"শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির নির্মাণের ইট ক্রয়"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ১৪ ই জানুয়ারি, রবিবার, ২০২৪ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
আমি আছি আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ঢাকা থেকে ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে আসার পরে বেশ ভালই প্রকৃতির মাঝে সময় অতিবাহিত করছি। আর হয়তো দু একদিন গ্রামের বাড়িতে থাকব তারপরেই আবার ফিরে যাব কংক্রিটে ঢাকা শহরে। গ্রামীণ প্রকৃতি সবসময় আমাকে মুগ্ধ করে আর গ্রামের প্রকৃতির মাঝে থাকতে সবথেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন যে, আমাদের পাড়ার ইয়াং জেনারেশনের উদ্যোগে সরস্বতী পরিকল্পনা করেছিলাম। আমি বাড়িতে আসার পরে অলরেডি সেটার বাস্তবায়নও করে ফেলেছি। কয়েকদিন আগে সরস্বতী মন্দির নির্মাণের ইট কেনার জন্য গিয়েছিলাম এলাকার একটি ইটভাটাতে। নতুন বছরের প্রথম দিন ইট কিনতে যাব এটা আমাদের আগেই প্লানিং ছিলো। আজকে আমি শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির নির্মাণের জন্য ইট ক্রয় করার অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা ইয়াং জেনারেশন যেহেতু কিছু টাকা জোগাড় করে ফেলেছিলাম তাই মন্দিরের কাজটা খুব তাড়াতাড়ি শুরু করতে চেয়েছিলাম। আরসেই জন্যই সেদিনই আমি আর আমার বন্ধু শ্যামল আমাদের পাশের এলাকার একটি ইটভাটাতে গিয়েছিলাম ইট কেনার জন্য। আমাদের বাড়ি থেকে ইটের ভাটার দূরত্ব মোটামুটি পাঁচ কিলোমিটার মতো। আমাদের এইদিকের প্রায়ই সকল মানুষই এই ভাটা থেকে ইট কিনে থাকে।
আমাদের এস্টিমেটিং অনুযায়ী এক হাজার ইট কিনার প্লান ছিলো। আমরা ইটের ভাটাতে গিয়ে প্রথমে ম্যানেজারের রুমে প্রবেশ করি। তারপর সেখান থেকে ম্যানেজারের সাথে ইট কেনার বিষয়ে বিস্তারিত বিষয় সম্পর্কে জেনে নিলাম। আমরা যেহেতু মন্দির এর কাজ করবো তাই আমাদের এক নম্বর ইটের প্রয়োজন। ইট সাধারণত চার ধরনের হয়ে থাকে এক নম্বর ইট, দুই নম্বর ইট, তিন নম্বর ইট এবং ঝামা ইট। আর সব থেকে বেশি দামি এবং ভালো ইট হলো এক নম্বর ইট।
আমরা প্রথমে গিয়ে ভাটার ইট গুলো দেখে নিলাম। তারপর ম্যানেজারের সাথে এক নম্বর ইটের দাম দর করলাম তিনি বললেন যে, এক নম্বর প্রতি এক হাজার ইটের দাম নয় হাজার টাকা। আমরা যেহেতু এক নম্বর ইট নেবো তাই অন্যান্য ইটের দাম জিজ্ঞাসা করলাম না। তারপর আমি ম্যানেজার সাহেব কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, সকল খরচ সহ ইট কি বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিবেন ৯০০০ টাকার ভিতরে নাকি আমাদেরকে আরো টাকা দিতে হবে বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য! তখন তিনি আমাদেরকে জানালো যে প্রতি এক হাজারের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিতে ৯৭০০ টাকা লাগবে। অর্থাৎ প্রতি ১০০০ বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে ৭০০ টাকা খরচ হবে।
