আসুন সবাই রক্তদানে এগিয়ে আসি || আপনার রক্তে বেঁচে যেতে পারে একটি প্রাণ !!!

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হে লো আমার বাংলা ব্লগ বাসী। কেমন আছেন সবাই। আশা করি ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আবার ও হাজির হলাম একটি পোস্ট নিয়ে। আশা করি সবার ভালো লাগবে।



blood-donation-4151721_1920.jpg

Image by Gerd Altmann from Pixabay

বাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্ট। দিন কাল কেমন যাচ্ছে আপনাদের? গরমে খুবই অবস্থা খারাপ আমার। গরম আমি একদমই সজ্য করতে পারিনা। কোনো ভাবেই না। অথচ আমারই গরম এর মধ্যে থাকতে হয় বেশি। বিশেষ করে আমার পার্টস এ এত্তো বেশি গরম যা বলার বাইরে। আমি তো ঘামাতে ঘামাতে শেষ। অবশ্য অন্যান্য বার থেকে এবার একটু বেশিই ঘামাচ্ছি। এর জন্য অবশ্য ডাক্তার দেখাবো ভাবতেছি। তবে সেটা ভাবনাতেই রয়ে গেলো আমার। সময়ই পাচ্ছিনা কোণো ভাবেই। তো যাই হোক আজ আপনাদের ব্লাড ডোনেশন নিয়ে কিছু কথা বলবো।



world-blood-donor-day-1477405_1280.png

Image by siberian_beard from Pixabay


আমার মনে হয় ব্লাড ডোনেশন মহৎ মহৎ যে কাজ গুলো আছে সেগুলোর মধ্যে অন্য তম। একটু বেশিই মহৎ মনে হয়। রক্ত দান করার পর আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে। আসলেই কিন্তু রক্ত দান মহৎ কাজ। কারণ রক্ত আপনি তৈরি করতে পারবেন না। আবার কিনতে পাওয়া যায় যে রক্ত গুলো সেগুলো কতটুকু পিওর সেটাও বুঝা কঠিন। সব মিলিয়ে রক্তদানই আমার কাছে সেরা কাজ মনে হয়। আমি নিজেও নিয়মিত রক্ত দান করি। আর করতে ভালো বাসি খুব। এখন পর্যন্ত ৬ বার রক্ত দান করেছি। প্রথম বার বাদ দিলে বাকি ৫ বার ৫ জন কে দিয়েছি। বিশ্বাস করেন। এত্তো ভালো লাগা কাজ করে ভিতরে যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। প্রথমবার রক্ত দেওয়ার পর এক যে ঘটনা ঘটেছিলো আমার সাথে। এটা মনে পরলে হাসি পায়। আমি রক্ত দেওয়ার পর একটু বসে দেখলাম কই আমার তো মনেই হচ্ছেনা যে রক্ত দিয়েছি। তো ক্লাসে মার্কশীট দিচ্ছিলো ওটা নিতে চলে যাই। বেস। ক্লাসে ঢুকতে দেড়ি। দেখলাম সারা দুনিয়া অন্ধকার। যতদূর মনে পরে একটা মেশিন ধরে নিজেকে পরে যাওয়া থেকে বাচিয়ে ছিলাম। ভাগ্য ভালো ছিলো ফ্রেন্ড রা সব দৌড়ে এসে আমাকে ধরে।

heart-5724137_1280.png

Image by Mohamed Hassan from Pixabay

এরপর যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখি আমি কেম্পাসের মেডিকেল বেড এ। ডাক্টার বললো ব্লাড দিলে সেটা শরীরের উপরের দিক থেকে যায়। ব্রেইন এ রক্ত চাপ কম থাকে। ফলে অক্সিজেন এর ঘাটতি হয়। আর এ জন্যই ব্রেইন কাজ করেনা। সাজেশন দিলো রক্ত দিলে ১০ মিনিট শুয়ে থাকতে। এরপর আর কখনো এই সমস্যা হয়নি। আপনারা আবার আমার ঘটনা শুনে ভয় পাইয়েন না। রক্ত দান অনেক মানবিক কাজ। এতে যেমন আপনার অন্তরে অনেক ভালো লাগা কাজ করবে। তেমনি আপনার রক্তে একটি জীবন ও বেঁচে যেতে পারে। আমাদের দেশে রক্ত দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হচ্ছে নিজের পরিবার। এটার সম্মুক্ষিন আমিও হয়েছি। তবুও বাসায় বুঝাই রক্ত দিয়েছি ২ বার। এখন বাবা মা তো। তাদের চিন্তা হবেই স্বাভাবিক। তারা না করবেই। কিন্তু সব সামলে নিতে হবে আপনার নিজেরই। আমি যেমন পরের বার গুলোতে বলতাম ব্লাড ডোনার নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু গিয়ে আমিই দিয়ে আসতাম। ভালো কাজের জন্য না হয় একটু মিথ্যেই বললাম। এতে করে যদি একজন এর ভালো হয় তাহলে আমার কাছে মানসিক শান্তিটাই প্রাধান্য পাবে।

blood-1968458_1280.png

Image by 200 Degrees from Pixabay

রক্ত দিয়ে যেয়ে পরিবার এর মতন মানুষ পেয়েছি এমন ঘটনাও আছে আমার। সেবার ছিলো আমার ২য় বার রক্ত দান। আমার এক বন্ধু বললো ব্লাড দিতে যেতে হবে নারায়ণগঞ্জ এর ঐদিক। আমিও রাজি হলাম। রক্ত দিতে তো আর ক্ষতি নাই। তো চলে গেলাম বন্ধুর সাথে। ডোনার হিসেবে আমরা দুজন গেলাম। ও পজিটিভ রক্ত আমার। সেখানে যেয়ে আগে বাসায় নিলো। অনেক আদর পেলাম তাদের থেকে। এরপর রক্ত দেওয়ার পর আমাদের যেতে দিলোনা। আবার বাসায় নিয়ে গেলো। এবার বাসায় নিয়ে পেট ভরিয়ে খাইয়ে দিলো। এত্তো পদের আইটেম করছে যা বলার বাইরে। আমি যেনো সেই বাসারই একজন এমন মনে হচ্ছিলো। এমন অনেক স্মৃতি রয়েছে আমার। অনেকেই ভাবেন রক্ত দিলে রক্ত কমে যাবে। এটা আসলে ভুল ধারনা। রক্তে লোহিত কণিকা যেমন তৈরি হয় আবার নষ্ট হয়ে যায়। তাই আপনি রক্ত দিলেও নষ্ট হবে আবার না দিলেও নষ্টই হবে। দিলেও উৎপাদন হবে। না দিলেও উৎপাদন হবে। এর থেকে রক্ত দান করা ভালোনা। একজন সুস্থ মানুষ ৩ মাস পর পর রক্ত দান করতে পারে। আপনি নাহয় ৫ মাস করে সময় নেন। তবুও রক্ত দান করুন। মনে রাখবেন আপনার রক্তেই বেঁচে যেতে পারে একটি প্রাণ। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগিদের কিছুদিন পর পরই রক্ত দিতে হয়। কারণ তাদের শরীরে রক্তের লোহিত কণিকা তৈরি হয়না। তাই বলি আসুন সবাই রক্তদানে এগিয়ে আসি।


তো আজ এই পর্যন্তই। আশা করি ভালো লেগেছে। কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেননা। ভালো থাকবেন সবাই। আবার দেখা হবে নতুন এক পোস্ট এ।



░▒▓█►─═ ধন্যবাদ ═─◄█▓▒░

break .png

Purple Yellow Black Neon SciFi YouTube Banner (800 × 260 px) (800 × 250 px).gif

break .png

আমি রাজু আহমেদ। আমি একজন ডিপ্লোমা ইন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি থেকে। আমি বাঙ্গালী তাই বাংলা ভাষায় লিখতে ও পড়তে পছন্দ করি। ফোন দিয়ে ছোটখাট ছবি তোলাই আমার সখ। এছাড়াও ঘুরতে অনেক ভালো লাগে।

break .png

Banner.png

break .png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। ঠিক বলেছেন তিনমাস পর পর আমরা এক ব্যাগ রক্ত দিয়ে বাঁচাতে পারিনি একটি প্রাণ। এতে নিজের শরীর যেমন ভালো থাকে তেমনি বেঁচে যাবে একটি প্রাণ। সত্যি এর চেয়ে মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারে না। তবে আমি এখনও পর্যন্ত একবারও রক্ত দান করিনি।কিন্তু উল্টো আমার শরীরে আরও এক ব্যাগ ভরা হয়েছে। আপনি ৬ বার রক্ত দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। তবে এই বিষয়ে পরিবারের কাছে একটু বকা খেতে হয়। কিন্তু আমি মনে করি মহৎ কাজে বকা খাওয়া আর মিথ্যা বলায় ক্ষতি নেই।

 2 years ago 

হুম। আমরা চাইলেই সবাই রক্ত দিয়ে একটি প্রাণ বাচাতে পারি।

 2 years ago 

রক্ত দান করার পর যখন একজনের প্রান বেঁচে যায় ৷ তখন আসলে এর চেয়ে ভালো লাগা কিছু নেই৷ ভাই আমিও এখনো পযন্ত ২ বার দিয়েছি ৷ আর রক্ত দান করার মতো মহৎ কাজ হতেই পারে না ৷ ভালো লাগলো আপনার ৬ বার রক্ত দান করার কথা টি শুনে ৷

 2 years ago 

ভালো লাগলো শুনে ভাই। আশা করি সামনে সুযোগ পেলে আরো দিবেন।

 2 years ago 

হ্যাঁ রক্ত দান একটি মহৎ কাজ। আমরা কিন্তু চাইলেই তিন মাস পর পর রক্ত দিয়ে বাচাঁতে পারি একটি প্রাণ। এতে করে নিজেও যেমন ভালো থাকা যায় তেমনি ভাবে আর একটি জীবনও বেচেঁ যায়। কিন্তু এত মহৎ একটি কাজ হলেও আমি এখনও রক্ত দান নামক কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে পারিনি। ধন্যবাদ ভাইয়া এ পর্যন্ত ৬ বার রক্ত দিয়ে মহৎ কাজে সামিল হওয়ার জন্য।

 2 years ago 

জ্বি আপু। রক্ত দিলেও লোহিত কণিকা নষ্ট হবে না দিলেও নষ্ট হবে। এর থেকে ভালো দেওয়া।

 2 years ago 

এক ব্যাগ রক্তের কারণে একটি প্রাণ বেঁচে যেতে পারে এর থেকে মহৎ কাজ আর কি হতে পারে। পৃথিবীতে যত কাজ আছে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে রক্তদান। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে রক্তের অভাবে। আবার অনেক মানুষ বেঁচে যাচ্ছে রক্তের বিনিময়ে। সবাই যদি এভাবে সচেতন হন মানুষের পাশে দাঁড়ান তাহলে অনেক সোয়াবের একটি কাজ অনেক মঙ্গলের একটি কাজ।

 2 years ago 

একদম আপু। একটি প্রাণ বাচাতে পারাটা অনেক কিছু।

 2 years ago 

রক্ত দান করা একটি মহৎ কাজ। আমি মনে করি রক্তদান করার থেকে মহৎ বড় কাজ আর হতে পারে না। এই রক্তের জন্য প্রতিনিয়ত অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে। এরকম এক ব্যাগ রক্তের জন্য বেঁচে যেতে পারে একজন মানুষের প্রাণ। আপনি ছয় বার রক্ত দিয়েছেন জেনে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

হুম আপু। ঠিক বলেছেন। রক্ত দানের মত মহৎ কাজ আর কিছু হতে পারেনা।

 2 years ago (edited)

সত্যি বলতে রক্তদান একটা মহৎ কাজ। তবে ভাই আমি কেন যেন ভীষণ ভয় পাই রক্ত দেখেই। আজ পর্যন্ত কাউকে রক্ত দেওয়ার সাহস করে উঠতে পারি নি সেজন্য। তবে মনে মনে এতটুকু জোর আছে যে কোন ইমারজেন্সি মুহূর্ত আসলে অবশ্যই দিতে পারব। আপনি যে এতবার রক্তদান করেছেন এটা জেনেও অনেক উৎসাহ পেলাম ভাই। পুরো লেখার মাঝে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা তুলে ধরেছেন। খুব সুন্দর একটা লেখা উপহার দিয়েছেন এক কথায়।

 2 years ago 

আমিও শুরুতে ভয় পেতাম। কিন্তু একবার দেওয়ার পরই সব ভয় কেটে যায় ভাই। একবার সাহস করে দিয়ে ফেলেন। দেখবেন ভয় নাই আর।