শিশুরা কেন খারাপ আচরণের অধিকারী হয়¿?

আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সর্বদা ভালো থাকি সে কারণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আপনাদের মাঝে একটি জেনারেল রাইটিং ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শিশুরা কেন খারাপ আচরণের অধিকারী হয় এই বিষয়ের উপর লিখতে চাই। আশা করছি আপনারা সকলেই উপভোগ করবেন এবং এখান থেকে কিছু শেখার চেষ্টা করবেন।

একটি শিশু জন্মগ্রহণ করে একদম নবজাতক এবং নিষ্পাপ অবস্থায়। তবে এই পৃথিবীর বিভিন্ন দুষ্টু আচরণ ও পৃথিবীর খারাপ ইফেক্ট যখন একজন শিশুর ওপর পড়ে তখন সে ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে থাকে এবং পৃথিবীর মতো আচরণ করতে শুরু করে। পৃথিবীর অন্যান্য বিষয়বস্তু যদি তার সাথে ভালো আচরণ করে তাহলে ওই শিশু সুন্দর এবং ভালো আচরণের অধিকারী হয়। অন্যথায় পৃথিবী যদি তার সাথে খারাপ আচরণ করে তাহলে ওই শিশু খারাপ আচরণ করবে এটাই স্বাভাবিক।

একটি শিশু জন্মগ্রহণের পর সে তার পরিবারে ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। সর্বপ্রথম সে তার পরিবার অর্থাৎ পিতা মাতার আচরণের উপর নির্ভরশীল হয়। একজন পিতা মাতার আচরণ যদি ভাল হয় তাহলে ওই সন্তান ভালো আচরণের অধিকারী হবে। জেনেটিক্স বৈশিষ্ট্য যদি পিতা-মাতার থেকে নিয়ে থাকে একজন শিশু তাহলে ওই শিশু পিতা-মাতার আচরণের অনুসারী হবে।

পিতা-মাতার আচরণ যদি ভালো হয় তাহলে ওই শিশুটি সমাজে সকলের সাথেই ভালো আচরণ করবে এবং ভালো স্বভাবের হবে। অন্যদিকে জেনেটিক্স পরিবর্তনের ফলে যদি পরিবারের পিতা এবং মাথা খারাপ আচরণ করে তাহলে ওই শিশুটিও তার পিতা-মাতার আচরণের লক্ষ্যমাত্রা ধরে রাখবে এবং খারাপ আচরণ করবে।

এরপর শিশুটি যখন ধীরে ধীরে পরিবার থেকে সমাজে বড় হতে থাকে তখন তার পরিবর্তন আরো বেশি লক্ষণীয়
। সমাজের অন্যান্য সদস্যরা কিভাবে চলছে এবং মানুষের সাথে কেমন আচরণ করছে ওই শিশু তার নিজের ভেতরে সেই আচরণ প্রভাবিত করবে। কারণ একটি শিশুর জন্ম গ্রহণের পর সর্বপ্রথম তার পরিবারের কাছ থেকে আচরণ এর গুনাবলী শিখে রাখে। এরপর বড় হতে থাকে এবং সে ধীরে ধীরে সমাজের অন্যান্য মানুষগুলোকে অনুসরণ করতে থাকে।

এরপর সে ধীরে ধীরে সমাজ থেকে গ্রাম-গ্রাম থেকে শহর শহর থেকে পুরো পৃথিবীর আচরণের গুণাবলী অর্জন করে থাকে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আমরা যদি একজন শিশু জন্মের পর খারাপ আচরণ দেখে তাহলে তার নিজের কোন বৈশিষ্ট্যের উপর দোষ চাপিয়ে দেওয়া ঠিক না। একটি বিষয়, মনে রাখা উচিত প্রত্যেকটি শিশু তার পিতা-মাতার কাছ থেকে তার আচরণের গুণাবলী নিয়ে থাকে। পিতা-মাতার আচরণ যদি সৎ সুন্দর এবং সাবলীল হয় তাহলে পরিবারের ওই জন্মগত শিশুটি সুন্দর আচরণ গ্রহণ করে থাকে। অন্যথায় এর বিপরীত।

তাই আমাদের এখানে বেশ কিছু করণীয় বিষয় রয়েছে,

কখনোই শিশুদের সাথে খারাপ আচরণ করা যাবে না। তাদের সাথে সবসময় সুন্দর আচরণ করতে হবে। খারাপ ভাষায় শিশুদের সামনে শুধুমাত্র শিশুকে নয়, শিশুকে ছাড়াও পরিবারের অন্যান্য সদস্য কিংবা অন্য মানুষকে গালাগালি করা যাবে না। আপনি যদি শিশুর সামনে অন্য ব্যক্তিকে খারাপ ভাষায় গালাগালি করেন তাহলে ওই শিশু আপনার মুখ থেকে গালি শিখে নেবে এবং অন্য সময় একই গালি প্রয়োগ করবে। হঠাৎ আপনি শিশুর মুখের ভাষা বিকৃতি করতে সাহায্য করছেন আপনার অজান্তেই।

তাই আপনি যদি আপনার শিশুকে প্রকৃতপক্ষে ভালোবেসে থাকেন তাহলে অবশ্যই শিশুর প্রতি সুন্দর আচরণ করুন। সকলের সামনে শিশুকে কখনো গালাগালি করবেন না এমনকি অন্য ব্যক্তি কেউ না। রাগ দেখানোর প্রয়োজন হলে অবশ্যই তা সুন্দর আচরণের মাধ্যমে দেখানো প্রয়োজন এবং বোঝানো উচিত।

শিশুরা খারাপ আচরণ নিয়ে পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করে না। পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার পর তারা পিতা-মাতা অথবা সমাজের অন্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে আচরণ শেখে এবং তারা তা প্রয়োগ করে। তাই শিশুকে খারাপ আচরণ করতে বাধ্য করবেন না। সব সময় শিশু সামনে সুন্দর আচরণ করুন এবং পিতা-মাতার উচিত তাদের নিজেদের আচরণ সুন্দর করা। কারণ একটি শিশু জন্ম গ্রহণের পর তার পিতামাতার কাছ থেকে জেনেটিক্স বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে আমাদের অবশ্যই উচিত শিশুদের আচরণ ভালো রাখতে নিজেদেরকে সুন্দর রাখা এবং পরিপাটি করা।