মায়ের জিদের কারণে মেয়ের শেষ পরিনতি মৃত্যু পর্ব ২

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো,

কেমন আছেন সবাই আশা করছি ভালো আছেন। আমিও সৃষ্টি কর্তার কৃপায় ভালো আছি।আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবে মায়ের জিদের কারণে মেয়ের মৃতু পর্ব ২।

IMG-20231117-WA0004.jpg
সোর্স

এদিকে মেয়ের মা ভাবলেন তার মেয়েকে ওই ছেলে টুকটাক করেছেন তাই তার মেয়ে এমন ওই ছেলের প্রতি দূর্বল হয়েছে এবং ভালোবেসেছে। তাই তিনি কবিরাজের বাড়ি ছুটলেন। কবিরাজও ওনার মগজ ধোলাই করলেন। কবিরাজ আস্বাস দিলেন যে এই মোহ ওই ছেলে টুকটাক করেছে জন্যই হয়েছে। আমি পারবো আপনার মেয়েকে সঠিক পথে আনতে ওই ছেলের নাম কোনদিন মুখে আনবে না। এসব কথা শুনে তো মেয়ের মা মহা খুশি হাসি মুখে বাড়িতে আসলেন।মেয়েকে কিছুতেই বাড়ি থেকে বের হতে দিতেন না।স্কুলে যেতে দিতেন না।একদিন কাউকে কিছু না বলে অঞ্জলি বই নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো।ওর মা রান্না ঘরে ছিলো তাই বুঝতে পারেনি কখন গেছে। রুমে গিয়ে যেই না দেখেছেন মেয়ে নাই রুমে অমনি অঞ্জলির দাদাকে গিয়ে বলছেন যে অঞ্জলি পালাচ্ছে ধরে আন।ওর দাদা তো ভোঁদৌড় বাইরে এসে সবার কাছে জানতে চেয়েছে যে অঞ্জলি কই গেছে জানেন আপনারা যারা অঞ্জলি কে যেতে দেখেছেন তারা বলেছেন হ্যাঁ অঞ্জলি তো স্কুলে গেলো দেখলাম।কিন্তু ওর মায়ের কথা ছেলেদের উদ্দেশ্যে তোরা যা ওকে ধরে নিয়ে আয় স্কুল করতে হবে না। টুকটাক করেছেন সেসব আগে ঠিক করবো তারপর স্কুল। অঞ্জলির এক দাদা তার মায়ের কথা মতো অঞ্জলির গতিরোধ করলো এবং বাড়িতে ফিরে আসতে বল্লো। অঞ্জলি ও ভাই এর কথা মতো বাড়িতে চলে আসলো। বাড়িতে আনার পর অঞ্জলির দাদা খুব করে শাসন করলো এবং গায়ে হাত তুল্লো।অঞ্জলি দি সেদিন খুব কান্না করেছিলো।কান্নাকাটি ভালোবাসার মানুষের জন্য, না কি স্কুল যেতে না পারার জন্য না কি অপমানিত বোধের জন্য তা ঐ মূহুর্তে বুঝতে পারিনি। তবে এই ঘটনার পর ঐছেলেটি মানে অঞ্জলি দির ভালোবাসার মানুষ সুনীল দাদা সব জানতে পারে এবং অঞ্জলিদের বাড়িতে এক ঘটক পাঠিয়ে দেয় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে।কিন্তুু অঞ্জলি দির মা চরম অপমান করে ঘটককে। যা সিনেমাকেও হার মানাবে।ঘটক বেচারা অপমানিত হয়ে ছেলেকে ও ওর পরিবারের সবাইকে সব কথা বলে।ওনারাও ভিষণ ভাবে অপমানিত বোধ করেন এবং অঞ্জলির সাথে সব রকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।আর এমন পরিস্থিতিতে ছেলে টি কিছুতেই যোগাযোগ করতে পারছিলেন না।অঞ্জলি কে বাইরের জগৎ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিলো ওর মা।জেল খানার বন্দিদের মতো জিবন যাপন করতে হতো অঞ্জলি কে।এমন চলতে চলতে মাস খানেক পর হঠাৎ মাঝ রাতে কান্নার শব্দ এবং সকালে উঠে পুরা উঠান গড়াগড়ি ও কান্না করছিলো অঞ্জলি। গ্রামের মানুষের ভীর জমে গেছিলো।সবাই কষ্ট পাচ্ছিল কিন্তুু ওর মা,দাদারা ভেবে নিয়েছিলো আসলে ও নাটক করছে বাইরে যাওয়ার জন্য। কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো অঞ্জলি দি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে🥲।কিন্তুু ওর মায়ের আবারও এক কথা ঐ ছেলে বিয়ে করতে না পেরে আবারও টুকটাক করেছে আমার মেয়েকে তাই এমন পাগলামি করছে।এরকম দিনের পর দিন চলতে চলতে একদি পুরাপুরি ভাবেই অঞ্জলি দি পাগল হয়ে গেলো।
পোস্টবিবরণ
পোস্ট তৈরি@shapladatta
শ্রেণীজেনারেল রাইটিং
ডিভাইসOppoA95
লোকেশনগাইবান্ধা, বাংলাদেশ

