মায়ের জিদের কারণে মেয়ের করুন পরিনতি মৃত্যু ৩

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা,

কেমন আছেন সবাই। আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি সুস্থ আছি।আজ আমি মায়ের জিদের কারণে মেয়ের করুন পরিনতি মৃতু সত্যি ঘটনা গল্পের তৃতীয় পর্ব শেয়ার করবো।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।

IMG-20231117-WA0004.jpg
ইমেজ সোর্স

অঞ্জলি পাগল হয়ে গেছে প্রতি দিন সে অস্বাভাবিক আচরণ করতে লাগলো। তখন ওর মায়ের আরো বেড়ে গেলো এক কবিরাজ থেকে আর এক কবিরাজ।কিন্তুু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এবার অঞ্জলি মানুষকে দেখলেই মারধোর শুরু করলো।বাবাকে মারতো মাকে মারতো আর তার বিনিময়ে ওর দাদারা ওকে মারতো বেঁধে রাখতো।সারারাত ঘুমাতো না। অঞ্জলি কে আর কোন ভাবেই ঘরে আটকে রাখতে পারতো না সুযোগ পেলেই বাইরে বের হয়ে আসলো আবোল তাবোল বলতো।যে ছেলেকে ভালোবাসতো তার নাম ধরে ডাকতো।কাঠফাটা রুদ্রতে বসে থাকতো।বাড়ির সব ফার্ণিচারগুলো ভাংচুর করতো।যাকেই দেখা পেতো বলতো আচ্ছা সুনীল কি তোমার ফোনে ফোন করেছে। সবাই খুব ভয় পেতো অঞ্জলিকে দেখলে।কখন কি না কি করে বসে।একদিন তো গ্রামের এক লোকটে জগ দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থা । এরকম অবস্থা দেখে অবশেষে এক প্রকার জোর করেই অঞ্জলির মায়ের মতের বিরুদ্ধেই অঞ্জলির কাকা,দাদারা অঞ্জলিকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। সে তো যাবেই না এক প্রকার হাত, পা বেধে মাইক্রোতে তুলে নিয়ে গেলো এবং মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে রেখে চলে আসলো।মানসিক হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে দেখতে যেতেন ওর দাদা।এভাবে চলতে চলতে তিনমাস পর ওনারা বল্লেন এখন এনাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেন।আমরা প্রসক্রিপশন করে দেব সে অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াবেন সব ঠিক হয়ে যাবে।তারপর অঞ্জলি দি কে বাড়িতে নিয়ে আসলেন ওর মা,দাদা,কাকা গিয়ে।এভাবে বাড়িতেই ঔষধ খাচ্ছিল এবং ভালোই চলছিলো দিন গুলো।অঞ্জলি দি হাসপাতাল থেকে এসে শুধুই ঘুমাতো।আসলে ঔষধের মধ্যে ঘুমের ঔষধ ও ছিলো নিশ্চয়ই। মেয়ে ভালো হয়েছে একজন্য অঞ্জলির মা মেয়ের জন্য তরিঘরি করে ছেলে দেখতে লাগলো বিয়ের জন্য। যেহেতু মানসিক রোগি ছিলেন তাই ওনি নিজেদের মধ্যেই মানে নিজের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে খুজতে লাগলেন ছেলে।যে ছেলে সব অতীত জানে তাকে দিয়েই বিয়ে দেবেন। যে ভাবনা সেই কাজ অঞ্জলি দির পিসির ভাসুরের ছেলে ঢাকায় কোন এক কোম্পানিতে জব করেন তাকে দিয়ে বিয়ের আলোচনা করলো।মেয়ে দেখতে সুন্দর, ভালো পরিবার তাই ছেলেও রাজি হয়ে গেলো ও শুভ দিনে শুভ লগ্নে বিয়ে হয়ে গেলো অঞ্জলি দির। বিয়ের আগে কিছুই বলেনি কিন্তুু বিয়ের পর অঞ্জলি তার স্বামীকে একদমন সহ্য করতে পারতো না।কান্না করতো,এক বিছানায় ঘুমাতো না।এভাবে চলতে চলতে বিয়ের দু থেকে তিন মাসের মাথায় অঞ্জলি দি সন্তানসম্ভবা হয়ে গেলো। আর এমতো অবস্থায় আর কোন ঔষধ খাওয়া যাবে না তাই কিছু কিছু ঔষধ খাওয়া বন্ধ করতে হলো।দেখতে দেখতে একদিন অঞ্জলি একটি সুস্থ,স্বাভাবিক কন্যা সন্তানের জন্মদিলো।এবং এক মাস হতে না হতেই আবার আগের মতো মানসিক সমস্যা দেখা দিলো।বিয়ের পর থেকে অঞ্জলি বাবার বাড়িতেই থাকতো বর ঢাকায় থাকতো। মাঝে মাঝে ছুটিতে আসতো অঞ্জলির বর।মেয়েও অঞ্জলি দির বাবার বাড়িতেই হয়েছে। মেয়ে হওয়ার পর অঞ্জলি আবার আগের মতো সে খাওয়া বন্ধ করে দিলো।কান্না করতো। বাচ্চা নিতো না কোলে। অঞ্জলির মা বাচ্চার দেখাশোনা করতো।আর আবার আগের মতো কবিরাজের শরণাপন্না হলো তবে রংপুরে নিয়ে গিয়ে অঞ্জলির বর মানসিক ডাক্তার দেখিয়ে আনতো মাঝে মাঝে।এভবে দিনের পর দিন চলতে লাগলো।অঞ্জলি যখন একটু স্বাভাবিক থাকতো তখন মেয়েকে চোখে হারাতো।কিন্তুু তখন আবার ওর মেয়ে ভয়ে কাছে যেতো না।মাঝে মাখে শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যেতো কিন্তুু ওখানে গিয়েও চিৎকার চেঁচামেচি করতো।তাই ওখানেও থাকা সম্ভব হতো না।

