বিষয় - কিছুটা অবসর (সুগন্ধা পয়েন্ট ) | | @shimulakter | | ১২।০৯। ২০২২ ইং | |
আসসালামু আলাইকুম,আদাব
বন্ধুরা, অবসর কাটাতে কক্সবাজার এসেছি ,আর সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে মাছ , কাঁকড়া খাব না তাই কি হয় ! তাইতো আমরা সপরিবারে সুগন্ধা পয়েন্টে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি ।সবাই চিংড়ি , কাঁকড়া ও লইট্টা মাছ খাওয়ার জন্য অধীর আগ্রহ নিয়ে রেডি হচ্ছে ।সমুদ্রের নানা ধরনের মাছ এখানে দেখা যায় । আর এই মাছে আছে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন । আমরা সবাই বিকেলে অনেক ঘোরাঘুরি করলাম ,এরপর সন্ধ্যার দিকে সুগন্ধা পয়েন্ট গেলাম মাছ ফ্রাই খেতে ।
যারা মাছ বিক্রি করছিল ,তাদের সাথে আমরা কথা বলছিলাম । অনেক ভিড় ছিল । তবে বুঝতে পারলাম ,সমুদ্র থেকে বোট নিয়ে জেলেরা এই মাছ ধরে আনে । এই মাছ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় ।এই মাছ খুব ফ্রেস হয় । খেতে যেমন মজার ,তেমনি শরীরের জন্য ও খুব উপকারী । এত লোকের আনাগোনা দেখে ভীষণ ভাল ও লাগছিল । কেমন যেন, উৎসব উৎসব ভাব মনে হচ্ছিল ।
আমরা ত সবাই হাজির হয়ে গেলাম “সুগন্ধা পয়েন্ট “এ । গিয়ে দেখি সেখানে অনেক পর্যটক এসেছে । সবাই তাদের পছন্দ মত মাছ ,কাঁকড়া ফ্রাই নিচ্ছে ।আমরা সবাই বসে গেলাম , একজন গিয়ে পছন্দ করে দিচ্ছিলাম কি কি নেব আমরা । এরপর কিছু সময় পর আমাদের খাবার চলে এলো । সবাই খুব মজা করে খাচ্ছিল ।
এত এত মাছ দেখে বাচ্চারা খুব মজা পাচ্ছিল । সত্যি কথা বলতে এখন ত বাজার থেকে সব মাছ কেটে নিয়ে আসে তাই বাচ্চারা এভাবে মাছ দেখতে পায় না । আজ সবাই একসাথে অনেক মাছ দেখতে পাচ্ছে । এতে খুব মজা পাচ্ছিল । ওদের আনন্দ দেখে আমাদের ও খুব ভাল লাগছিল ।
সবাই ত মজা করে খেয়ে যাচ্ছিল । কিন্তু এদিকে যে আমার চা এর নেশা পেয়ে বসল ।কি যে করি ! সবাই এত এত মজা করছিল যে ,আমি আমার চা এর কথা বলতেই পারছিলাম না ।
অবশেষে সবার খাওয়া শেষ হল , আমি বললাম এবার চা খেতে হবে চলো আমরা যাই । সবাই এক সাথে হেসে উঠল । সবাই জানে সন্ধ্যায় চা না খাওয়া হলে আমার সবকিছু এলোমেলো লাগে ।তখন আমরা “সুগন্ধা পয়েন্ট “ থেকে বের হয়ে এলাম ।
আমার আজকের ব্লগের সব ছবির তথ্য আমি নীচে তুলে ধরছি --
ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজনীয় ডিভাইস | SamsungM31 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | কক্সবাজার |
বন্ধুরা , সবাই সেদিন খুব বেশি মজা করেছিলাম । আশাকরি আমার আজকের ব্লগটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে ।আজ এ পর্যন্তই । আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব । সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন ভাল থাকবেন ।
সমুদ্রের পাড়ে গিয়ে মাছ খাওয়া এখন সমুদ্র দর্শনের একটা অন্যতম অনুষঙ্গে পরিণত হয়েছে। তবে আমার কাছে এদের মাছ ভাজা গুলি খুব একটা মজা লাগে না। কারণ আমি খেয়াল করে দেখেছি এরা সব ধরনের মাছ একই ভাবে ভাজে। অবশ্য অনেকের কাছে এই মাছ-ভাজাগুলো ভালো লাগে। তারপরও সময় কাটানোর জন্য মাছ ভাজা খাওয়া খুব একটা খারাপ না। তবে এই মাছগুলোর ভিতরে আমার কাছে চিংড়ি মাছটাই বেশি ভালো লাগে। অন্য মাছ খেয়ে খুব একটা মজা পাইনি। বেশ মজা করে কক্সবাজারে ঘুরেছেন বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া । সত্যি ই ভাইয়া সপরিবারে গিয়ে খুব ভাল লেগেছে ।অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছি ভাইয়া । আর লইট্টা মাছ ফ্রাই ও কিন্তু মজার হয় । আমি বাসায় করি মাঝে মাঝে ভালোই লাগে । অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া । সময় নিয়ে ব্লগটি পড়ার জন্য শুকরিয়া ।অনেক অনেক শুভকামনা ভাইয়া আপনার জন্য ।
সমুদ্র পাড়ে ঘুরতে যাব অথচ মাছ খাব না সেটা তো হয় না। রুপক ভাইয়া ঠিক বলেছে বলতে পারেন এটি ট্যুরের একটি অংশ। এত রকমের মাছ ভাজা দেখে আমার কিন্তু খুব খেতে ইচ্ছে করছে। যদিও আমি কখনো এগুলো ট্রাই করি নি। ঠিক বলেছেন আপু এমন তরতাজা মাছ খেতে তো সুস্বাদু এবং উপকারী হবেই।
আপু অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। আর হে, এই মাছ খেতে খুব ই মজার হয়। আপু আপনি ট্রাই করবেন আশাকরি। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমি এত বড় পেল্লাই সাইজের কাঁকড়া কখনো দেখিনি এবং খাইনি। তবে আমার আজকে দেখে বেশ ভালো লাগলো। কখনো সুযোগ পেলে এই পেল লাইফের কাঁকড়া খাওয়া খাওয়া যেতে পারে।
ভাইয়া, মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য। কক্সবাজার এলে খেতে পারবেন। আর ভালো ও লাগবে।
বেশ ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। তবে সমুদ্রের ধারের এই খাবার গুলো আমার বেশ ভালো লাগে। যদি কখনো সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যাই তাহলে সব ধরনের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করি। মোটামুটি ভালো ভালো আইটেমই খেয়েছেন দেখছি আপনি। তবে দাম গুলো বলে দিলে বুঝতে পারতাম আপনাদের দেশে দাম বেশি না আমাদের দেশে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে। সমুদ্রের পাশের এই ফ্রেস খাবার খেতে ভালোই লেগেছে। আর দামের কথা বলছেন, ফ্রেস যেহেতু দাম একটু বেশিই হবে। আর আপনাদের থেকেও বেশী ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমাদের এখানেও অনেক দাম। তবে ফ্রেশ মাছ খুব কম জায়গায় পাওয়া যায়।
বাড়ির পাশে সমুদ্র থাকার কত সুবিধা।কত মজা করে অবসর সময় কাটিয়েছেন।এরকম অবসর যে কতদিন কাটাতে পারি নাই।যত যাই হোক চা যে আপনার প্রিয় এটা বোঝা গেল।আপনি আপনার অবসর সময় টা অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
ভাইয়া প্রথমত আমি ঢাকায় থাকি, সমুদ্রের পাশে নয়। কোথাও ভুল হয়েছে আপনার। আর হে পরিবার নিয়ে সময়টা ভালোই কেটেছে বলতে পারেন। ব্লগটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। অনেক শুভকামনা ভাইয়া আপনার জন্য।
সরি আপু। তবে তো বলতে হয় সময় অনেক ভাল কেটেছে।ঢাকার যান্ত্রিকতার বাইরে গিয়ে প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো ব্যপার টাই আলাদা।আর আশা করি ভুলের জন্য কিছু মনে করবেন না।
না, না কি মনে করব? 😊 তবে আমি ঢাকার এটাই বলার।🥰 সত্যি অনেক সুন্দর সময় কেটেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এত এত মজার মজার মাছ,কাকড়া ফ্রাই খেলেন,তাতে মন ভরলো না,সেখানেও চায়ের কথা মনে পড়ে গেল হা হা হা যার যেই নেশা......
আমিও গিয়েছিলাম...কিছু দিনের মধ্যে আমিও পোষ্ট দিবো। ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে চা ছাড়া একদিনও কি ভাবা যায়? 🤔 না যায় না।। তাইতো সবকিছুর মধ্যেও চা ই খুঁজি ☕☕।অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।