photo_2021-06-30_13-14-56.jpg

IMG_20230826_182241.jpg

আমি হৈমন্তী দত্ত। আমার স্টিমিট আইডিরঃshapladatta. জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। শখঃবাগান করাও নিরবে গান শোনা,শপিং করা। ভালো লাগে নীল দিগন্তে কিংবা জোস্না স্নাত খোলা আকাশের নিচে বসে থাকতে।কেউ কটূক্তি করলে হাসি মুখে উড়িয়ে দেই গায়ে মাখি না।পিছু লোকে কিছু বলে এই কথাটি বিশ্বাস করি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি।বিপদকে ও অসুস্থতার সাথে মোকাবেলা করার সাহস রাখি সহজে ভেঙ্গে পরি না। সবাইকে নিয়ে ভালো থাকার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি পর হিংসা আপন ক্ষয়। ধন্যবাদ ।

A5tMjLhTTnj4UJ3Q17DFR9PmiB5HnomwsPZ1BrfGqKbjddgXFQSs49C4STfzSVsuC3FFbePnB7C4GwVRpxUB36KEVxnuiA7vu67jQLLSEq12SJV1etMVkHVQBGVm1AfT2S916muAvY3e7MD1QYJxHDFjsxQDqXN3pTeN2wYBz7e62LRaU5P1fzAajXC55fSNAVZp1Z3Jsjpc4.gif



IMG-20230816-WA0035(1).jpg

IMG-20230816-WA0030(1).jpg

Sort:  
 last year 

এখানে একমাত্র দায়ী তার পরিবার। তার পরিবার যদি মেনে নিতে তাহলে কিন্তু সে কখনোই পাগল হতো না। অঞ্জলি হয়তো তাকে নিয়েই ভালো থাকতে চেয়েছিল তার মধ্যে প্রশান্তি খুঁজে পেয়েছিল।আমার কথা হচ্ছে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে প্রায় বাপ-মা এমন কাজ করতেছে। নিজের মেয়ের জীবন নষ্ট করতেছে। না হয় মেয়ে মরে যায় না। হয় পাগল হয়ে যায় এমন ভাবে। মেয়ে যেখানে সুখে থাকবে সুখ-পাবে। সেখানেই তো আমাদের দিয়ে দিতে হবে তাই না। এমনও বাস্তবে অনেক ঘটনা ঘটছে যে আমরা জোর করে বিয়ে দিই তারপর অনেক কষ্ট করেও সংসার করতেও পারে না।তারপর মেয়েটাকে সারা জীবন কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। অঞ্জলীর মা যদি মেনে নিত সেই ভালোবাসার মানুষটির সাথে তাদের সম্পর্ক তাহলে কিন্তু অনেক সুন্দর ভাবে তারা জীবন যাপন করতে পারতো। সেই মেয়ে কখনোই পাগল হত না। আপনি ঠিক বলেছেন টাইটেলে মায়ের জিদের কারণে মেয়ের শেষ পরিণতি মৃত্যু।জোর করে কখনোই কোন কিছু হয় না। প্রতিটা মানুষকে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।

 last year 

হ্যাঁ ভাইয়া বাবা, মা সন্তানের ভালো চায় ঠিক কিন্তুু বেশি ভালো চাইতে গিয়ে আবার জিবন না নষ্ট হয়ে যায় তা খেয়াল রাখা দরকার। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করো কমেন্ট করার জন্য।

 last year 

কবিরাজ ফকিরদের কাছে আসলে যাওয়াই ঠিক না এরা গেলে বিভিন্ন ধরনের উল্টাপাল্টা কথা বলে মানুষের ব্রেনওয়াশ করে। তখন তাকে বিশ্বাস করা ছাড়া তাদের উপায় থাকে না। অঞ্জলীর মায়ের ক্ষেত্রে সেরকম হয়েছে। কবিরাজের কথা বিশ্বাস করে মেয়েকে এভাবে ঘরে বন্দি করে রেখে মানসিকভাবে অসুস্থ করে ফেলেছে। খুব খারাপ লাগলো গল্পটি পড়ে।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু কবিরাজ শুধু খারাপ করতে পারো ভালো নয়।ধন্যবাদ সুন্দর কমেন্ট করার জন্য।

 last year 

আসলে গল্পের প্রথম পর্বটি আমার পড়া হয়নি পরের পর্ব টি পড়ে আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। যদি তার মা-বাবা মেনে নিতে তাহলে মেয়ের এরকম পরিণতি হত না। আসলে এ ধরনের ঘটনাগুলো এখন অহরহই হচ্ছে। তাকে ঘরে বন্দি করে রাখার কারণে আরো বেশি এরকম হয়েছে। আসলে জোর করে কখনোই কোন কিছু করা যায় না।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু জোর করে কোন কিছুই করা যায় না।ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

এটা কেমন হলো? এক প্যারায় পুরো গল্প, তাহলে লেভেল-৩ তে কি শেখানো হলে এবং কেন শেখানো হলো? এটা সত্যি অনাকাংখিত। একাধিক প্যারায় লিখে আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারবেন।