ছোট্ট পরিসরে ছোট মেয়ের বার্থডে উদযাপন, রয়েছে সাথে কিছু অনুভূতি
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
যদিও আমি বার্থডে পালন করা পছন্দ করি না, কিন্তু তারপরও মেয়েদের মন রক্ষার্থে ছোট্ট পরিসরে সামান্য আয়োজন করে থাকি।শুধুমাত্র আমার মেয়েদের প্রথম জন্মবার্ষিকী গুলো রেস্টুরেন্টে বড় করে উদযাপন করেছিলাম।এরপর থেকে ঘরেই ছোট্ট করে আয়োজন করে থাকি। আর এই দেশে ছোট থেকে বড় সকলেই বার্থডে পালন করাকে খুব বড় করে দেখে।আর বাচ্চাদের কথা তো ভিন্ন, তারা তিন চার মাস আগে থেকেই কাউন্ট করতে থাকে কবে তাদের বার্থডে আসবে। যদিও আমর বড় মেয়ে গত বছর তার বার্থডে সেলিব্রেশন করেনি, সে বলেছে আমি এবার চাইনা কেক কাটতে। তাই কোন আয়োজন করিনি শুধু তাকে তার গিফট কিনে দিয়েছিলাম। আর তার ফ্রেন্ড এসেছিল গিফট নিয়ে।কেকের অর্ডার দেইনি দেখে তার ফ্রেন্ডের নানু নিজে কেক বানিয়ে পাঠিয়েছিল।যাইহোক ছোট মেয়ে তার তিনজন ফ্রেন্ডকে ইনভাইট করেছিল, এছাড়া আমার ভাসুরের ফ্যামিলিও এসেছিল। ছোট্ট পরিসরে আমাদের গতকালের আয়োজনটি ছিল।
মেয়ের ফার্স্ট বার্থডে উদযাপন করেছিলাম যখন।
বাচ্চারা চোখের পলকেই কিভাবে বড় হয়ে যায়।এই তো সেদিন জন্মগ্রহণ করেছিল।শত কষ্টের মাঝে যখন তার মুখটি দেখেছিলাম তখন কষ্টটা কতটা লাঘব হয়েছিল তা সকলেই জানেন যারা মা হয়েছেন।অনেক কষ্ট হয়েছে দুজনকে একসাথে লালন পালন করতে। হাজব্যান্ড চলে যেত তার কাজে, আর আমাকে দুজনকেই দেখাশোনা করতে হতো।বাংলাদেশে তো কেউ না কেউ থাকে সাথে, কিন্তু আমার কেউ ছিলনা পাশে।ছোট মেয়ের জন্মের দুই তিন মাস পরেই রোজা হয়েছিল। রোজার সময় যে কত কষ্ট হয়েছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না।ইফতারের সময় ভালোমতো ইফতারও করতে পারিনি।ইফতারের সময় কান্নাকাটি শুরু করে দিত। এরপর তাকে বাউন্সিং চেয়ারে শুইয়ে দিয়ে এক পা দিয়ে চেয়ার নাড়াচাড়া করতাম আর ইফতার করতাম।আর রাতের বেলায় ঘুমানোর সময় আরও কষ্ট হতো। ছোট মেয়ের দিকে কাঁত হয়ে ঘুমালে, বড় মেয়ে টানাটানি করতো তার দিকে ঘুরে ঘুমাতে, তাকে ঘুম পাড়াতে হবে।তার কথা ছিল কেন শুধু বেবিকে আদর করি? তাহলে চিন্তা করুন দুই বাচ্চা একসাথে বড় করা চাট্টিখানি কথা? অনেক কষ্ট করে লালন-পালন করতে হয়।যাইহোক আজ ১০ বছর পূর্ণ হয়ে গেল।তাদের ছোটবেলার অনেক স্মৃতি রয়েছে যার কিছু কিছু অনেক আনন্দ দেয়।তাদের কিছু কিছু একটিভিটিস, হাঁটা শেখা, কথা বলা শেখা সত্যি এগুলো ছিল অনেক আনন্দের।আমার কাছে তো মনে হয় বাচ্চারা ছোট থাকাতে কষ্ট হলেও শান্তি তখন বেশি।যতই বড় হয় ততই টেনশন, তাদের লেখাপড়া নিয়ে চিন্তা, স্কুল-কলেজে পাঠানো, মানুষের মত মানুষ হতে পারবে কি না? হাজারও চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খায়।যাইহোক আজ তাহলে এতটুকুই।আমার বাচ্চাদের জন্য দোয়া করবেন যেন তাদেরকে মানুষের মতো মানুষ করে গড়ে তুলতে পারি।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

দেখতে দেখতে ছোট্ট বাচ্চারা বড় হয়ে যায়। আসলে চোখের সামনেই সন্তানরা বেড়ে ওঠে। মামনিও অনেক বড় হয়ে গেছে। ছোট মামনিকে জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। অনেক অনেক ভালোবাসা এবং দোয়া রইলো আপু।
0.00 SBD,
0.28 STEEM,
0.28 SP
দুই বাচ্চা একসাথে বড় করা খুবই কষ্টকর। সেটা তো আমি এখন পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারছি। বাসার কেউ ঠিকমতো ঘুমাতে পারে না এখন। যাইহোক মামনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
0.00 SBD,
0.27 STEEM,
0.27 SP
দেরি করে হলে ও শুভেচ্ছা আপু।আপনার ছোট মেয়ের ১০ বছর পূর্ণ হয়ে গেলো। অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি।বাচ্চাদের ছোট সময়টা মায়েদের কষ্টে কাটলেও সেই অনুভূতি গুলো অনেক আনন্দের।ছোট ছোট হাত,পা,আঙুল,হাঁটতে শেখা,কথা বলা সবকিছুরই অনুভূতি অনেক আলাদা।দোয়া করি দুই মেয়ের জন্য তারা বড় হয়ে ভালো মানুষ হয়ে গড়ে উঠুক।