স্পেন দেশে আন্দালুসিয়া শহরে সান্টিয়াগো নামে এক ছেলে ভেড়া চরিয়ে বেড়াতো। তার ইচ্ছা ছিল সে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াবে তাই সে ভেড়া চড়ানোকে পেশা বানিয়ে ফেলে কারণ ভেড়ার দলকে নিয়েই সে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। প্রতিবারের মতো সান্টিয়াগো এবারো তার ভেড়ার দল নিয়ে এক দোকানদারের কাছে যাচ্ছিলো যার কাছে কিছুদিন আগেই ভেড়ার উল বিক্রি করে এসেছে সে খুশি ছিল কারণ দোকানদারের মেয়েকে তার ভালো লাগত। এবারো তার সেই মেয়ের সাথে দেখা হচ্ছে কিন্তু রাস্তা চলতে চলতে সন্ধ্যা নেমে আসে আর সান্টিয়াগো তার ভেড়ার পাল নিয়ে এক নির্জন চার্চে অবস্থান নেয়। রাত ঘনিয়ে এলে সে এক ডুমুর গাছের নিচে ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমের মধ্যে সে দেখে এক বাচ্চা ছেলে তার হাত ধরে পিরামিডের কাছে নিয়ে গিয়ে বলছে এখানে গুপ্তধন লুকানো আছে। সান্টিয়াগোর ঘুম ভেঙে যায় এবং সে অস্থির হয়ে পড়ে কারণ সে আগেও সেই একই স্বপ্ন দেখেছিল । সকাল হলে সান্টিয়াগো এক তান্ত্রিক বুড়ির কাছে যায় যে স্বপ্নের মানে বলতে পারত। বুড়ি সান্টিয়াগোকে বলে আমি এই স্বপ্নের মানে বলব বলল যদি গুপ্তধনের দশ ভাগের এক ভাগ আমাকে দাও। সে তার কথায় রাজি হয় আর বুড়ি স্বপ্নের ব্যাখ্যা বলতে শুরু করে। বুড়ি বলে তোমাকে মিশর যেতে হবে সেখানে পিড়ামিডের পাশে খোদাই করলে সে গুপ্তধন খুঁজে পাবে। সান্টিয়াগো বুড়ির কথা শুনে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যায় কারণ মিশর অনেক দূরে ছিল আর মাঝখানে ছিল বিশাল মরুভূমি। আসল কথা হচ্ছে পিড়ামিড পর্যন্ত পৌঁছাতে তার অনেক টাকার দরকার এসব ভাবতে ভাবতে সান্টিয়াগো সেখান থেকে বেড়িয়ে পড়ে। হঠাৎ রাস্তায় এক ভিখারি বেশে বুড়োর সাথে দেখা হয়। সান্টিয়াগো যখন তাকে এড়ে চলে যাচ্ছিলো তখন বুড়ো তাকে থামিলে নিজেকে রাজা হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলল আমি ভ্রমণ করতে ভালবাসি তাই এই পোশাকে একা বের হয়েছি। সে সান্টিয়াগোকে তার স্বপ্ন পূরণ করতে বলে এবং তার মনে আশ্বাস জাগায় এবং তার সমস্ত বেড়া বিক্রি করে দিয়ে মিশর যেতে বলে। সান্টিয়াগো রাজার জ্ঞান ও বুদ্ধিমতার উপর বিশ্বাস করে সমস্ত ভেরা বিক্রি করে দিয়ে পিরামিডের দিকে রওনা হয়। পথিমধ্যে সান্টিয়াগোর সাথে এক দালালের দেখা হয় এবং তাকে মিশর নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার থেকে সমস্ত টাকা নিয়ে গায়েব হয়ে যায়। সান্টিয়াগো অনেক দুঃখ পায় এবং নিজেকে দোষ দিতে থাকে যে কেন আমি এই গুপ্তধনের চক্করে পড়লাম। আমি কতই না সুখি ছিলাম আমার ভেড়ার পাল নিয়ে। সব কিছু হারিএ সান্টিয়াগো বাড়ি ফিরে যাওয়ার সিধান্ত নেয় কিন্ত হঠাৎ তার রাজার কথা মনে পড়ে যায় যে বলেছিল যাত্রাপথে অনেক বাধা আসবে সে যেন থেমে না যায়। রাজার কথা অনুসরণ করে সে খালি হাতে যাত্রাপথে রওনা হয়। সে যখন এক ক্রিস্টল সেলারের দোকানের সামনে পৌঁছায় তখন সে দোকানদারকে বলে সে তার সব ক্রিস্টাল পিচ পরিষ্কার করে দিবে কিন্তু তার বিনিময়ে তাকে যেন কিছু খেতে দেওয়া হয়। তখন দোকানদার তার কথা রাজি হয়ে যায়।দুইজন কাস্টমার দোকানে ক্রিস্টাল কিনতে আসে এই দেখে দোকানদার তাকে জব অফার করে। আর তখন সান্টিয়াগো সেই দোকানে কাজে লেগে পড়ে। সান্টিয়াগো দেখছিল পাহাড়ের উপরে ঊঠে কাস্টমারেরা সব ক্লান্ত হয়ে যায়। আর যেহেতু সেখানে তেমন কোনো খাওয়ার দোকান ছিলনা তাই সে কাস্টমারদের চা বিক্রি শুরু করে দেয়। যার কারণে অনেক বেশি কাস্টমারের ভিড় বেড়ে যায় আর এক বছরেই সান্টিয়াগো আর দোকানদার প্রচুর টাকার মালিক হয়ে যায়। এবার সান্টিয়াগো ভাবে তার কাছে অনেক টাকা আছে তাই আগের থেকে বেশি ভেড়ার পাল কিনে আগের মতো জীবন যাপন করতে পারবে। কিন্তু আবারো রাজার কথা মনে পড়ে যায় এবং সেই গুপ্তধনের পিছনে রওনা দেয়। মরুভূমির মধ্য দিয়ে যে যাত্রীবাহী গাড়ি করে যাচ্ছিল সেখানে তার এক ইংলিশ ম্যানের সাথে দেখা হয়। সে সান্টিয়াগোকে বলে সে আলকেমিস্ট এর খোঁজে যাচ্ছে যে কিনা যেকোনো ধাতুকে গোল্ডে রুপান্তর করতে পারে। সান্টিয়াগো সেই ইংলিশম্যানকে সাহায্য করর আগ্রহ প্রকাশ করে আলকেমিস্ট কে খুঁজে পেতে। তখন দুইজনই আলকেমিস্ট এর উদ্দেশ্য একটি কুয়ার কাছে পৌছালে সেখান এক সুন্দরী মেয়ের সাথে দেখা হয় যার নাম ফাতেমা। ফাতেমা তাদের আলকেমিস্ট এর আসল ঠিকানা বলে দেয়। এদিকে সান্টিয়াগো প্রথম দেখাতেই ফাতেমাকে ভালবেসে ফেলে। অন্যদিকে ইংলিশম্যান আলকেমিস্ট এর সাথে দেখা করে সোনা তৈরীর বিদ্যাটি শিখতে চায়। তখন আলকেমিস্ট বলে তুমি ১০ বছর ধরে যাকে খুঁজে বেড়াচ্ছ তা না করে যদি এই সময় তুমি নিজে চেষ্টা করতে তাইলে তুমিই এটি করতে পারতে। তাই এখনি যাও আর চেষ্টা করা শুরু করো। এদিকে সান্টিয়াগো আকাশে দুইটি বাজপাখি উড়তে দেখে চিন্তা করে গ্রামে শত্রুর দল হামলা করতে চলেছে। এইকথা সে গ্রামের সরদারকে জানায়। সরদার তাকে জানায় তার কথা অনুযায়ী তারা সঠিক বন্দবস্ত করবে কিন্তু তার কথা যদি সঠিক না হয় তাহলে তাকে জীবন দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সত্যি সত্যি কিছু শত্রুর দল ঐ গ্রামে আক্রমণ করে কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারনে তারা গ্রামের কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। এই