রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া।

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২৬ শে সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000064805.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।

বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়েটিভিটির পাশাপাশি হাসি আনন্দের মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করতে বেশ পছন্দ করি। আজকাল তো বেশিরভাগ সময় ব্যস্তই থাকা হয়। তারপরে ও মাঝেমধ্যে মনটা খুব ঘোরাঘুরি করতে চাই। সেজন্যই তো যেদিকে মন চায় সেখানেই চলে যায়। নিজের হাতের রান্না সিদ্ধ ভাত খেতে খেতে যখন বিরক্ত লাগে তখন ইচ্ছে করে একটু রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে। মাঝে মাঝে মুখের স্বাদ বদল করতে বেশ ভালোই লাগে। তাইতো হাতে টাকা থাকলে চলে যাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার জন্য। এটা বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টে গিয়ে কি কি খাওয়া দাওয়া করলাম চলন শেয়ার করে নেওয়া যাক।



1000064807.jpg
আমি তো রেস্টুরেন্টে খেতে খুব পছন্দ করি। যদিও সব ধরনের খাবার দাবার আমি খাই না। কিছু কিছু জিনিস আছে যেগুলো আমার ভীষণ পছন্দ। যেমন ফ্রাইড রাইসের সাথে চিকেন। তবে সব রেস্টুরেন্টের ফ্রাইড রাইস আমার ভালো লাগেনা। কুষ্টিয়ার মধ্যে এক কথায় হ্যাভেঞ্জ কিচেন রেস্টুরেন্ট বেস্ট। এখানকার প্রত্যেকটি খাবার এতটাই সুস্বাদু যায় একবার খেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করবে। এই রেস্টুরেন্ট টাও খুব সুন্দর। ফ্যামিলি টাইম স্পেন্ড করার জন্য চমৎকার।

1000064806.jpg
প্রতিদিন ক্লাস কোচিং করতে করতে একদম ভালো লাগছিল না। তাই হঠাৎ করে একদিন কলেজে গিয়ে ঠিক করলাম একটু রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করতে যাব। এই রেস্টুরেন্টে আমি এর আগে দুইবার গিয়েছিলাম। এখানকার খাবার আমার এতটাই পছন্দ হয়েছে যে,যখনই বাইরের খাবার খেতে ইচ্ছে করে তখনই চলে যাই। যদিও এখানকার খাবারের দামটা একটু বেশি সেজন্য ইচ্ছে হলেই যেতে পারি না। আস্তে আস্তে টাকা জমিয়ে তারপর যাওয়া। সেদিন আমার এক বন্ধুকে বললাম চল যাই। প্রথমে আমার সবথেকে প্রিয় বান্ধবী সে রাজি হলেন না। তারপর আরেকটা বন্ধুর সঙ্গে আমি গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে।
1000064810.jpg
রেস্টুরেন্টের সন্ধ্যার দিকে যেতে বেশি ভালো লাগে। কারণ এখানকার লাইট এবং ডেকোরেশন গুলা ভীষণ সুন্দর। সন্ধ্যার সময় গেলে এগুলো বেশি সুন্দর ভাবে উপভোগ করা যায়। এখানে এই লাইটের কম্বিনেশনে সুন্দর মিউজিক সিস্টেম রয়েছে। গান শুনতে শুনতে এবং গল্প করতে করতে খাবার দাবার খেতে বেশ ভালই লাগে। আমরা সন্ধ্যার দিকে এখানেই গিয়েছিলাম। আমার যেহেতু রজনীগন্ধা এখন অনেক পছন্দ। আমার প্রত্যেকটা বন্ধু এই কথা জানেন। প্রত্যেকেই আসার সময় আমার জন্য হাতে করে একটি ফুল নিয়ে আসবেই।কারণ সবাই জানে আমি ফোন পেলে বেশি খুশি হই।
1000064809.jpg
এখানকার ফ্রাইড রাইস কম্বো আমার অনেক পছন্দ সেজন্য আমরা দুজনের জন্য দুটি ফ্রাইড রাইস কম্বো অর্ডার। সাথে অর্ডার করেছিলাম চিকেন তান্দুরি এবং নান রুটি। সেটাও ছিল অনেক মজাদার। এখানকার ফ্রাইড রাইস কম্বোটি আমি যতবার খেয়েছি ততবার আবার যাওয়ার ইচ্ছা হয়েছে। আমার মনে হয় কুষ্টিয়া শহরের মধ্যে এর থেকে বেশি টেস্ট ফ্রাইড রাইস কোথাও পাওয়া যায় না। যাই হোক আমরা গল্প করতে করতে খাওয়া দাওয়া করছিলাম। সাথে দুটো কোক নিয়েছিলাম।ফ্রাইড রাইসের সাথে কোক না হলে আসলে ব্যাপারটা জমে না। দুজন মিলে প্রায় দুই ঘন্টা সেখানে গল্প আড্ডায় সময় কাটিয়ে।
1000064808.jpg
আর হ্যাঁ সেখানে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে ছবি তুলেছিলাম। এখানে আগে থেকেই আমার অনেক ছবি আছে তারপরেও জায়গাটা এত সুন্দর যে ছবি না তুলে পারে না। ডেকোরেশনের ছবিগুলো নতুন করে সেদিন আর তোলা হয়নি। তবে স্বাদ বদল করতে গিয়ে চমৎকার সময় কাটিয়েছিলাম। আমার মনে হয় মাঝে মাঝে এরকম বাইরে খাওয়া দাওয়া করলে মনটাও ভালো থাকে আবার একটু শান্তিও পাওয়া যায়। এই ছিল আমার আজকের পোস্ট।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif