ইটের ভাটার বর্তমান অবস্থা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই?
আশা করি প্রত্যেকেই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমাদের পরিবেশের একটা ক্ষতিকর জিনিস নিয়ে কথা বলতে এলাম। একটা সময় ছিল আমাদের এলাকায় তেমন কোন ইটের ভাটা ছিল না। কারোর ইটের প্রয়োজন হলে ৬-৭ কিলোমিটার দূর থেকে আনতে হতো।
পরবর্তীতে সুবিধা হয়েছে সবার জন্য৷ বাড়ির আশেপাশেই একটি বড় ইটের ভাটা হয়েছিল। এটা হয়েছে গত পাঁচ ছয় বছর আগে। দেখতে বেশ ভালই লাগতো যখন নদীর সাইডে যেতাম তখন বিকেল টাইমে ভাটার উপর যেতাম আর কিছু সময় কাটিয়ে আসতাম। যারা বিকেল বেলা ভাটার দিকে ঘুরতে গেছেন তারা হয়তো বুঝতে পারবেন পরিবেশটা অনেক সুন্দর থাকে সেখানে। যেহেতু ভাটা শীতের সময় চলে, শীতের শীতল বিকেলে সেখানে গিয়ে দাঁড়াতে ভালো লাগে। ভাটার চুল্লির একটা উষ্ণ ছোঁয়া পাওয়া যায়।
মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ভাটার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল অতিরিক্ত অপরিকল্পিত ভাটা আমাদের পরিবেশকে দূষিত করছে। যেমন ভাটার জন্য যে সকল জ্বালানি ব্যবহার করা হয় সেগুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিক । ভাটার জ্বালানি ব্যবহারের অনেক নিয়ম-কানুন রয়েছে কিন্তু সেগুলো তেমন কোথাও আমার মানা হয় না। প্রথমত গাছ কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা এরপর সেই গাছ পুড়িয়ে উৎপন্ন অতিরিক্ত ধোঁয়া মানুষের শারীরিক জটিলতা তৈরি করছে। ইটের ভাটার ধোঁয়ায় উৎপন্ন গ্রীন হাউজ গ্যাস জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। সঠিক নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এটা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব কিন্তু এটা করতে দেখা যায় না সচরাচর ।
আমাদের এলাকায় যেখানে ভাটা ছিল তারা আশেপাশে জনবসতি ছিল কিন্তু খুবই কম। সমস্যা হলো রিসেন্টলি আগেরটার থেকে আরও বড় একটি ভাটা হয়েছে নতুন। এটি আগেরটার থেকে প্রায় দ্বিগুণ। প্রথম যেদিন গেলাম সেদিন এর এরিয়া দেখে আমি রীতিমতো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। ধীরে ধীরে আশেপাশে অনেক জনবসতি গড়ে উঠেছে তাই আমার মনে হয় এই ভাটাটি আরো দূরে দিলে বেশি ভালো হতো। একটি ভাটা দেয়ার আগে অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। আর সেখানে এই সব বিষয়ে মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ অনুমতি দেয়। প্রশ্ন কিন্তু রয়েই যায় এখানকার অনুমতি দেওয়ার ব্যাপার গুলো নিয়ে। পরবর্তীতে জ্বালানি এবং প্রক্রিয়া গুলোর পর্যবেক্ষণের কোন অস্তিত্ব দেখা যায় বলে মনে হয় না।
এই সকল ভাটার আশেপাশে যারা বাস করে তাদের জটিল শারীরিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে কয়েক বছরের মধ্যেই। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ক্যান্সারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দিতে পারে। গুগল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রায় ২৫ হাজারেরও বেশি ইটের ভাটা রয়েছে। এখানে কতগুলো ইটের ভাটা পরিবেশের কথা চিন্তা করে নিয়ম মেনে পরিচালনা করা হয় সে বিষয়ে সন্দেহ থেকেই যায়।
কর্তৃপক্ষ যদি সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন না করে তাহলে এটি ফিউচারে অত্যন্ত ক্ষতিকারক একটি কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যদিও কিছুদিন আগে শুনেছি যে সরকার আইনের কিছু পরিবর্তন এনেছে সেগুলো ধীরে ধীরে ইমপ্লিমেন্ট করা হবে। বিভিন্ন দুর্নীতির কারণে হয়তো নিয়ম কানুনের ব্যবহার সচরাচর দেখা যাবে না কিন্তু ধীরে ধীরে পরিবর্তন হোক সেই আশা করি। ভালো থাকুক আমাদের পরিবেশ, ভালো থাকুক প্রত্যেকটি মানুষ। আমিন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

বেশ জন গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আজ পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনি। সত্যি বলতে ইটের ভাটা গুলো লোকালয় হতে দূরেই হওয়া প্রয়োজন। এতে করে পরিবেশ ও ভালো থাকবে আর মানুষগুলোর স্বাস্থ্যগত কোন সমস্যাও থাকবে না। তবে সরকার তো শুধু আইন করেই খালাস। আইন গুলোর সঠিক প্রয়োগ কি আদৌ হবে?
