ছবির মতোই সুন্দর "দিঘির পাড়"।

in আমার বাংলা ব্লগ17 days ago

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২০ শে, মে, শনিবার, ২০২৫ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000048547.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। আপনাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই আজকেও হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। ঘোরাঘুরি করতে আমার অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে প্রকৃতির সান্নিধ্য সময় কাটে দেয় অসম্ভব ভালো লাগে আমার। তাইতো সময় পেলেই চলে যাই প্রকৃতির সান্নিধ্যে। এই সবুজ প্রকৃতি,সুনীল আকাশ, নদী নৌকা কিংবা দিঘিরপাড় আমাকে বারবার ডেকে নিয়ে যায় তার কাছে। আমি এখন যে জায়গাটি সম্পর্কে বলবো সেটার নাম দিঘিরপাড়। জায়গাটা যে কি সুন্দর কেউ না গেলে বুঝতেই পারবে না। জায়গাটা আমার কাছে এত পরিমাণে ভালো লেগেছে যে বারবার ছুটে যেতে ইচ্ছে করে। জায়গাটা ছবির মতই সুন্দর। জায়গাটা দেখলে মনে হবে মনের মত একটি শান্তির আস্তানা । চলুন জায়গাটির ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নিয়ে এবং আমরা কিভাবে সময় কাটিয়েছিলাম সেটা জেনে নেই।



1000048548.jpg

1000048549.jpg
এই সুন্দর জায়গাটি সম্পর্কে আমি যতই লিখি না কেন তা কম হয়ে যাবে। এত কম বাজেটে এত সুন্দর জায়গা সত্যি আর কথা বলা যাবে কিনা আমি জানিনা। আমি আজ পর্যন্ত যেখানেই গিয়েছি তার মধ্যে এই জায়গাটা আমার কাছে বেস্ট মনে হয়েছে। এই গরমে শান্তির হাওয়া মনে হয় শুধু এখানে পাওয়া যায়। প্রশান্তির আরেকটি নাম এই জায়গা। জায়গাটির নাম দিঘিরপাড়। সৌন্দর্য দিক দিয়ে সেরা। একসাথে এত কিছু উপভোগ করার জন্য এই জায়গাতেই সবথেকে বেশি পারফেক্ট।
1000048550.jpg
এর আগে আমি কয়েকবার দিঘির পাড়ে গিয়েছি।জায়গাটি এতটাই ভালো লেগেছে যে বারবার প্রকৃতি আমাকে সেখানেই টেনে নিয়ে যাই। এখানকার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করতে সব সময় প্রস্তুত। এখানে যে যাবে সেখানে গিয়ে মুগ্ধতা না নিয়ে ফিরে আসবে এটা কখনো হতেই পারে না। সেদিন বাড়ি থেকে আসার পর কলেজে যাব বলে ভেবেছিলাম। নিজের রুমে এসে দেখি কলেজের সময় হয়ে গেছে কিন্তু কলেজ ড্রেসের অবস্থা খুবই খারাপ। ওই ড্রেস না ধোয়া অব্দি কলেজে যাওয়ার পরিস্থিতি ছিল না। কলেজে তো আবার ড্রেস ছাড়া ঢুকতেও দেবে না। সে যেন আর কলেজে যাওয়া হলো না।
1000048551.jpg
আমার বান্ধবী আমাকে কলেজে যাওয়ার জন্য আমার রুমে ডাকতে এসেছিল। আর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনটাও এমনিতে খারাপ ছিল আমার। বান্ধবী আমাকে বলো চল ঘুরতে যাই। আমি তো সঙ্গে সঙ্গে বলে দিলাম আমি দিঘির পাড় ছাড়া কোথাও যাব না। মন খারাপ থাকলে এই জায়গাটাতে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসলে মন ভালো হতে বাধ্য হবে। তাই দেরি না করে আমিয়ার বান্ধবী রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম এই শান্তির ঠিকানায়। আমরা দুজন রিক্সা করে গিয়েছিলাম। তখন দুপুর তিনটা বাজে। বেশ ভালো রোদ ছিল সেদিন। তবে সাথে ঠিকানায় শুধুই শান্তি। সেখানে খুব একটা রোদ গরম কিছুই ছিল না।
1000048552.jpg
জায়গাটিতে যেতেই আমি খুঁজে পেলাম আমার শান্তি।আমরা যখন গেলাম তখন খুব একটা ভিড় ছিল না। যে আমরা ফাঁকায় পেয়েছিলাম। বিকেলের দিকে এখানে মানুষের মানুষে ভরে যায়। সবাই অল্প টাকায় এই সৌন্দর্য দর্শন করতে আসে। যাইহোক, প্রথমেই গিয়ে বসলাম দোলনায়। দিঘির পাড়ে সুন্দর দুটি দোলনা রয়েছে। সেখানে বসে পা দুলিয়ে চা খেতে খেতে দিঘী এবং আকাশ যেখানে মিশেছে প্রকৃতি দেখতে অসম্ভব সুন্দর লাগে। সেখানে পৌঁছে বসে পড়লাম দোলনায়। তারপরে দুজন দু কাপ চা এবং পোড়া রুটি অর্ডার করলাম। জায়গাটি লাইনে বটতলায়। আর কুষ্টিয়ার বাহিনী বটতলা মূলত মালাইচা আর পোড়া রুটি জন্য বিখ্যাতই বলা যায়।।
1000048553.jpg
দুই বান্ধবী মিলে দুটি দোলনায় বসে চা খাচ্ছিলাম আর সুন্দর প্রকৃতি উপভোগ করছিলাম। সেখানে পৌঁছে আমার মনে হচ্ছিল না একটু আগে আমার মন খারাপ ছিল। কি যে ভালো লাগছিল বলে বোঝাতে পারবো না। আকাশে তুলোর মতো মেঘ ভেসে বেড়াচ্ছিল। ওই দূরে সবুজ গাছগুলো যেন ওই নীল সাদা তুলো জড়ানো আকাশের মাঝেই মিশেছে। দিঘির পাড়ে স্বচ্ছ হওয়া মনকে শান্ত করে দিচ্ছিল। ওই হালকা হাওয়ার দোলে দোলে যখন দেখে স্বচ্ছ পানি ঢেউ খেলছিল সে যেন অপূর্ব দৃশ্য।
1000048554.jpg
এখানে যেতে কোন টিকিট লাগেনা। ফ্রিতে প্রবেশ করা যায়। দিঘির কর্নার গুলো দিয়ে খুব সুন্দর সুন্দর মাচা তৈরি করা রয়েছে। ইচ্ছে করলে সেখানে বসে দিঘির জলে পা ডুবিয়ে এক কাপ চায়ের স্বাদ গ্রহণ করা যায়। সে যেন আরেক প্রশান্তি। বর্ষাকালেই প্রশান্তিটা আমিও নিতে চাই। এখন জল অনেকটাই কমে গেছে। মাচা থেকে জল নাগাল পাওয়া আমার পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য। তবে দোলনায় বসে যে প্রশান্তি আমি পেয়েছি সেটার কোন তুলনাই হয় না। দুই বান্ধবী মিলে অনেকটা সময় কাটিয়েছিলাম সেখানে। আমার তো সেখান থেকে আসতে ইচ্ছে করছিল না।
1000048555.jpg
বেলা গড়িয়ে যাচ্ছিল সেখান থেকে তো চলে আসতেই হবে। দুই বান্ধবী মিলে অনেকটা সময় গল্প করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। তবে নিজের মন মত সময়টুকু ভুল করেছিলাম। এরকম সুন্দর প্রকৃতি আমাকে সর্বদাই তার কাছে ডেকে নিয়ে যাই। আমি প্রকৃতি খুব ভালোবাসি। ইচ্ছা আছে দেশের সকল সৌন্দর্যকে নিজের চোখে উপভোগ করা। সময় বা সাধ্য হলে ইচ্ছেটা আমি খুব করে পূরণ করতে চাই। পাহাড়, সমুদ্র কিংবা সবুজ প্রকৃতির খেলা জায়গা গুলো অসম্ভব মায়া নিয়ে আমাকে ডাকে।
যাই হোক, দিঘির পাড়ে সময়টা দারুন কাটিয়েছিলাম। যারা কুষ্টিয়াতে থাকেন কিংবা কুষ্টিয়ার আশেপাশে তারা অবশ্যই এখানে আসবেন। এই সৌন্দর্য দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য।
আজ এই পর্যন্তই।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৮ ই মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 12 days ago 

তোমার সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আর চমৎকার বর্ণনার পরে বুঝতে পারলাম দিঘিরপার জায়গাটা আসলেই সুন্দর। আর যখন কুষ্টিয়াতে যাব তখন এই জায়গাতে যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। তুমি আর তোমার বান্ধবী মিলে দিঘির পারে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলে জেনে ভালো লাগলো। আহ্ পুরা রুটি আর চা দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ।