প্রকৃতিই এক টুকরো স্বর্গ।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ০৮ই জুন, রবিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আজকেও হাজির হয়েছে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আমার ঘোরাঘুরি করতে অনেক ভালো লাগে। আমার কাছে ঘোরাঘুরি মানে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটিয়ে নেওয়া। প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটাতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। নীল আকাশ, শান্ত সবুজ প্রকৃতি সঙ্গে হাওয়ার দল ছুটে যাই এরকম পরিবেশ সর্বদাই আমাকে কাছে টানে। প্রকৃতির সাথে একটুখানি মুহূর্ত কাটানোর অভিজ্ঞতা আজ শেয়ার করতে চলেছি। যারা প্রকৃতিপ্রেমী তাদের ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
বাংলার প্রকৃতি,বাংলা সবুজ শ্যামল মাঠ সর্বদাই সৌন্দর্য ভরপুর। বাংলার বারটি মাস ১২ রকমের। বারটি মাস ১২ রকমের প্রশান্তি প্রদান করে। এখন গ্রীষ্মকালের শেষের সময়। দুপুরে থাকে যেমন সূর্যের প্রখরতা তেমনি বিকেল হলে শুরু হয় হাওয়ার দলের অস্থিরতা। সে যেন ছুটি পালানোর মতো হাওয়া। যা মনকে পাগল করে দেয়। বাংলার মাঠ ঘাট প্রকৃতি এতটাই অপূর্ব সৌন্দর্য দিয়ে ঘেরা। যা একজন প্রকৃতিপ্রেমিকে কখনোই হতাশ করবে না। আমি একজন প্রকৃতিপ্রেমী।তাই আমার কাছে প্রশান্তির অন্যতম মাধ্যম হলো বাংলার এই প্রকৃতি। গ্রীষ্মকাল হলেও বিকেল বেলার এই সৌন্দর্যের মাধুরী বারবার মুগ্ধ করে দেয়। এই মুগ্ধ তার টানে বারবার ছুটে যায় নিঃশব্দ প্রকৃতির সান্নিধ্যে।
আমার খুব ইচ্ছে করে কোন নিরালায়ে গিয়ে বসে থাকতে। যেখানে কোনই জনমানব থাকবেনা শুধু থাকবে প্রকৃতির মুগ্ধতা। বাংলার এই অপরুপা প্রকৃতি এতটাই তীব্রভাবে কাছে টেনে নে নাই আমায় ।ঈদের ছুটিতে গ্রামে এসেছি। গ্রামের সৌন্দর্য আমার অনেক বেশি পছন্দ। কিন্তু মানুষের জীবনধারা কোলাহল এগুলো থেকে দূরে থাকতে বেশি পছন্দ করি। বারবার ইচ্ছে করে চুপচাপ করে নিঃশব্দে লুকিয়ে পড়ি। তাই তো কালকে বিকেলে ছুটে গিয়েছিলাম প্রকৃতির কোণে। এখন মাঠে লোক থাকে না বললেই চলে। কালকে দুপুরে তীব্র রোদের প্রখরতা ছিল। বিকেল হতেই প্রশান্তির ছোঁয়া। অপূর্ব সুন্দর যে সেজে ছিল আকাশ। পশ্চিমে সূর্যের ডুবন্ত ছোঁয়া আর পূর্ব দিকে মেঘের আভা। মাথার উপর সুনীল আকাশ। সে কি অপূর্ব সুন্দর্য। এই সৌন্দর্য দেখে নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলাম না।
সৌন্দর্য দেখে বোনের হাত ধরে চলে গেলাম মাঠের মধ্যে। এখন মাঠের মধ্যে দাঁড়ালে বহুদূর আর চোখে পড়ে না। এখন শুধু আকাশ দেখা যায়। বাড়ি থেকে অল্প একটু দূরেই আমাদের মাঠ। আমি আর বোন হাঁটতে হাঁটতে সেখানেই গিয়েছিলাম। আমাদের জমিটা অনেকটাই ফাঁকা। আর চারিদিকে পাট ক্ষেত অনেকটা বড় হয়ে গেছে। একটু ভয় ভয় করছিল। তারপরেও বোনের হাত ধরে আমাদের খেতে চলে গেলাম। যেতে যেতে বাংলার সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম। সূর্যটা হালকা তেজ নিয়ে পশ্চিম দিগন্তের দিকে ছুটছিলাম। সঙ্গে বইছিল ফুরফুরে হাওয়া। খাবার তালে দুলছিল পাটের ডগাগুলো। ভীষণ ভালো লাগছিল। সে কি প্রশান্তি অনুভব করছিলাম বলে বোঝাতে পারবো না।
দুই বোন মিলে মাঠের মধ্যে হেঁটে বেড়ালাম। হাটতে হাঁটতে মনে পড়ে গেল ছোটবেলার স্মৃতি। আমি ছোটবেলায় খুব একটা মাঠে যাইনি। যতটুকু গিয়েছি মায়ের সাথে। মায়ের সাথে নিজেদের খেত থেকে সাত তুলে আনতাম। আমি আর বোন হাঁটতে হাঁটতে আসার পথে শাক তুলে আনছিলাম। বেশ ভালো লাগছিল। আস্তে আস্তে ফিরে হাওয়া যেন মনকে উতলা করে তোলে। মনে হয় এর থেকে বেশি সুখ বোধহয় আর কোথাও নেই। এরকম ভাবে কোথাও বেরিয়ে পড়লে মনের আনন্দে খানিকটা সময় কাটাতে। বাংলার এই অপূর্ব রূপ এতটাই মধুর যে কোন বর্ণনাই তা শেষ করা যাবে না। খুব বেশিক্ষণ মাঠের মধ্যে ছিলাম না। তবে যতক্ষণ ছিলাম তীব্র রকমের শান্তি অনুভব করলাম। অনেক ফটোগ্রাফিও করেছিলাম। বাংলার এই সৌন্দর্যের চিত্রকলা ক্যামেরাবন্দি করতে পারলেও ভালো লাগে।
আমি যেহেতু একজন প্রকৃতিপ্রেমী। তাই এরকম প্রকৃতি আমার কাছে শান্তি ঠিকানা । যারা প্রকৃতি ভালবাসে তারা এই সুখের মূল্য কতখানি তা খুব ভালো করে বুঝতে পারবে। দুই বোন মিলে কিছুটা সময় কাটিয়েছিলাম প্রকৃতির মাঝে। তারপর আমরা দুজন চলে আসলাম। যদি খুব বেশি মন খারাপ হয়, আমি বলি প্রকৃতির সান্নিধ্যে গিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে সুন্দর অনুভব করা উচিত। তাহলে হয়তো সব দুঃখই ম্লান হয়ে যাবে। মনের আকাশ ততখানি সৌন্দর্যে ভরে উঠবে যতখানি সৌন্দর্য আমার চোখ দেখবে।
আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ০৭ জুন ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


https://x.com/PurnimaBis34652/status/1931990360898847054?t=rIDImDb2SJOniPv_lxnfhA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1931991068658323587?t=peiSVZn8-98ma_a5XQ_xPw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1931991465582027036?t=XQ-bSD8Djk5KxeS-ZaJVDw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1931991836824154518?t=EomP9trW9T22AVwW_idJxQ&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1931992211182489725?t=l6wIj44YYmC4F0s_-iTzfw&s=19
আপনারা দুই বোন মিলে মাঠে হাটাহাটি করার এবং ঘোরাঘুরি করার মুহূর্তটি জেনে আমারও আমার দিদির সাথে এমন ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত মনে পড়ে গেল। বেশ ভালো লাগে প্রকৃতির মাঝে ঘুরে বেড়াতে। আপনি খুবই সুন্দর কিছু প্রকৃতির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ভীষণ সুন্দর দেখতে লাগছে ফটোগ্রাফি গুলো।
আপনারা দুই বোন মিলে হাঁটাহাঁটি করেছেন এবং এই সুন্দর মুহূর্তগুলো উপভোগ করেছেন দেখে খুব ভালই লাগছে৷ একই সাথে এখানে আপনি প্রকৃতির সৌন্দর্যকে খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের ফটোগ্রাফির মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন ভ যেভাবে আপনি এখানে একের পর এক ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করেছেন তা একেবারে চমৎকার দেখা যাচ্ছে৷ একই সাথে এই ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার মধ্য দিয়ে আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা আপনি খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