
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের বিভিন্ন প্রকার বিস্কুটের সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। তবে এই বিস্কুট গুলো লোকাল এরিয়াতে তৈরি। হয়তো অনেকের কাছে অপছন্দনীয় তবে আমার বেশ ভালো লাগে এজন্য আমি এগুলা মাঝেমধ্যে কেনার চেষ্টা করে থাকি। যাইহোক আশা করি অজানা বিস্কুট সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আর ফটোগ্রাফি গুলো ধারণ করেছিলাম বামুন্দি বাজার থেকে।
এ মুহূর্তে আপনারা যে বিস্কুটটা দেখতে পাচ্ছেন এটার নাম কেক বিস্কুট। অবশ্য কেক মানে পিঠা, বিস্কুট তাকে বোঝায় তারপরও এলাকায় ঠিক এই নামেই বলে থাকে। এখন ভুল আমার আপনার যাই হোক না কেন এর লোকাল নাম কেক-বিস্কুট খেতেও বেশ সুস্বাদু। অনেকটা টেস্ট পরীক্ষার মত কথা। কারণ আমরা জানি টেস্ট মানে পরীক্ষা। কিন্তু বলে থাকি টেস্ট পরীক্ষা। যাই হোক চেষ্টা করবেন এই বিস্কুটটা খাওয়ার জন্য বেশ সুস্বাদু ভালো লাগে। তবে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি কিনা একটু জানার চেষ্টা করলে আরো ভালো। আমি যতটা জানি তেমন বেশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি নয় আর ভালো উপাদান থেকেও তৈরি হয় না তারপরেও স্থানভেদে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ হতে পারে সেটা আপনার নিজ দায়িত্বে ক্রয় করতে হবে।

এটার নাম জানতে চেয়েছিলাম উত্তর পেয়েছিলাম সন্দেশ বিস্কুট। হয়তোবা জানি সন্দেশ সাদা হয়, তার পরেও যেহেতু বিস্কুট এইজন্য তার আদলে গড়া হতে পারে। খেতে বেশ সুস্বাদু আর আমারও খুব প্রিয়।

এই বিস্কুটটার স্থানীয় নাম সল্টেস বিস্কুট। এটা মিষ্টি নয়, লবণাক্ত। খেতে ভালো লাগে, বিশেষ করে চায়ের সাথে ভিজিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে আমার। আপনারা দুধ চায়ের সাথে ট্রাই করে দেখতে পারেন।

এই বিস্কুটটা অনেকের সারা বিস্কুট আবার কেউ চাঁদ বিস্কুট বলে থাকে। এছাড়াও আলাদা একটা নাম শুনেছিলাম যেটা মনে নেই। মুখের মধ্যে দেয়ার পরেই যেন খুব দ্রুত নরম হয়ে যায়। খেতে বেশ ভালো লাগে একটা মুখে দেওয়ার পর যেন একাধিক ইচ্ছে করে মুখে তুলতে থাকি এমনই এর স্বাদ।

এ পর্যায়ে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন চিড়ি চানাচুর ভাজা। এটা একসাথে চিড়ি চানাচুর মিশ্রণে বিক্রয় হয়ে থাকে। চিড়ি যেমন তেলেভাজা, ঠিক তেমনি চানাচুর ভাজা সাথে বাদাম ভাজা থাকে। আর এভাবেই এইটা তৈরি করা হয়েছে যা মুড়ির সাথে মিশিয়ে খেতে আমার বেশি ভালো লাগে।

এটা চকলেট পিঠা, কেউ বলে লাঠি পিঠা, আবার কেউ বলে থাকে রাজশাহীর বিস্কুট। তবে যে যায় নাম বলে না কেন এটা কিন্তু আমাদের রাজ বাবু খেতে বেশি পছন্দ করে। অর্থাৎ আপনাদের প্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর ছেলে। আমি যখন অনেক প্রকার বিস্কুট নিয়ে এসে আমাদের শোকেসের বড় ড্রয়ারে রাখি তখন সে এটাই কিন্তু বের করে বারবার খেতে থাকে। তাই বলতে পারি বাচ্চাদের ভালো লাগে এই বিস্কুট, তবে তাদের বেশি না খাওয়ানো উচিত।

এটা লোকাল চানাচুর ভাজা। কারণ এমন লোকাল চানাচুর অনেক পাওয়া যায় দেশের বিভিন্ন জায়গায়। কেউ লাইসেন্স করে তৈরি করে বেঁচে কেউ লাইসেন্স না তৈরি করেও বিক্রয় করে। তবে আগেকার দিনে গ্রামে চানাচুর ভাজা বিক্রয় করে বেড়াতো বাদাম ভাজা বিক্রয় করে বেড়াতো। এখন দেখা যায় অনেক ইউটিউবারের ভয়ে এগুলো বিক্রয় করা থেকেও অনেকে ভয় পায়।

এটা পাতা বিস্কুট গাছের পাতার আদলে তৈরি করা হয় এই বিস্কুটগুলো। খেতেও যেমন সুস্বাদু তেমন ভালো লাগে আমারও। তাই আমি যখন এই জাতীয় বিস্কুট গুলো কিনে থাকি, অবশ্যই সবটাই নেওয়ার চেষ্টা করি।

এটা টোস্ট বিস্কুট। কিছুটা চিনি জড়ানো থাকে খোরমা জাতীয় বিস্কুটটা খেতে বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে একটু খটমোটে হওয়ার জন্য আমার তেমন একটা ভালো লাগে না। বিস্কুট বেশ স্বাদের। কিছু কিছু বিস্কুটে ক্রিম দেওয়া থাকে ঠিক তেমনি মনে হয় এটা।

Photography device: Infinix hot 11s
Location
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |

ভাইয়া আপনি খুবই মজাদার বিস্কিটের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটা বিস্কিট কম বেশি সবসময়ই খাওয়া হয়েছে।তবে চিড়া চেনাচুর কখনো খাওয়া হয়নি।এই ফটোগ্রাফি খুব ইউনিক লেগেছে। প্রতিটা বিস্কিট চায়ের সাথে বেশ জমে উঠে। বিকালের নাস্তায় এই বিস্কিট খুব কাজে আসে। ধন্যবাদ ভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এগুলো আমার খুবই প্রিয় আপু।
বামুন্দিতে যেয়ে আপনি দেখছি অনেক ধরনের বিস্কিটের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এমন ধরনের বিস্কিট আমি মাঝেমধ্যে কিনে থাকি ।বিস্কিট কিনে রাখলে মাঝেমধ্যে খাওয়া হয় ।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর সুন্দর বিস্কিট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমি তিন থেকে পাঁচ কেজি করে কিনি
ভাই বিস্কুট গুলো তো অনেক লোভনীয়। আর আমার পছন্দের বিস্কুট হলো সল্টেস। কিন্তু তার দাম আকাশ ছোঁয়া হয়েছে। আর পরিমান কম। ছোট বেলায় সল্টেস আর বানানা বিস্কুট খুব খাওয়া হতো ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।
ওটা আমারও ভালো লাগে ভাই।
যদিও এই বিস্কুট গুলোর দাম অন্যান্য বিস্কুট থেকে অনেকটা কম কিন্তু খেতে অনেক বেশি পরিমাণে সুস্বাদু। আমি মাঝে মাঝেই এই বিস্কুট বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে আসি। যেহেতু কেজির দরে এগুলো কিনতে পাওয়া যায় তাই অনেক সাশ্রয়ী হয়।
হ্যাঁ আমি একবারে এনার্জির প্যাকেট কিনি আড়াইশো টাকা দিয়ে সে জায়গায় লক্ষ্য করে দেখেছি ১৫০ টাকায় ঠিক ততটুক বিস্কুট হয়
ভাইয়া আপনি আজকে আমাদের মাঝে বিভিন্ন রকমের বিস্কুটের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যা দেখে লোভ সামলানো বড় ভাই। তবে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে নাম না জানা বিস্কুটের নাম জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আপনার শেয়ার করা বিস্কুট গুলোর মধ্যে ড্রাই কেক বিস্কুট আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া, এত সুন্দর সুস্বাদু বিস্কুট এর কয়েকটি ফটোগ্রাফ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ওটা আমারও ভালো লাগে।
বাহ আপনার ফটোগ্রাফি গুলো তো দারুন হয়েছে। এই বিস্কুট গুলা খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। সব থেকে বেশি ভালো লাগে হলুদ রঙের কেক বিস্কুট খেতে। খুবই ভালো লাগলো আপনারা আজকের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এই বিস্কুটগুলো আমারও খুব প্রিয়।
আমাদের বাজারেও এভাবে লোকাল বিস্কুট বিক্রি করে থাকে। মানুষ এই বিস্কুট গুলো প্রচুর কেনাকাটা করে । যেটা সকালে নাস্তা হিসেবে বা বাড়িতে একটু বাচ্চাদের জন্য কিনে থাকে। আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। খুবই ভালো লেগেছে। বিস্কুট গুলো খেতে ভালোই মজা।
আমি নিজের জন্য কিনে থাকি ভাই।