তারপর আমরা ইটের ম্যানেজারকে শুধুমাত্র এক হাজার ইটের ৯০০০ টাকা দিলাম। তারপর আমরা ইট নেয়ার জন্য একজন টলি ড্রাইভারের সাথে কথা বললাম। ট্রলি ড্রাইভার বলল যে, আসলে সকালে ইট নিয়ে গেলে ভালো হয় কিন্তু আমরা সেখানে গিয়েছিলাম দুপুরের দিকে। তারপর আমরা বললাম যে, আমাদের আজকের ভেতরে এই ইট নিয়ে যেতে হবে কারণ আমাদের রাস্তার কাজ চলছে। তারপর তিনি ইট নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি হলো। তারপর আমি বললাম যে, তাহলে আপনি গাড়ি নিয়ে আমাদের সাথে চলুন ভালো ইট বাছাই করে নিয়ে যায়।
তারপর গাড়ির ড্রাইভার আর আমরা ভালো ইটের গাদি থেকে ১০০০ ইট বাছাই করে গাড়িতে তুললাম। যদিও ইটগুলা আমার আর আমার বন্ধুকে তুলতে হয়নি কারণে এগুলো টলি ড্রাইভাররাই তুলে থাকে। তারপর টলিতে ইট ভরা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে বাড়ির দিকে রওনা দিলাম। আমরা মোটামুটি বিশ মিনিটের ভিতরেই আমাদের মন্দিরের সামনে চলে আসলাম। ইটের গাড়ি আসা দেখে পাড়ার ছেলেপেলে ভীষণ খুশি ছিলো। আসলে নতুন করে শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির নির্মাণ করবো মনের ভেতর আমারও বেশ ভালো লাগছিলো।
তারপর মন্দির সামনে এসে ড্রাইভারকে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেখিয়ে দিলাম ইট রাখার জন্য। কারণ আমরা শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দিরের নির্মাণ কাজ করব তাই ইট যেখানে রাখলে আমাদের সুবিধা হবে আমাদেরকে সেখানেই রাখতে হবে। তারপর ইট নামানো শেষ হলে ট্রলি ড্রাইভারকে তার পাওনা ৭০০ টাকা পরিশোধ করে দিই। আর এর আগে আমরা এক ট্রলি অর্থাৎ ৫০ সিএফটি বালি কিনে রেখেছিলাম ১৬০০ টাকা দিয়ে আর চার বস্তা সিমেন্ট কিনে রেখেছিলাম ২২৭০ টাকা দিয়ে। শ্রী শ্রী মাতা সরস্বতী মন্দির নির্মাণের ইট কেনার অভিজ্ঞতা আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে।
পোস্টের ছবির বিবরন
ডিভাইস | স্যামসাং গ্যালাক্সি এফ-৫৪ |
---|---|
ক্যামেরা | ১০৮ মেগাপিক্সেল |
তারিখ | ১লা জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ |
লোকেশন | কুষ্টিয়া |
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


বাহ, সামনেই মা স্বরস্বতীর পুজো আসছে। আর তোমরাও একটি মন্দির তৈরির মানসিকতা নিয়ে অনেকখানি কাজ ই এগিয়ে ফেলেছো দেখছি। বেশ ভালো লাগলো। আশা করি যেন এবছরের পুজো থেকেই নতুন মন্দিরের পুজো শুরু হয়। শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ দিদি ইচ্ছা আছে এ বছরে পুজো নতুন মন্দিরে করার তবে মন্দির পুরোপুরি কমপ্লিট করতে পারব না এবছরে। অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ্! আপনারা অসাধারণ উদ্যোগ নিয়েছেন ভাই। ইট কিনতে গিয়ে তাহলে বেশ ভালোই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এবছর ইটের দাম অনেক কমেছে। গত বছর আমি ২৫,০০০ ইট কিনেছিলাম বিল্ডিংয়ের জন্য। তখন ১ হাজার ইটের দাম ছিলো ১৩/১৪ হাজার টাকা। যাইহোক আপনারা ১ হাজার ইট,বালি এবং সিমেন্ট যেহেতু কিনে ফেলেছেন,আশা করি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করবেন। আপনাদের এই উদ্যোগটি বেশ প্রশংসনীয়। আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাই ইটের দামে বছরে অনেক কমেছে। আপনারা উৎসাহ দিয়ে পাশে থাকলে সত্যিই অনেক বেশি ভালো লাগে ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর গঠনমূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।