প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ এবং রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া।
হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @purnima14 বাংলাদেশী,
আজ- ১০ই জুলাই , বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
কভার ফটো
কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো। মাঝে মাঝে আপনাদের সাথে একটু ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ। সব জায়গাতেই প্রকৃতি খুঁজে বেড়ায়। কুষ্টিয়ার মধ্যে খুবই সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট হলো নদীয়া রেস্টুরেন্ট। যেখানে খাবারের সাথে সাথে ফ্রিতে সুন্দর প্রকৃত ভোগ করা যায়। তাইতো বারবার সেথায় ফিরে যায়। নদীয়ার রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া এবং প্রকৃতির উপভোগ করার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।
এই রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে অনেক দিন আগে আপনাদের সাথে একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। কুষ্টিয়ার মধ্যে খুবই সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট হলো নদিয়া রেস্টুরেন্ট। যেখানে গেলে মন শান্ত হতে বাধ্য। এটা কুষ্টিয়া হরিপুর ব্রিজের অপজিটে অবস্থিত। নদীর পাশে খুবই সুন্দর একটি রেস্টুরেন্ট। তাইতো এই নাম দেওয়া হয়েছে নদীয়া রেস্টুরেন্ট। নামটি যেমন সুন্দর তেমনি সুন্দর এর সাজসজ্জা এবং প্রাকৃতিক ছোঁয়া।
সেদিন ছিল বৃষ্টির দিন। সারাদিনই প্রায় টুকটাক বৃষ্টি হচ্ছিল। বৃষ্টি হলে আমার কিছু একটা খেতে ইচ্ছে করে। বৃষ্টি হলে মনটা শুধু বাইরের খাবার খাওয়ার আবদার করে। দুপুরবেলায় আমার এক ফ্রেন্ড কে ফোন করলাম রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য। সে তো রাজি হলো না। কিছুক্ষণ পর আমার আরেকটি ফ্রেন্ড আমাকে ফোন করে বলল চল কোথাও ঘুরতে যাই। আমি তো শুনেই বললাম চল নদীয়া রেস্টুরেন্টে যাই। সেখানে গেলে খাবার এবং প্রকৃতি দুটোই পাবো। সেও রাজি হয়ে গেল বলল চল যাওয়া যায়।
দুপুর তিনটে নাগাদ আমরা রেডি হয়ে পড়লাম। রেডি হয়ে আমি বেরিয়ে পড়লাম। কুষ্টিয়া বক চত্ত্বর আমার কিছু কাজ ছিল সেগুলো আমি শেষ করে নিয়ে নদিয়া রেস্টুরেন্টের দিকে রওনা দিলাম। আমি সেখানে পৌঁছতে আমার বন্ধু সেখানে পৌঁছে গেল। আমি বেশ কিছুক্ষণ সেখানে একাই দাঁড়িয়েছিলাম। রেস্টুরেন্টের ছাদের উপর দাঁড়িয়ে নদী, সুন্দর আকাশ এবং ফুরফুরে বাতাস মজাই আলাদা। আমি সেখানে গিয়ে কিছু সময় প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নিলাম। রেস্টুরেন্টে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। শুধুমাত্র প্রকৃতির এই সুন্দর সমারহ দেখার জন্য আমি সেখানে ছুটে যায়।
সেখানে আমাদের মতো অনেকে আরও এসেছিল। এখানে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি বিলাস করলে মন্দ হয় না। তবে ঠান্ডা জ্বরের ভয়ে বৃষ্টি বিলাস আর করলাম না। কিছুক্ষণ পর পর ভালোই বৃষ্টি নামছিলো।যেটা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর ওইটার আসলো খাবার অর্ডার নেওয়ার জন্য।আমার খুবই ফ্রাইড রাইস এবং মিল্কশেক খেতে ইচ্ছে করছে না। মিল্কশেকটা অবশ্য আমার চয়েজের ছিল না এটা আমার ফ্রেন্ড খুব পছন্দ করে। তারপর দুজনের পছন্দ অনুযায়ী অর্ডার করে নিলাম।
বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল সেজন্য আমরা রেস্টুরেন্টের ভিতরে চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। তারপরে আবার নামলো ঝমঝম বৃষ্টি। আমরা আবার চিকেন ফ্রাই অর্ডার করে খাওয়া দাওয়া করলাম। বৃষ্টির দিনে এরকম খাওয়া-দাওয়া আর বৃষ্টি-বিলাস বেশ ভালোই লাগে। যদিও বৃষ্টির দিনে চা খেতে পছন্দ করি। মাঝে মাঝে এরকম চাইনিজ খাবার দাবার খেতেও ভালো লাগে। খাওয়া-দাওয়া শেষে আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। ও বলছি তো ভুলেই গেছি সেদিন আমার ফ্রেন্ড আমার জন্য কদম ফুল এনেছিল। বর্ষায় কদম ফুলের সাথে বৃষ্টিটা কিন্তু একটু বেশি ভালো লাগে।
বর্ষার একমাত্র সুন্দরই ফুল হলো কদম ফুল।এ কদম ফুলের উপর দিয়ে যখন বৃষ্টি ফোটা পড়ে তখন অন্যরকম সৌন্দর্যের সৃষ্টি হয়। যা একেবারে মন কেড়ে নেওয়ার মতো। কিছুক্ষণ কদম ফুল এবং সুন্দর প্রকৃতির সাথে সময় কাটানোর পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত গ্রহন করলাম। খুব বেশি সময় সেখানে ছিলাম না। ঘন্টা খানিকের মধ্যে এসে এখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম। বৃষ্টির দিনে এবং প্রকৃতির সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালই লাগে। আজ এই পর্যন্তই।
ছবির বিবরণ
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৫ শে জুন ২০২৫খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া
প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।
আমি কে !
আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত।
@purnima14


আপু
নিজের এলাকার রেস্টুরেন্টে একা একা খেতে হয় না।দাওয়াত দিলেই চলে আসবো।
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1943942693807329685?t=Lu0XHP-BXedywMbtWh6nxA&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1943943271421755880?t=IOHDPvXBmXuNVD3WlHtKOw&s=19
https://x.com/PurnimaBis34652/status/1943945769511530928?t=UA17TU5LHGN5_DKj4U-9cw&s=19
অনেক ভালো লাগলো আপনার কাছ থেকে এত অসাধারণ একটি পোস্ট দেখে। একইসাথে এখানে আপনি এত সুন্দর জায়গর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন এবং খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা দেখে অনেক বেশি ভালো লাগছে৷ এখানে এই জায়গাগুলো অনেক সুন্দর দেখছি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য একেবারে অসাধারণ৷
একদিকে মজার মজার খাবার খেয়েছেন অন্যদিকে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন। সবকিছু মিলিয়ে সময়টা দারুন ভাবে কাটিয়েছেন আপু। আপনার এই পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।