মেয়ের জন্মদিনে কাটানো মূহুর্ত

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরি করেছি আজকের পোস্ট।

মেয়ের জন্মদিনে কাটানো মূহুর্ত

1000018662.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি মেয়ের জন্মদিনে কাটানো মূহুর্ত নিয়ে। বাচ্চাদের জন্মদিন না করতে চাইলেও হয়ে যায়। যদি ও এবার জন্মদিন করার কোন ইচ্ছে ছিল না কিন্তু আমার বলার আগে আমার মেয়ে তার বান্ধবীদের দাওয়াত করেছে।তারপর আর কি করা বন্ধু বলে কথা। আসলে বলতে গেলে একজনকে রেখে অন্য জনকে বলা যায় না।তারপর তেমন কারো বলিনি শুধু আমার মেয়ের বন্ধু বান্ধবী। যদিও তেমন কিছু করিনি তারপর করতে গেলে একটু হয়েই যায়।তবে অনুষ্ঠান ছোট হলেও আনন্দটা অনেক বড় ছিল। বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি।তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000018635.jpg

1000018638.jpg

1000018636.jpg

1000018633.jpg

আমি যখন রান্না শুরু করি তখন বাচ্চারা প্রাইভেট পড়তে গিয়েছে। তারপর পড়া শেষ করে এসে খেতে বললাম কিন্তু তারা খাবে না। তারা একেবারে পোলাও খাবে। আমার মনে হয় সকল বাচ্চাদের পোলাও অনেক পছন্দ।তারপর গোসল শেষ করে বাচ্চারা চলে গেল বান্ধবীদের ডাকতে।যদিও আমি না বলেছিলাম আসলে রান্না একটু লেট হয়েছিল তারজন্য। কিন্তু বাচ্চারা কথা শোনে না সবাইকে ডেকে এনে ঘর সাজানো শুরু করলো।তারপর তারা খাওয়ার আগেই সব গোছগাছ করেছে।আর ঘরের ভিতরে তারা অনেক আনন্দ করছে।

1000018679.jpg

1000018683.jpg

1000018680.jpg

1000018678.jpg


তারপর রান্না শেষ করার পরে সবাই এক সাথে খেতে দিলাম। আসলে বাচ্চারা খাবার চেয়ে তাদের কেক এর প্রতি দূর্বলতা বেশি।তারা তারাতাড়ি খাওয়া দাওয়া শেষ করলো।যদি ও তেমনি কিছু আয়োজন করতে পারিনি।তবে যতটা সম্ভব করার চেষ্টা করেছি। আসলে বাচ্চাদের পছন্দ অনুযায়ী রান্না করেছি।তাদের চিকেন, পোলাও, মুগডাল, বেগুন ভাজি, পায়েস। বেশ ভালো করে খেয়েছে। আসলে খাবারটা কিন্তু অনেক মজা হয়েছিল।শুধু বাচ্চারা না বড়রা ও খেয়ে অনেক ভালো বলেছে।

1000018648.jpg

1000018647.jpg

1000018654.jpg

তারপর বাচ্চারা বসলো কেক কাটতে। আসলে বাচ্চারা যত কিছু খাক না কেন কেক না খেলে তাদের মন ভরে না।তারপর সবাই মিলে শুরু করলো কেক কাটা। আসলে কেক কাটার সময় একেক জন একেক রকম ভাবে কেক নিয়ে কাড়াকাড়ি করে।তারপর কেক কেটে সবাই মিলে মজা করে খেয়েছে। আসলে বাচ্চাদের খাওয়ার চেয়ে আনন্দটাই বেশি বেশি।আমরা সবাই মিলে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয়তথ্য
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদ পুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Sort:  
 6 months ago 

আবার একটি মামণির জন্মদিন বিষয়ক লেখা পড়ে ভালো লাগছে আপু। খুব সুন্দর করে ওর জন্মদিন পালন করেছেন। বন্ধুবান্ধবরা না এলে শিশুদের জন্মদিন এমন আনন্দদায়ক হবে কি করে। এই বন্ধুরা সকলে এসে নিজেরাই ঘর সাজিয়েছে শুনে বেশ ভালো লাগলো। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন। কেকের প্রতি ওদের একটা আলাদা দুর্বলতা আছেই।

 6 months ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বন্ধুরা এলে তারা অনেক খুশি হয়, ধন্যবাদ আপনাকে।

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 6 months ago 

আপনার মেয়ের জন্মদিনের সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন দেখে খুব ভালো লাগলো আমার। তবে একটু হাস্যকর মনে হল পাশে বসে থাকা বাবুটাকে দেখে। যাই হোক অনেক অনেক ভালো লাগলো এত সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।

 6 months ago 

ধন্যবাদ আপু পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 6 months ago 

আপনার মেয়ের জন্মদিনের কেক কিনার মুহূর্তগুলো দেখেছিলাম। আজকে পোষ্টের মাধ্যমে জন্মদিন উদযাপন এর মুহূর্ত গুলো দেখে ভালো লাগলো। সবাই মিলে খুব সুন্দর ভাবে বার্থডে সেলিব্রেট করেছেন। বাচ্চারা তো দেখছি খুবই খুশি। দারুন এই মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

জি আপু বাচ্চারা অনেক খুশি ছিল, ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

আপনার মেয়ের জন্মদিনের কেক কেনার অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছিলেন সেটা পড়া হয়েছিলো আমার। আজ আপনি জন্মদিনে কাটানো মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। জন্মদিনে বেশ দারুন মুহূর্ত উপভোগ করেছেন সবাই মিলে। সুন্দর মুহূর্তটি আমাদের সাথে সুন্দরভাবে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

গঠন মূলক মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

আপু আপনার মেয়েদের মত আমার ছেলেও মনে হয় একটু পোলাও খেতে পছন্দ করবে। মাঝে মাঝে আমি যখন ওকে পোলাওয়ের খিচুড়ি রান্না করে দিয়ে ও বেশ পছন্দ করে। তবে আপনার মেয়ের বুদ্ধিটা কিন্তু দারুন আগে থেকেই বান্ধবীদের দাওয়াত করে এসেছে যেন অবশ্যই তার জন্মদিন পালন করা হয়। তবে বাচ্চাদের এভাবে মাঝে মাঝে আনন্দ দিলে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। আপনার মেয়ে জন্মদিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইলো আপু। দোয়া করি ওরা যেন সব সময় ভালো অসুস্থ থাকে আর অনেক বড় হয়।

 6 months ago 

জি আপু বাচ্চারা জন্মদিন অনেক আনন্দ করে, ধন্যবাদ আপু।

 6 months ago 

আপু আপনার মেয়েকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। জন্মদিনের বাচ্চারা সত্যি অনেক আনন্দ করে। আর তাদের আনন্দ দেখলেও অনেক ভালো লাগে। সবার সাথে আপনার মেয়ে অনেক আনন্দ করেছে আপু। ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট দেখে।

 6 months ago 

সাবলীল মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

 6 months ago 

আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার বাবুর জন্মদিনের বিষয়। আসলে নিজের সন্তানের জন্মদিন বলে কথা। পিতা মাতার মনে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে এই জন্মদিনে। বারবার ফিরে আসুক হাসি আনন্দের মাঝে আপনার বাবুর জন্মদিন।

 6 months ago 

আমাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া

 6 months ago 

আসলে বাচ্চারা এরকমই হয়। বাচ্চারা সবাই একসাথে কোনো কিছু উদযাপন করতে বেশি পছন্দ করে। আর এই জন্যই তো আপনার বাচ্চারা তার বন্ধু-বান্ধবদের ডেকে এনেছিল। মেয়ের জন্মদিনে সুন্দর একটা সময় কাটালেন দেখে ভালো লাগলো। আপনার মেয়েকে তার জন্মদিনের শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা।

 6 months ago 

জি আপু অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছি,ধন্যবাদ আপনাকে।