ঘটনায় গ্রামের লোকজন সান্টিয়াগোকে প্রচুর অর্থ প্রদান করে। এবং ঐ গ্রামের কার্য নির্ধারণে দায়িত্ব দিয়ে দেয়।। সান্টিয়াগো এবার ভাবে তার কাছে অনেক টাকা আছে কাজ ও আছে তাই সে ফাতেমা কে বিয়ে করে ঐ গ্রামে থেকে যাবে। যখন সে ফাতেমা এই কথা জানায় তখন ফাতেমা বলে তুমি আগে তোমার লক্ষ্য পূরণ করো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব কারণ সত্যিকারের ভালবাসায় কেউ চায়না তার জন্য কারো লক্ষ্য ভ্রষ্ট হোক। এই কথা শুনে সান্টিয়াগো আলকেমিস্ট এর সাথে পিড়ামিডের দিকে রওনা হয়। আলকেমিস্ট তাকে কথা দেয় যে সে তাকে গুপ্তধন পেতে সাহায্য করবে। মরুভূমির পথে চলতে চলতে কিছু ডাকার তাদের আক্রমণ করে। তারা সান্টিয়াগোর সমস্ত টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে মেরে ফেলতে যায় সেই সময় আলকেমিস্ট বলে তোমরা জানো এই ছেলে কত বড় আলকেমিস্ট। ও চাইলে নিজেকে হাওয়ায় বদলাতে পারে এইটা শুনে ডাকাতরা হাসতে থাকে আর বলে ঠিক আছে আমরা ওকে তিনদিন সময় দিলাম এর মধ্যে যেন হাওয়ায় বদলে দেখায়। সান্টিয়াগো আলকেমিস্টকে বলে কিভাবে এটা সম্ভব কিভাবে আমি নিজেকে হাওয়ায় বদলাবো। তখন আলকেমিস্ট বলে তুমি মন দিয়ে চেষ্টা করো নিশ্চিয় পারবে। দুইদিন সান্টিয়াগো চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পরে তিন দিনের দিন সে একদম মন থেকে গভীর ধ্যানে বসে মরুভূমির ভাষা বুঝে যায় এবং নিজেকে হাওয়ায় বদলে ফেলে। এই দেখে ডাকাতদল ভয়ে পালিয়া যায়। এরপর তারা এক মন্দিরে পৌছায় সেখান আলকেমিস্ট কিছু তামাকে সোনায় রুপান্তর করে সান্টিয়াগো কে দিয়ে বলে এখান থেকে তুমি একাই পিরামিডে পর্যন্ত যেতে পারব। তখন সান্টিয়াগো পিরামিডের কাছে গিয়ে খোদায় শুরু করে এমন সময় আরো কিছু ডাকাত এসে তার সব সোনা ছিনিয়ে নেয়। তখন সান্টিয়াগো তাদের জানায় আমি স্পেন থেকে এখানে এসেছি কারণ আমি স্বপ্নে দেখেছিলাম এখানে গুপ্তধন লুকানো আছে। এই কথা শুনে ডাকাতরা হাসতে শুরু করে আর একজন বলে ঊঠে আরে এইভাবে কে নিজের স্বপ্নের উপর ভর করে এতদূর আসতে পারে আমিও স্বপ্ন দেখেছিলাম স্পেনে এক চার্চের ভিতরে ডুমুর গাছের নিচে অনেক সোনাদানা লুকানো আছে তার জন্য আমি সেখানে গিয়ে খোদাই করেছি। তারা সান্টিয়াগোকে পাগল ভেবে চলে যায় এবারে তার কথা শুনে সান্টিয়াগো হাসতে লাগল আর ভাবে আরে গুপ্তধনতো সেখানেই ছিল আমি যেখান থেকে এসেছি। সান্টিয়াগো আবার স্পেনে সেই চার্চে গিয়ে ডুমুর গাছের নিচে খোদাই করে গুপ্তধন পেয়ে যায়। সে তার দেওয়া কথা অনুযায়ী দশভাগের এক ভাগ তান্ত্রিক বুড়িকে দেয় এবং বাকি টাকা নিয়ে ফাতিমার কাছে চলে যায়।

শিক্ষা.