(চলবে,,,,,

পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনগাইবান্ধা, বাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG_20230917_150733.jpg

Sort:  
 2 years ago 

আমি দ্বিতীয় পর্বটি পড়েছিলাম খুবই খারাপ লাগছিল। অঞ্জলি পাগল হওয়ার পিছনে তার বাপ মা দায়ী।বাবা মা এটা বুঝতে পারল না তার ভালোলাগা সেখানে ছিল কিন্তু তারা অতিরিক্ত জোর খাটাতে গিয়ে। অঞ্জলি কে পাগল করে দিল ।অঞ্জলি পাগল হওয়ার পরও যাকে ভালবাসত তার নাম ধরে ডাকছিল। হায়রে ভালোবাসা। বাপ মা যদি বুঝতো তাহলে তার জীবনটা কত সুন্দর হতো। যারা মানসিক রোগী হয়ে যায় না। তাদের মাথায় কোন কাজ করে না আচমকা মানুষকে আঘাত করে। অনেক সতর্ক থাকতে হবে সেই ফ্যামিলিদের।অঞ্জলি যে আবার বিয়ের পিড়িতে বসবে সত্যি অবাক হলাম। আমারও বাবা-মা ভুল করল। বিয়ের আগে ছেলেপক্ষ কে জানানো উচিত ছিল। আবার ও ছেলে পক্ষ ও তার মেয়ের জীবনটা নষ্ট করল। এমন মানসিক অবস্থায় তার বিয়ে দেওয়া কখনোই ঠিক হয় নাই। আমার জানা মতে সে কোন জায়গায় শান্তিতে থাকতে পারতেছে না। শ্বশুরবাড়ি না নিজের বাড়ি। খুবই খারাপ লাগতেছে অঞ্জলির জন্য। জানিনা পরবর্তী পর্বে কি হবে।

 2 years ago 

হ্যাঁ ভাইয়া মা অতিরিক্ত ভালো চাইতে গিয়ে খারাপ হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

 2 years ago 

জিদ কিছু ক্ষেত্রে ভালো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপদ বয়ে আনে।যেমনটি মেয়েটির ক্ষেত্রে আনলো মেয়ের মায়ের কারণে। অঞ্জলির পাগল হওয়ার জন্য পরিবারের লোকেরা দায়ী।ভালোলাগার মানুষকে না পাওয়ার কষ্ট অনেকে সহ্য করতে পারেন না। যার ফলে সেটা বিপদ বয়ে আসে তার জীবনে।গল্পটি ভালো লেগেছে আপু।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন অঞ্জলির পাগল হওয়ার পিছনে ওর মা দায়ী। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

এই গল্পের দ্বিতীয় পর্বটি আমি পড়েছিলাম আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে অঞ্জলীর জন্য। আসলে মেয়েটির মায়ের কারণে মেয়েটির এই অবস্থা হয়েছে। তার মা-বাবা তাদের প্রথম সম্পর্কটা মেনে নিলে হয়তো তাদের জীবনটা আরো সুন্দরও হতে পারতো। আমি মনে করি অসুস্থ থাকা অবস্থায় তাকে আবার বিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। যাইহোক পরবর্তীতে মেয়েটির কি অবস্থা হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু আমার পোস্ট টি পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।