা হয়। বাংলা ভাষায় এর নাম ফিটকিরি এবং রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে K2SO4.Al2(SO4)3.24H2O.
জারক পদার্থ সমূহ- F2,Cl2,Br2,I2,O2,HNO3, উত্তপ্ত গাঢ় H2SO4,KMnO4,K2Cr2O7, পার অক্সাইড সমূহ, পারঅক্সি এসিড সমূহ ও তাদের লবণ সমূহ। বিজারক পদার্থ সমূহ - সকল ধাতু, হাইড্রোজেন এবং কার্বন। F মৌলটির তড়িৎ ঋণাত্মকতা সর্বাধিক। হ্যালোজেন Group এর সবার উপরে ফ্লোরিনের অবস্থান।
ড্রাই সেলে অ্যানোড হিসেবে সাধারণত ধাতব জিংকের তৈরী ছোট কৌটা ব্যবহার করা হয়। ম্যাঙ্গানিজ ডাই অক্সাইড (MnO2), অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড (NH4Cl), জিংক ক্লোরাইড (ZnCl2) ও পাতিত পানি মিশ্রিত করে প্রস্তুতকৃত কাই দ্বারা জিংকের তৈরী ছোট কৌটা পূর্ণ করা হয়। এরপর জিংকের কৌটাটির মাঝখানে একটি কার্বন (গ্রাফাইট) দণ্ড প্রবেশ করানো হয়। কার্বন দণ্ড ক্যাথোড হিসেবে কাজ করে।
লেবুর রসে সাইট্রিক এসিড থাকে। আপেলে ম্যালিক এসিড থাকে। তেঁতুলে টারটারিক এসিড থাকে।ওয়াটার গ্যাস- কার্বন মনোক্সাইড ও হাইড্রোজেন গ্যাস (CO+H2)
প্রোডিউসার গ্যাস- কার্বন মনোক্সাইড ও নাইট্রোজেন গ্যাস (2CO+N2)
কাস্ট আয়রনে ৪%, স্টিল বা ইস্পাতে ০.১৫-১.৫% এবং রট আয়রন বা পেটা লোহাতে ০.১-০.১৫% কার্বন বিদ্যমান।
এক মোল গাঢ় নাইট্রিক এসিড (HNO3) এবং তিন মোল গাঢ় হাইড্রোক্লোরিক এসিডের (HCI) মিশ্রণকে ‘অ্যাকোয়া রেজিয়া’ বা রাজাম্ল বলে। স্বর্ণ, প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতু গলাতে এটি ব্যবহৃত হয়।
ক্ষার ধাতুগুলোর আয়নীকরণ শক্তি হ্রাসের সাথে তাদের ইলেকট্রন ত্যাগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই ক্ষার ধাতুগুলো তীব্র বিজারক এবং এদের বিজারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্রম হলো: Li<K<Na<Rb<Cs.
যে সকল পদার্থকে অত্যন্ত শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রের মধ্য স্থাপন করলে সেগুলো চৌম্বকক্ষেত্রের বিপরীত দিকে ক্ষীণ চৌম্বকত্ব দেখায়, তাদের ডায়াচৌম্বক বলে। যেমন: তামা, রুপা, দস্তা, বিসমাথ, সীসা, পারদ, কাচ, মার্বেল, হিলিয়াম, পানি, আর্গন, লবণ(NaCl) ইত্যাদি ডায়াচৌম্বক পদার্থ। অ্যান্টিমনি একটি প্যারাচৌম্বক পদার্থ।
স্বর্ণের খাদ দূর করতে নাইট্রিক এসিড ব্যবহৃত হয়। ৯৬-৯৮% ঘনমাত্রায় নাইট্রিক এসিডে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO2) দ্রবীভূত থাকে। NO2 গ্যাস বের হয়ে বায়ুতে ধোঁয়া উৎপন্ন করে। তাই এই ঘনমাত্রায় নাইট্রক এসিডকে ধূমায়মান নাইট্রিক এসিড বলে।