দ্যা আলকেমিস্ট পড়ে আমরা যা যা শিক্ষা অর্জন করতে পারি
- ভয় হচ্ছে জীবনের অন্যতম বাঁধা । জীবনে কষ্ট ছাড়া সফলতা অর্জন করা সম্ভব নয়। সফলতাকে না খুঁজলে সফলতা কখনোই ধরা দিবেনা।তাই অজানা কোনো কিছুকে ভয় না পেয়ে তা বরণ করা শিখতে হবে।
- সত্যর জয় সব সময় হয়৷ অর্থাৎ যেকোনো পরিস্থিতিতে সত্যের পথে থাকা।
- এক ঘেয়েমি বিষয়গুলো সরিয়ে ফেলা
- বর্তমানকে আলিঙ্গন করা অর্থাৎ অতীতে না ভবিষ্যতে না সব সময় বাঁচার চেষ্টা করতে হবে বর্তমানকে নিয়ে।
- সফলতার ঢেঊয়ের মতো প্রভাব রয়েছে অর্থাৎ যখন আমরা সংগ্রাম করবো তখন আমরা আরো বেশি উন্নত হবো।
- স্বপ্নের পিছনে লেগে থাকলে তা পূরণ হবেই
- জীবন চলার পথে অনেক বাঁধা আসবে তবে তার সামনে কখনো মাথা নত করা যাবেনা।
- স্বপ্নের পথে ধৈর্য ধরতে হবে।
- সঠিক উপদেশ মেনে চলা।
ব্যক্তিগত মতামত
এই বইতে পাওলো কোয়েলহো গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। এই বইতে লেখক তার প্রবল মানসিক চিন্তা ধারার প্রকাশ ঘটিয়েছে। এই বইটি প্রমান করে বই শুধু আনন্দ বা বিনোদনের জন্য নয় বই জীবন দর্শন ও জীবন পরিবর্তনে বিরাট ভুমিকা রাখে। দ্যা আলকেমিস্ট মুলত একটি রুপক ধর্মিক উপন্যাস। যার নায়ক এক তরুন আন্দালুসিয়ান মেষপালক। সে স্পেন থেকে মিশরে গমন করে তার স্বপ্ন পূরন করাএ জন্য। কারণ সে স্বপ্ন দেখেছিল পিরামিডের কাছে এক গুপ্তধন আছে। সান্টিয়াগো সেই স্বপ্ন পূরনের জন্য ছুটে চলে এবং তার এই যাত্রাকালে অনেক ধরনের বিপদের মুখোমুখি হয় কিন্তু সে সৎ ও ধৈর্য ধারণা করে সব কিছুই মোকাবিলা করে। এই গল্পের প্রতিটি কথা শিক্ষনীয় আলোচনা করা হয়েছে সব থেকে ভালো লেগেছে যখন মরুর বুকে ডাকাতদল তাদের আক্রমণ করে এবং আলকেমিস্ট ডাকাতদের বলে সান্টিয়াগো বাতাসে বদলাতে পারে। কিন্তু সান্টিয়াগো জানত সে পারবে না কিন্তু তার কঠোর অধ্যবসায় এই অসম্ভব কে সম্ভব করে দেয়। যদিও এটি কাল্পনিক ভাবে বলা হয়েছে অদম্য ইচ্ছা আর সৎ উদ্দেশ্য থাকলে আমাদের সামনে সকল বাঁধা হাঁটুগেড়ে বসবে।
যেমন দারুণ গল্প তেমনি তার ঘটনাক্রম।এই বইয়ের মূল বিষয়টি অনুপ্রেরণামূলক।জীবন মানেই ঘাত প্রতিঘাত আসবেই।কিন্তু লক্ষ্য স্থির থাকলে জয় আসবেই।খুবই সুন্দর বিচার পেশ করেছেন আপনি এই বই নিয়ে।ধন্যবাদ।
দাদা বইটি না পড়লে পড়ে দেখিয়েন। অসাধারণ একটি বই।
অবশ্যই পড়বো।আমার প্লট খুব ভালো লেগেছে।
এই ধরনের বাংলা অনুবাদিত গল্প গুলো পরতে আমার খুবই ভালো লাগে।আপনি অনেক সুন্দর ভাবে গল্পটির রিভিউ করেছেন পড়ে খুবই ভালো লাগলো।আপনার জন্য শুভ কামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
দি আলকেমিস্ট বুইটি অনেক সুন্দর করে রিভিউ করেছেন যদিও আমি আগে পড়িনি তবে আপনার রিভিউ পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
দ্য আলকেমিস্ট বইটি থেকে আসলেই অনেক কিছু শিখার আছে। এ কথাটা সত্য যে সত্যের জয় সবসময় হয় এবং ভয় পেয়ে বসে না থেকে কোন অজানা বিষয়কে মোকাবেলা করা উচিত। আপনার বুক রিভিউ টি পড়ে বইটি পড়তে মন চাচ্ছে। দেখি এখানে কোথাও লাইব্রেরীতে বইটি খুজে পাই কিনা।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করার জন্য।
বইটি না পড়ে থাকলে অবশ্যই পড়বেন। ইন্টারন্যাশনাল বেস্ট সেলার বই। অসাধারণ বই।
আপনার এই বই রিভিউ করার ব্যাপারটি ভালো লেগেছে। ভিন্ন কিছু ট্রাই করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগলো ।
ব্যস্ততার কারণে আসলে বই পড়া হয় না তবে মাঝে মাঝে বই পড়তে ইচ্ছে করে কিন্তু কোন বইটি পড়লে ভালো হবে সেটি খুঁজে পাইনা।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগল ভাইয়া। কি টাইপের বই পড়তে চান যদি বলতেন!
