"বিষণ্ণতা কে রোগ হিসেবে দেখা হয় না অথচ এই বিষণ্ণতা কেড়ে নিচ্ছে কত প্রাণ"
প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় কথা বলবো যে বিষয়টি কম বেশি আমাদের সকলের সাথে ঘটে থাকে।কিন্তু যখনই সেটা কারোর ক্ষেত্রে মাত্রা ছাড়িয়ে যায়,তখনই সে ভয়ংকর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
কথা বলছি বিষন্নতা নিয়ে।বিষণ্ণতার মানে আপনারা সকলেই জানেন।ইংরেজিতে যাকে Depression বলে, তার বাংলা মানেই হলো বিষন্নতা।আসলে কিছু কিছু শব্দ আছে যেগুলো বাংলার থেকেও ইংরেজিতেই বেশী পরিচিতি পায়।
আমার বিশ্বাস সকলে অন্তত অন্তত এই depression শব্দটির সাথে পরিচিত।জীবনে বহুক্ষেত্রে বহুবার আমরা এই বিষণ্ণতার শিকার হয়ে থাকি,সেটা পারিবারিক দিক থেকে হোক,কোনো নির্দিষ্ট একটি সম্পর্ককে নিয়ে হোক, বা নিজেদের চাকরী/ব্যবসা নিয়ে হোক।
আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছাত্র/ছাত্রীদের মধ্যে এই বিষণ্ণতার লক্ষণ বেশি দেখা যায়।সেক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, প্রত্যক্ষ ভাবে না হলেও পরোক্ষ ভাবে তাদের বাবা মায়েরা কখনো কখনো দায়ী হয়ে থাকেন।কথাটা এই কারণেই বললাম,কারণ এমন অনেক সময় হয়ে থাকে বাবা মায়েরা জোর করেই অনেক কিছু সন্তানদের ওপর চাপিয়ে দেন।সেক্ষেত্রে একবারও তার মতামতকে গুরুত্ব দেন না। আর বিষন্নভাবে সেই চাপের বোঝা বইতে বইতে যখন অসহ্য হয়ে ওঠে, তখনই ভুল পথে পা বাড়ায় তাড়া।
আমরা যদিও প্রাথমিক ভাবে তাকেই দায়ী করি,কম বয়সের ভুল বলে বিষয়টাকে গুরত্ব দেই না, কিন্তু গভীর ভাবে ভাবলে কিন্তু বেরিয়ে আসে অন্য সত্যি।
আসলে আমরা কখনো প্রকৃত সত্যি যাচাই করে দেখি না।কারণ আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত এতো ঘটনা ঘটে যে এক এক করে সমস্ত ঘটনা গুলো একটার উপর আরেকটা চাঁপা পড়ে যায়।প্রতিদিন নতুন খবরের ভিড়ে পুরোনো খবর হারিয়ে যায়। তাকে আবার নতুন করে দেখা হয়ে ওঠে না।
অথচ এই সবকিছুর ভিড়ে কত প্রাণ প্রতিদিন একটু একটু করে শেষ হয়ে যাচ্ছে, আমরা বুঝতেও পারছি না।যে বাবা মায়েরা সন্তান হারাচ্ছেন তাদের কষ্ট বোঝার মতন সময় নেই কারোর। আসলে যতক্ষণ নিজেদের সাথে কিছু না ঘটে ততক্ষণ আমরা সচেতন হই না। মোট কথা বিষণ্ণতাকে আমরা কেউই বিশেষ গুরুত্ব দিই না। অথচ এই বিষণ্ণতার ও চিকিৎসা রয়েছে,একটু সচেতন হয়ে যদি আমরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি তাহলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। সবার আগে দরকার সেই সচেতনতা, যা আজকের সমাজের প্রত্যেকের মধ্যে থাকা উচিৎ।
আমরা নিজেদের নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকি যে বুঝতেও পারিনা আমার পাশে থাকা মানুষটি আস্তে আস্তে বিষন্ন হয়ে পড়ছে।নিজের সন্তানের মধ্যে কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করলেও সেটাকে অনেক সময় আমরা গুরত্ব দেইনা। ভাবি এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে, আর এখন মোবাইল আর কম্পিউটার এর জন্য সকলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তাই অনেকক্ষেত্রে সেটাও একটা কারণ বলে ভেবে নিই আমরা।
তবে এখন আমাদের বুঝতে হবে,সন্তানকে সময় দিতে হবে, তার সমস্ত ভালোলাগা খারাপলাগা গুলো জানতে হবে।তার ইচ্ছের গুরুত্ব দিতে হবে,বন্ধু হয়ে সবসময় পাশে থাকতে হবে। এমনকি তাকে বোঝাতে হবে সমস্ত রকম পরিস্থিতিতে আপনারা ওর পাশেই থাকবেন।তাহলেই দেখবেন আপনার সন্তান আপনার সাথে খোলাখুলি ভাবে সব কথা শেয়ার করবে,তখন কোনো রকম বিষন্নতা ওকে ঘিরে রাখতে পারবে না। আর জীবনে পরিস্থিতি যাই হোক না কেন কোনো খারাপ সিদ্ধান্ত সে নেবে না। আর সবশেষে চিকিৎসকের পরামর্শ তো রইলোই।
কিন্তু জোর করে কিছু চাপিয়ে দিলে,বা দিনের পর দিন তাকে বোঝার চেষ্টা না করেই, তার কোনো কাজের জন্য নিজের মতামত দিয়ে তাকে দায়ী করলে, তার ফল কিন্তু ভীষণ ভয়ংকর হতে পারে। আর বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি,তার জন্য এমনিতেই আমরা অনেক চিন্তিত,তাই নিজেদের খেয়াল নিজেদেরকেই রাখতে হবে। হাতে হাত দিয়ে এই খারাপ সময় আমরা পার করবোই।সকলে ভালো থাকবেন, সাবধানে থাকবেন।🙏
সত্যি এটাই বাস্তব। বিষন্নতা মানুষকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।তখনই ভুলপথে মানুষের পা চলে যায়। @sampabiswas
@piudey অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সহমত পোষণ করার জন্য।
আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন ।
#affable
@brahmaputra অসংখ্য ধন্যবাদ। Have a nice day 🌞.
Beautifully explained, I wish many could understand the same @sampabiswas
@sduttaskitchen Thank you 🙏.