সত্যি বলতে কিছু জিনিস থেকে উপকার পেতে হলে সেটা সাইড ইফেক্টটাও মেনে নিতে হয় ঠিক সেরকমই এই ইটের ভাটা। যদিও বা পরিকল্পিতভাবে কাজ করলে সেই সাইড ইফেক্ট এর পরিমাণটা অনেকটাই কমিয়ে আনা যায় কিন্তু সেটা কতজনই বা করে। জনবসতীর কাছে ইটের ভাটা গড়ে তোলার অনুমতি পেয়েছে বিষয়টা জেনে খুবই খারাপ লাগলো। ওই ইটের ভাটার কাছে যাদের বাড়িঘর কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো বা তাদের বিভিন্ন রোগ ব্যাধি দেখা দিতেও পারে। যাইহোক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সচেতন মূলক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সচেতনামূলক পোস্ট শেয়ার করলেন ভাইয়া। এটা সত্যি আমাদের প্রয়োজন মেটাতে ইটের ভাটার গুরুত্ব আছে।তবে লোকালয়ে না হওয়াই ভালো। কেননা এতে করে জনজীবন অসুস্থ হয়ে পরে। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতনতার দরকার আছে।আশাকরি কর্তৃপক্ষ ও এই বিষয়টি নিয়ে সচেতন হবেন।
ভাই আপনি আজকে চমৎকার একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন। আসলে ভাঁটা যেমন আমাদের উপকারে আসে ঠিক তেমনি ভাঁটা আমাদের ক্ষতির দিকে আসে।তবে ভাঁটা টি যদি কোন ফাঁকা স্থানে অর্থাৎ সেখানে কোন মানুষ বসবাস করবে না সে ক্ষেত্রে ভাঁটা দেওয়া প্রযোজ্য মনে করি।কারণ এই ভাঁটার জন্য অনেক মানুষের ক্ষতি হতে পারে। হাঁপানি থেকে শুরু করে ক্যান্সার পর্যন্ত।যাইহোক আমাদের দেশের আইন যদি কিছু পরিবর্তন আসে তাহলে ভালোই হবে।আপনার পুরো পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
প্রতিটি জিনিসের যেমন প্রয়োজনীয়তা আছে ঠিক তেমনি তার ক্ষতিকারক দিকও আছে।মানুষের প্রয়োজন মেটানোর জন্য ইটের ভাটা খুবই দরকার কিন্তু যেখানে জনবসতি রয়েছে সেখানে ইটের ভাটা গড়ে তোলা মানেই সেখানকার মানুষ কে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলা।আমাদের মতো সাধারন মানুষ জেনে বুঝেও কোনো লাভ নেই,তার কারণ প্রশাসন যদি এসব বিষয় এ নজরদারি না রাখে তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই।জনসচেতনতামূলক একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই ভাইয়া।
ইট ভাটায় মানুষ কর্মব্যস্ত থাকে সকালের দিকে। সেজন্য বিকেলে থাকে একেবারে ফাঁকা। হাঁটতে গেলে বেশ ভালোই লাগে। আমার বাড়ি থেকে ৫০০ মিটারের দূরত্বে একটা ভাটা আছে। তবে সেটার চিমনি অনেক উচু। আর এর ধোয়া বেশ বিষাক্ত এবং পরিবেশ দূষণ করে। সেজন্য এটা লোকালয় থেকে দূরেই ভাটা স্থাপন করা উচিত।
আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।যেখানে সেখানে ইটের ভাটা গড়ে তুললে স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়ে যায় প্রতিনিয়ত।এজন্য ফাঁকা স্থানে সর্বদা ইটের ভাটা গুলো রাখা হয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ইট ভাটা পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমাদের বাসা থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে অনেকগুলো ইটের ভাটা রয়েছে। কয়েকবছর আগে ২ লক্ষ ইট কিনে কিনেছিলাম ১১ লাখ টাকা দিয়ে। মূলত ইট অগ্রিম কিনেছিলাম, টাকা দিয়েছিলাম ফেব্রুয়ারিতে এবং ইট দেওয়া শুরু করেছিল ডিসেম্বর মাস থেকে। ৩/৪ মাসের মধ্যে দুই লক্ষ ইট বিক্রি করেছিলাম। তো তখন থেকেই মাঝেমধ্যে ইট ভাটাতে যাওয়া হয়। শীতকালে বিকেল বেলা ইটখোলায় সময় কাটাতে দারুণ লাগে। ৩/৪ বছর আগে দেশের বিভিন্ন জায়গার ইটখোলায়, অভিযান চালিয়েছিল পরিবেশ মন্ত্রণালয়। তখন শুনেছিলাম সব ইট খোলা নাকি বন্ধ হয়ে যাবে। কিন্তু এখনো বন্ধ হওয়ার কোনো নাম নেই। দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।