আসলে উদ্দেশ্য সৎ হলে সবকিছু জয় করা সম্ভব। সে স্পেন থেকে মিশরে গেছে স্বপ্ন পূরণ করার জন্য সত্যিই অনেকে বিপদ মোকাবেলা করেছে অবশেষে জয়ী হয়েছে। অনেক ভালো লাগলো পড়ে আপু খুবই শিক্ষণীয় এবং একটাই কথা যে মানুষ চেষ্টা করলে সব কিছু সম্ভব । শুধু ইচ্ছা শক্তি আর অধ্যবসায়ের প্রয়োজন।
হা ভাইয়া। আপনার ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম
সফলতা পেতে হলে সত্যিই অনেক পরিশ্রম করতে হবে আর ধৈর্য ধারণ করতে হবে ।এই কথাগুলি আমরা জানার পরেও আমি মনে করি আমাদের বারবার এমন পোষ্ট পড়া উচিত যাতে করে আমাদের ভিতরে সেই জজবা বা সেই কাজ করার মতো আগ্রহটা তৈরি হয়।
এই বইটি পড়লে সত্যি অনেক অনুপ্রেরণা পাওয়া যাবে নিজের জীবনকে সুন্দর করার জন্য ।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি বইয়ের রিভিউ দেয়ার জন্য।
আমি খুব খুশি হবো যদি আপনি বই টা পড়েন আমার অনুরোধ।
আমি আপনার এই কথাটির সাথে একদম একমত আপু। আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে ভয় কারন আমরা কোন একটা কাজ তখনই করিনা যখন আমরা ওই কাজকে ভয় পাই। তখনই আমরা দূরে সরে যাই,তখনই আমরা নিজের অজান্তেই বুঝতে পারি না যে আমরা আমাদের সফলতা কে হাতছাড়া করছি। অনেক সুন্দর পোস্ট লিখেছেন আজকে।যদিও আমি বইটি পড়ি নি তবে অবশ্যই পড়বো।আপনাকে সবসময় ভালো লাগে কারণ আপনার কথা গুলা বেশি সুন্দর।
পড়ে দেখবেন ভাইয়া অনেক ভালো লাগবে।
আমার এখন মনে হচ্ছে আমার চিন্তাভাবনা সান্টিয়াগোর মতো হওয়া উচিৎ। কারন আমরা একটু বাধাপ্রাপ্ত হইলেই চিন্তাভবনা বদলে ফেলি, অথচ সান্টিয়াগো প্রথমেই ভেড়ার পাল বিক্রি করার পর পথিমধ্যেই তার টাকা দালাল এর হাতে পরে হারিয়ে ফেলে কিন্ত আমরা হইলে সেখান থেকেই হাল ছেড়ে দিতাম। ঘটনা কাল্পনিক হইলেও অনেক গুরুত্বপূর্ন বার্তা বহন করে। ধন্যবাদ আপনাকে এমন শিক্ষামূলক পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া
আপনি খুব সুন্দর করে রিভিউ দিয়েছেন বইটি।পোস্টটি লিখতে অনেক সময় দিতে হয়েছে বোঝাই যাচ্ছে।গল্পটি খুবই শিক্ষনীয়।আমাদের সবসময় ধৈর্য্য, বিশ্বাস ও সততার সঙ্গে চলতে হবে।পরিশ্রম করে যেতে হবে ফলের আশা না করে।তবেই সফলতা ধরা দেবে।ধন্যবাদ আপু।
ঠিক ধরেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে