একুশে বইমেলা( পর্ব - ৪ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
নালন্দা প্রকাশনীর স্টলে বেশ অনেক টা সময় কাটানোর পর আমি খুজতে থাকি বাতিঘর প্রকাশনীর স্টল। তথ্যকেন্দ্র থেকে যে স্টল নামার বলেছিল ঐ তথ্য মতে খুজতে থাকি। কিন্তু খুজে পাচ্ছিলাম। বেশ কিছুক্ষণ খোজাখুজির পর পেয়ে যায় বাতিঘর প্রকাশনীর স্টল টা। বাতিঘর প্রকাশনীতে সবসময় ভীড় থাকে। এদের বইয়ের মান যথেষ্ট উন্নত। এবং বেশ ভালো মানের লেখকদের বই উনারা প্রকাশ করে থাকে। বাতিঘর প্রকাশনীর জনপ্রিয়তার কারণ অবশ্য মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন স্যার। সবাই উনার বইয়ের অপেক্ষায় থাকে। বাতিঘর প্রকাশনীর স্টলে পাঁচজন মতো ছিল। এরমধ্যে যেখানে আমি দাঁড়িয়েছিলাম ওখানে ছিল এক আপু। উনাকে জিজ্ঞেস করলাম নাজিম উদ্দিন স্যারের "দ্যা ভিঞ্চি ক্লাব" বইটা কবে আসবে। উনি বলল ১৪ ই ফেব্রুয়ারিতে।
আমার পরে আরও কয়েকজন এই একই কথা জিজ্ঞেস করল। যাইহোক এরপর উনি নিজে থেকেই বলল আজ নাজিম উদ্দিন স্যার আসে। কখন আসবে জিজ্ঞেস করতেই বলল খুব দ্রুতই আসবে। সন্ধ্যার আগেই আসার কথা। কথাটা শুনে বেশ আনন্দ হয়েছিল। উনি আমার পছন্দের লেখক। উনি আসলে উনার থেকে
অটোগ্রাফ নেব এমনটা ভেবে রেখেছিলাম। যাইহোক এরপর আমি বই দেখতে শুরু করি। নাজিম উদ্দিন স্যারের অনেক গুলো বই আমার সংগ্রহে রয়েছে। অনেক গুলো পড়া রয়েছে। কিন্তু কেউ কেউ কথা রাখে বইটা আমার কাছে ছিল না। এইজন্যই প্রথমে ঐটা একটু নেড়েচেড়ে দেখি। এবং তারপর ঐটা কিনে নেয়। এরপর অন্য বইগুলো দেখতে থাকি। এবার বেশ কিছু নতুন লেখকের বই এসেছিল। আমি সেগুলো দেখতে থাকি।
এরমধ্যে একটা হলো ভবের হাট। লেখক জায়েদ মালিক এর প্রথম বই এইটা। একটা থ্রীলার বই। বইটার প্রচ্ছদ টা সুন্দর ছিল। পাশাপাশি স্টোরি লাইন টাও আমার ভালো লেগেছিল। এইজন্যই ঐ বইটা আমি কিনে নেয়। এরপর আমার নজরে আসে তানিয়া সুলতানা এর একটা বই। একটা শহর ঘাস হয়ে যাক। এটা ছিল কবিতার বই। বইয়ের মধ্যে থেকে বেশ কিছু কবিতা আমি পড়ি। কিন্তু ঐ বইটা আমি কিনিনি। সত্যি বলতে কেনার ইচ্ছা হয়নি। এরপর নজরে আসে পিদিম বইটা। এটা আমার উইসলিস্টে ছিল অনেক দিন আগে থেকেই। বইয়ের প্রচ্ছদটা বেশ দারুণ। তবে এই যাএায় আমি ঐটা কিনিনি। ঐটা আপাতত উইস লিস্টেই রেখে দিয়েছি। বাতিঘর প্রকাশনীতে দাঁড়ানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। একের পর এক মানুষ আসছিল। বেশ ভীড় জমে যায়।
এরপর আমি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন স্যারের ঢাবাকা বইটা হাতে নেয়। এটাও একটা থ্রীলার। হাতে নিয়ে একটু নেড়েচেড়ে দেখি আর কী। ঢাবাকার পর আমার নজর চলে যায় জুলাইয়ে গল্প বিয়ের দিকে। এটা গতবছর বের হয়েছে। বইটা বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া জুলাই আন্দোলন নিয়ে লেখা হয়েছে। বইটা আমার কাছে আগে থেকেই ছিল। এইজন্য আর নতুন করে কিনতে হয়নি। এভাবে একের পর এক বই দেখছিলাম। এরই মধ্যে স্টলের আপু টা আবার বলল নাজিম উদ্দিন স্যার সন্ধ্যার পরেই আসবে। আমি তো অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু আমার সাথে থাকা আমার বন্ধু অধৈয্য হয়ে যায়। সত্যি বলতে ও আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিল না।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily task
ভাইয়া আপনি একুশে বইমেলা থেকে দারুন কিছু বই কিনে নিয়েছেন। তবে আপনি নাজিমউদ্দিন স্যারের কাছ থেকে অটোগ্রাফ নিতে পারেননি। আপনার বন্ধুর অসুবিধা হওয়ার কারণে। যাইহোক একুশে বইমেলার চতুর্থ পর্ব পরে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।
ভাইয়া, একুশে বইমেলা থেকে আপনার সংগ্রহ করা বইগুলো বেশ আকর্ষণীয়। তবে দুর্ভাগ্যবশত নাজিমউদ্দিন স্যারের অটোগ্রাফ নেওয়া হয়নি, কিন্তু সেটা তো মেলার এক বিশেষ মুহূর্ত ছিল। আপনার বন্ধুর অসুবিধার কারণে হয়তো তা হয়ে ওঠেনি, তবে পরবর্তী সময়ে সুযোগ আসলে নিশ্চয়ই তা হয়ে যাবে। একুশে বইমেলার চতুর্থ পর্বের বিবরণটা সত্যিই চমৎকার ছিল, এটা পড়তে খুবই ভালো লাগলো। আপনার শেয়ার করা এই অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।