কাঁচা আমের সিজন চলছে এখন বাংলাদেশে

in আমার বাংলা ব্লগ5 days ago
আসসালামুআলাইকুম

বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।

IMG_8319.jpeg

ফটোটি ফেসবুক থেকে নিয়েছি।

কাঁচা আম দেখলেই যেন জিভে পানি চলে আসে। হ্যাঁ বন্ধুরা কাঁচা আমের সিজন চলছে এখন বাংলাদেশে।ফেসবুকে ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে অনেকেই তাদের বাগানের বা গাছে ঝুলে থাকা আমের ফটোগ্রাফিগুলো শেয়ার করছেন।দেখতে কি যে ভালো লাগে আর ছোটবেলার সেই মধুর স্মৃতিগুলো ভেসে ওঠে।ছোটবেলায় গ্রামের বাড়িতে একটু বাতাস হলেই চলে যেতাম গাছের তলায়।বৃষ্টি বা ঝড়ের আগে যে প্রবল বাতাস প্রবাহিত হতো তাতে অনেক আম নিচে পড়ে বিছিয়ে থাকতো। ওই মুহূর্তে কি যে ভালো লাগতো তা আর বলে বোঝাতে পারবো না। আসলে আম কুড়াতে যে কত সুখ তা আমাদের ছোটবেলায় সেই কবিতার বই থেকেই বোঝা যায়।যে কবিতার সাথে আমরা কম বেশি সকলেই পরিচিত।

|

আয় ছেলেরা, আয় মেয়েরা
ফুল তুলিতে যাই।
ফুলের মালা গলায় দিয়ে মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ

আমার কাছে কিন্তু দাদা বাড়ি বেশি ভালো লাগতো। দাদা বাড়ি আমার সমবয়সী অনেক কাজিন সিস্টাররা ছিল। খুব বেশি মজা হত, নানা বাড়িতে মজা হত, কিন্তু সেখানে অতটা বেশি আনন্দ পেতাম না। কিন্তু তারপরও ছুটির সময় সকলে দল বেঁধে নানুবাড়িতে যেতাম আম খেতে। কাঁচা আম কেটে মাখিয়ে সকলের সাথে খেতে কি যে আনন্দের ছিল তা আর বলে বোঝানো যাবে না।আমার কাছে কিন্তু পাকা আম থেকে কাঁচা আমের সিজন বেশি ভালো লাগতো। আর পাকা আমও যখন গাছ থেকে পেড়ে আনা হতো তখনো এক অন্যরকম আনন্দ অনুভূত হতো। আমার আব্বু আমের সিজনে প্রতি সপ্তাহেই গ্রামের বাড়িতে যেত। আর বস্তা ভরে পাঁকা আম নিয়ে আসতো।আমাদের গ্রামের বাড়িতে অনেকগুলো আমের গাছ ছিল। এক একটি গাছের আমের একেক রকমের স্বাদ, এখনো যেন মুখে লেগে রয়েছে।

ইংল্যান্ডে কিন্তু ১২ মাসই কাঁচা-পাকা আম পাওয়া যায়। কিন্তু গাছ থেকে কাঁচা আম পেড়ে খাওয়ার যে মজা সেটা আর পাওয়া যায় না। লাস্ট কবে কাঁচা আম গাছে ঝুলে থাকতে দেখেছি তা বলতে পারবো না।আমরা যখন বাংলাদেশে যাই তখন আমের সিজন থাকে না। অবশ্য তখন বাজারে অনেক আম থাকে কিন্তু দাদা ও নানু বাড়িতে গেলে গাছে ধরে থাকা সেই আমগুলো আর দেখা যায়না।কারন তখন আমের সিজন চলে যাওয়ার পথে।ঠিক এই সময় যেতে পারলে আনন্দের ওই মুহূর্তগুলো দেখতে পেতাম। কিন্তু এখন তো আর যাওয়া সম্ভব নয় কারণ বাচ্চাদের স্কুল খোলা রয়েছে। তাদের স্কুল জুলাইয়ের শেষের দিকে বন্ধ হয়। আর একটানা ছয় সপ্তাহের জন্য স্কুল বন্ধ থাকে। এত লম্বা সময়ের ছুটি আর কখনো পাওয়া যায় না। যদিও ডিসেম্বরে ছুটি পাওয়া যায় কিন্তু ডিসেম্বরে তিন সপ্তাহের মত স্কুল বন্ধ থাকে। কিন্তু এত অল্প সময়ের জন্য গিয়ে কোন লাভ নেই।

যাইহোক বন্ধুরা ফেসবুকে গিয়ে আমের দৃশ্যগুলো দেখে ছোটবেলার কিছু স্মৃতি মনে পড়লো।আর সেখান থেকে আমার এই পোস্টের আইডিয়াটি চলে এলো। আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

Photographer@tangera
DeviceI phone 15 Pro Max

বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।

ধন্যবাদ,

@tangera

1927F0BC-A81B-459C-A2F6-B603E4B2106C.png


👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :

VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


[witness_vote.png](https://steemitwallet.com/~witnesses

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 4 days ago 

বাইরের জীবন এদিক দিয়ে কষ্টের।ইচ্ছে হলেই সব সিজনে এসে আনন্দ উপভোগ করা যায় না।বাচ্চাদের স্কুল,লেখাপড়া, কাজকর্ম এসব নিয়ে ভাবতে হয়।তাইতো ফেসবুকে গাছে আম ঝুলে থাকা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমরা স্মৃতিচারণ করতে পারি।অনুভুতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে। অদুর ভবিষ্যতে এই সিজনে বাংলাদেশে আশার তৌফিক আল্লাহ দিবেন এমনটা দোয়া করি আপু।

 4 days ago 

সত্যি আপু গাছ থেকে আম পেরে খাওয়ার আনন্দটাই অন্যরকমের। বাজার থেকে কেনা আমের টেস্ট যেরকমই হোক না কেন নিজের গাছের আমের মত কখনোই হয় না। কি আর করার আপু। যেহেতু দূরে থাকেন তাই লম্বা ছুটির অপেক্ষায় থাকতে হয়। এই সময় দেশে আসলে সত্যিই ভালো হতো।