অবশেষে ফরিদপুর থেকে ঢাকায় এবং প্রথম পদ্মা সেতু দেখার অভিজ্ঞতা
বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ? আশা করি ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুল্লিাহ ভাল আছি।
টানা ১১ দিন ফরিদপুরে কাটানোর পর চলে এলাম ঢাকা।আমাদের বাসা এখন একেবারেই খালি পড়ে রয়েছে কারণ আমি আমার মাকেও সাথে করে নিয়ে এসেছি। বাসায় শুধু রয়েছে ভাই। আর ভাই আসতে পারেনি কারণ ওর অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা চলছে। ৬ তারিখে সে চলে আসবে, কারণ ৬ তারিখে আমাদের প্ল্যান রয়েছে কক্সবাজার যাওয়ার।মা, ভাই, বোন সকলে মিলে আমরা কক্সবাজার যাচ্ছি।ঢাকায় দুই বোনের বাসায় কিছুদিন থাকব। সেখান থেকে কিছু কেনাকাটা এবং আরো কয়েকটি স্থানে ঘোরাঘুরির প্ল্যান রয়েছে।কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে বৃষ্টি।গতকাল থেকে একটানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। বৃষ্টি শুধু পড়েই যাচ্ছে। এভাবে বৃষ্টি হলে কিভাবে কোথায় যাব সেই চিন্তায় করছি।ওয়েদার সার্চ করে দেখলাম এ সপ্তাহ জুড়েই বৃষ্টি রয়েছে।
উপরের ফটোগ্রাফি গুলো ঢাকা থেকে তোলা হয়েছে।
সিলেট থেকে যখন ফরিদপুরে যাচ্ছিলাম তখন খুব ইচ্ছা ছিল পদ্মা সেতু দেখব।কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত রাতের বেলায় আমাদেরকে যেতে হয়েছে তাই ভালোভাবে দেখতে পারিনি।আজকে যেহেতু দিনের বেলায় এসেছি তাই দেখতে পেয়েছি, কিন্তু বৃষ্টির জন্য একটু বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।তারপরও অনেক ভালো লেগেছে। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে রাস্তাঘাটের অবস্থা এত খারাপ যে তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু পর্যন্ত রাস্তা খুবই চমৎকার।কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে পদ্মা সেতু পার হয়ে (ভাঙ্গা) রাস্তা এত খারাপ ৪০ মিনিটের রাস্তা লেগেছে প্রায় দেড় ঘন্টার মত।বুঝিনা রাস্তা এত খারাপ কিন্তু তারপরও রাস্তাঘাট মেরামত করা হচ্ছে না। লাস্ট টাইম যখন এসেছিলাম তখন পদ্মা সেতু ছিল না।তখন আমরা ফেরি পারাপারে ফরিদপুর যেতাম আর ওই রাস্তা খুবই ভালো ছিল।ফেরিতে যাওয়া আসা করতে আমার খুবই ভালো লাগতো, অন্যরকম এক ভালোলাগা কাজ করত। তখন খুব কাছ থেকে নদী, নদীর ঢেউ উপভোগ করা যেত। কিন্তু এখন নদী ভালোভাবে দেখা যায় না।তবে এটা বলা যায় পদ্মা সেতু হয়ে বেশ ভালোই হয়েছে চার ঘন্টার রাস্তা এখন প্রায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টার মধ্যে চলে আসা যায়। কিন্তু প্রবলেম হচ্ছে রাস্তা। রাস্তাটা একটু ভালো হলে খুবই আরামদায়ক হত জার্নিটা
পদ্মা সেতুর কিছু ফটোগ্রাফি
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে বুঝতেই পারছেন কতটা বৃষ্টিপাত হয়েছে। পুরো জার্নিটা জুড়েই বৃষ্টি ছিল।যাইহোক এই বৃষ্টির মধ্যে ভালোভাবে পৌঁছে গিয়েছি আমাদের গন্তব্য স্থলে। কিন্তু এখন শুধু অপেক্ষার পালা কখন একটু ভালো ওয়েদার আমরা পাব।
Photographer | @tangera |
---|---|
Device | I phone 15 Pro Max |
বন্ধুরা এটিই ছিল আমার আজকের আয়োজন।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে।
ধন্যবাদ,
👉 আমাদের discord চ্যানেল এ JOIN করুন :
VOTE @bangla.witness as witness
OR
[

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟
哇! @tangera, what a fantastic glimpse into your travels! Your photos beautifully capture the Dhaka scenery and the impressive Padma Bridge, even with the rain. I especially appreciate your honest perspective on the road conditions – it's always good to know the real story behind the journey. The excitement about your upcoming family trip to Cox's Bazar is contagious! I hope the weather cooperates and you have a wonderful time. Your iPhone 15 Pro Max is doing an amazing job capturing these moments. Thanks for sharing your adventure and these captivating images with us! What are you most looking forward to seeing in Cox's Bazar?
অতিরিক্ত বৃষ্টি একেবারেই ভালো লাগে না। কোথাও গিয়ে শান্তি পাওয়া যায় না। কয়েকমাস আগে পদ্মা সেতু দিয়ে কুয়াকাটা গিয়েছিলাম। পদ্মা সেতু পার হওয়ার পর রাস্তা একেবারেই বাজে। তাই কুয়াকাটা যেতে প্রচুর সময় লেগেছিল। যাইহোক পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় এসেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো। তৌহিদা আপু এবং তানিয়া আপুর বাসায় গিয়ে বেশ মজা করবেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
বাংলাদেশে বেশ ভালই সময় পার করছেন বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে। গরম কিছুটা কম পেয়েছেন বৃষ্টির জন্য তা না হলে গরমে অস্থির হয়ে যেতেন। তবে বৃষ্টির মধ্যে ঘুরে বেড়াতে কস্ট লাগে। আর ঢাকায়তো বৃষ্টি হলেই রাস্তায় পানি জমে যায়। তবে আপনার পদ্মা সেতু দেখা হয়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক অনেক আনন্দ করেন পরিবারের সাথে এই দোয়া করি।
দেখতে দেখতে ফরিদপুরে ১১ টা দিন কেটে গেলো।এখন ঢাকাতে আছেন।সত্যি ই ওয়েদারটা বেশ নাজুক এখন।এই রোদ এই বৃষ্টি। সবাই মিলে ঘুরতে যাবেন খুব বেশি আনন্দ হবে।আশাকরি সমটা খুব সুন্দরভাবে উপভোগ করবেন।শুভকামনা রইলো সবার জন্য।