দীর্ঘদিন পর বাজার করার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি।
দীর্ঘদিন পর বাজার করার অনুভূতি
বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে গতকাল অনেক দিন পরে গিয়েছিলাম বাজারে। বাজার বলতে মেইন উদ্দেশ্য ছিল খেজুরের গুড় ও জলপাই কেনার। আসলে এখনো তেমন ভালো গুঁড় বাজারে আসেনি। যাইহোক মেয়ে ভাপা পিঠা খাবে তাই ভাবলাম কিছু গুড় নিয়ে আসি। তবে গুঁড় তেমন পছন্দ না হলে কি দাম কিন্তু অনেক চায়।কি আর করা আনতে তো হবেই। আসলে এখন জলপাই কিনে বেশি করে আচার দিলে অনেক দিন পর্যন্ত খাওয়া যায়। আসলে বাজারে গেলে শুধু তো একটা জিনিস কেনা হয় না সাথে আরো অনেক কিছু কিনতে হয়। তবে বর্তমান দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে আমার মনে হয় সবাই বাজার করতে হিমশিম খাচ্ছে। তবে দাম যতই হোক না কেন না খেয়ে তো আর পারা যায় না। হয়তো চাহিদা অনুযায়ী সবাই খেতে পারছে না। আসলে আচারের জন্য জলপাই এর দাম আর কয় টাকা দাম কিন্তু চিনি কিংবা গুঁড়ের অনেক । যাইহোক বেশ ভালোই কিছু কেনাকাটা করেছি। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।
যেহেতু আমার মেইল উদ্দেশ্য ছিল গুড় কিনার তার জন্য আগে গুড়ের দোকানে গিয়েছিলাম।আসলে প্রথম কেবল উঠেছে যেমন দাম তেমন ভীর। তারপর বেশি দোকানও ছিল না। মাত্র দুটি দোকান ছিল। তারপর ভালো হয় কিনা তার জন্য এক কেজি গুড় এনেছি ২২০ টাকার দিয়ে ।
তারপর আরো একটু হেঁটে গেলাম জলপাই কেনার জন্য। আসলে এখন বাজারে অনেক জলপাই পাওয়া যায়। আর আমার কাছে জলপাই এর আচার খেতে অনেক ভালো লাগে। আমার বাচ্চারা ও অনেক পছন্দ করে জলপাইয়ের আচার।তারপর আমি ২ কেজি জলপাই এনেছি ৮০ টাকা দিয়ে । আসলে গতকাল ছিল হাঁটবার তাই হয়তো সকল জিনিস টাটকা পাওয়া গিয়েছিল। আসলে সবজি গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। এমন টাটকা সবজি দেখলেই কিনতে ইচ্ছে করে। আসলে এই সবজিগুলো খেতে ও অনেক ভালো লাগে। কচুর লতি গুলো দেখে চোখ ফিরাতে পারছিলাম না।কচুর লতি খেতে অনেক ভালো লাগে তবে লতি পরিষ্কার করতে অনেক কষ্ট। যাইহোক কষ্ট না করলে কি আর ভালো খাওয়া যায়। তারপর দুই মোটা কচুর লতি নিয়ে আসলাম।
সামনে পড়ল টাটকা শাক, সে গুলো কি না এনে পারা যায়। আবার আপনাদের ভাইয়ের শাক অনেক পছন্দ।বিশেষ করে পালংশাক, তারপর আমি তিন মোটা শাক এনেছি ৩০ টাকা দিয়ে । আসলে শাক আমাদের সবারই প্রতিনিয়ত খাওয়া দরকার। শাকে রয়েছে অনেক ভিটামিন। আমাদের প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাক অবশ্যই রাখতে হবে। তবে বর্তমান বাচ্চারা শাক মোটেও খেতে চায় না।
তারপর সামনে পড়ল ধনের পাতা। আসলে এখন ধনের পাতা ছাড়া যেন একদিন ও চলে না। ধনের পাতা তরকারিতে দিলে স্বাদ অনেক ভেড়ে যায়।তাই আমি অনেক গুলো ধনের পাতা কিনে এনেছি।অনেক দিন হলো পুইয়ের ফল খাওয়া হয়নি তাই সামনে পড়ল পুই ফল তারজন্য ৮০ টাকা দিয়ে এক কেজি কিনে এনেছি।
সবশেষে আসলাম পিঁয়াজ রসুন কেনার জন্য। আসলে সবজি তো ভালো মতোই কিনতে পারলাম কিন্তু পিঁয়াজ কিনতে গিয়ে আর ভালো লাগে না। আমাদের প্রতি বছর পিঁয়াজ কিনে রাখে সারাবছর খাওয়া হয়।কিন্তু এ বছর কিনা হয় নাই। দাম যতই হোক কিনতে তো হবেই। হয়তো আগে একটু পরিমাণে বেশি খাওয়া হত এখন কম খেতে হয় আরকি।যাইহোক অবশেষে ২০০ টাকা দিয়ে দুই কেজি পিঁয়াজ ও ২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি রসুন কিনলাম। অবশেষে কিনলাম দুই কেজি আলু১০০ টাকা দিয়ে। আসলে বললাম না একটা কিনতে গেলে আরেকটি এমনিতেই কিনতে হয়। কিনতে কিনতে অনেক কিছু কিনেছিলাম। আমার কাছে সবজি গুলো অনেক ভালো লেগেছে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | redmi note 12 |
লোকেসন | ফরিদ পুর |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।আমার কাছে নতুন নতুন ডাই ও ফটোগ্রাফি করতে অনেক ভালো লাগে। ।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।
দীর্ঘদিন পর বাজার করতে গেলে কেমন যেন নতুন নতুন লাগে। আসলে শীতে মৌসুমে বাজারে গেলে বিভিন্ন ধরনের সবজির দেখা মেলে। আপনি খেজুরের গুড় ও জলপাই কিনতে গিয়েছেন আসলে শীতের সময় খেজুরের গুড় খুব চলে পিঠা খাওয়ার জন্য। তবে অরিজিনাল গুড় সব জায়গাতে পাওয়া যায় না। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো
ঠিক বলেছেন ভাইয়া অরিজিনাল গুড় সব জায়গায় পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ ভাইয়া।
অনেক সুন্দর তরতাজা সবজির ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। এতো সুন্দর তরতাজা সবজি দেখে চোখ জুড়িয়ে গেলো।সব গুলো সবজি খুব সুন্দর। কচুর লতির ফটোগ্রাফি দেখে আমারও চোখ আটকে গেলো আমারও খুব প্রিয় কচুর লতি।পুঁইশাকের বিজ গুলো খুব লোভনীয়। পেঁয়াজের দাম এতো বেশি ঠিক বলেছেন তবুও কিনতে হবে আগে পেঁয়াজের ব্যাবহার বেশি হতো এখন কম করতে হয় এই আরকি।আমারও বাজার করতে ভালো লাগে এবং কিনতে কিনতে অনেক কিছুই কিনে ফেলি।ধন্যবাদ খুব সুন্দর পোস্ট টি করার জন্য।
সত্যি আপু কিনতে গেলে কিনতে কিনতে অনেক হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপু।
বাজার করার চমৎকার অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। গুড়ের খুবই লোভনীয় ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। একই সাথে বাজার করতে গিয়ে খুবই টাটকা শাকসবজির ফটোগ্রাফি করেছেন আপনি। যাহোক বাজার করার সুন্দর একটি অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া শাক গুলো অনেক তাজা ছিল বেশ ভালো লেগেছিল শাকগুলো দেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
বেশ ভালোই তো বাজার করলেন দেখছি। আপনি তো ভালোই বাজার করতে পারেন। আচারের জন্য গুড় কিনেতে গিয়ে অনেক কিছুই বাজার করে আনলেন। কিন্তু ভাবছি যে আপনাদের ঐখানে পেঁয়াজ আর আলুর দাম কমেনি। কিন্তু ঢাকায় তো কমেছে। ভালো লাগলো বাজার করার বিষয়টি। ধন্যবাদ আপু সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু পিঁয়াজের দাম মোটেও কমেনি আলু কেজি প্রতি দশ টাকা কমেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও অনেকদিন হলো বাজার করি নাই কিন্তু বাজার করতে ভীষণ ভালো লাগে। বাজারে যে টাকাটা বেঁচে যায় সেটা দিয়ে আমি বড়া চপ খেয়ে থাকি 😅😅😅।আপনি বাজারে খেজুরের গুড় ও জলপাই কেনার জন্য গিয়েছিলেন তারপর আপনি দারুন ফটোগ্রাফি তুলে ধরেছেন পালংশাকের। পালংশাক আমাদেরও লাগিয়েছে অনেক মাঠে।বর্তমানে বাজারে যে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে একটা জিনিস কিনতেই পারতেছে না।এমন একটা সময় আসবে যে সবজি কেনাই আমাদের জন্য অনেক কষ্টকর হয়ে যাবে। এখন যা পরিস্থিতি তাও একটু কেনা যাচ্ছে। এই খেজুরের গুড়গুলি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। এখন তো শীতকাল চলে এসেছে। বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করতে এই গুড়গুলি লাগে। আপনার ছবিগুলো অস্পষ্ট ছিল। আপনি মনে হয় মানুষের চোখে ফাঁকি দিয়ে ছবিগুলো তুলেছিলেন 😅😅😅আমিও বাজারে গেলে এমন ভাবে পিকচার তুলি।মানুষকে বুঝতে দিয় না 😅।আপনি জলপাই কেনার জন্য গেলেন এবং জলপাইয়ের আঁচার খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে ।কচুর লতি খাওয়ায় চেয়ে পরিষ্কার করা অনেক কষ্ট আপু। ভালো কিছু খেতে হলে অবশ্যই কষ্ট করতে হবে।হুম আপু দৈনন্দিন জীবনে যেগুলি লাগে। দাম যতই হোক কিনতে হবে। অনেক সুন্দর করে আপনি বাজারের মুহূর্তটি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন
আসলে ভাইয়া বর্তমান বাজার করতে গেলে টাকা তো থাকেই না, আর তো বড়া চপ কিভাবে খাব। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
বাজার করার অভিজ্ঞতা মোটামুটি ভালই আছে আমার সপ্তাহে দুই তিন দিন করা হয়। ঠিকই বলেছেন আপনি দ্রব্যমূল্যের যে উর্ধ্বগতি আসলে সবাই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে।
শীতকাল চলে এসেছে এই সময় তো ভাপা পিটার উৎসব চলে সব জায়গাতে এইজন্য খেজুরের গুড় কিনার আয়োজন চলছে।
বাজার করার অভিজ্ঞতা এবং ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো দেখে।
আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো, ধন্যবাদ ভাইয়া।
দীর্ঘদিন পরে বাজার করার অনুভূতি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। সত্যি বলতে বাজার করতে আমারও অনেক ভালো লাগে। তবে বর্তমানে উদ্যগতির বাজারে বাজার করতে গেলে একটু রাগ হয় জিনিসপত্রের দাম শুনলে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিত ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
সত্যি ভাই বাজারে জিনিস পত্রের দাম দেখে রাগ হওয়া স্বাভাবিক। ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেকদিন পরে আপনার বাজার করার অনুভূতির গল্পটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। যদিও গুড় এবং জলপাই কেনার উদ্দেশ্যে আপনি বাজারে গিয়েছিলেন, বর্তমান শীত চলে এসেছে আর এই শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠা সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আপনার মেয়ে এই শীতের মৌসুমে ভাপা পিঠা স্বাদ গ্রহণ করতে চেয়েছে। বাজারে গেলে শুধুমাত্র একটা জিনিস কেনা হয় না বাজারে গেলে প্রয়োজনীয় জিনিসের সাথে সাথে আরো অনেক কিছু কেন হয় আপনি তো দেখছি অনেক কেনাকাটা করেছেন। শীতের মৌসুমে আসলেই বাজারে টাটকা শাকসবজি পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনার কেনাকাটার মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
জি ভাইয়া বাজারে গেলে শুধু একটা জিনিস কেনা হয় না,একটা একটা করে অনেক গুলো কেনা হয়ে যায়। ধন্যবাদ ভাইয়া।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষেরা প্রতিনিয়ত হিমশিম খাচ্ছে। হয়তোবা সামনে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। যাইহোক শীতকালীন সবজি খেতে দারুণ লাগে। এতো এতো শীতকালীন সবজির ফটোগ্রাফি দেখে খুব ভালো লাগলো। টক মিষ্টি জলপাই আচার আমার খুব পছন্দ। আসলেই আপু চিনি এবং গুড়ের দাম অনেক বেড়েছে। গতকালকে ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচুর লতি রান্না করেছিল বাসায়। খেতে দারুণ লেগেছিল। তবে কচুর লতি কাটতে অনেক সময় লেগেছিল আমার ওয়াইফ এর। যাইহোক অনেক কিছুই কিনেছেন আপু। এতো সুন্দর অনুভূতি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাইয়া চিনি আর গুড়ের দাম অনেক বেড়ে গেছে কিন্তু চিনি ছাড়া আমাদের একদিন ও চলে না। জি ভাইয়া অনেক কিছুই কেনা হয়েছে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্ট পড়ে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপু, আপনার বাজার করার অনুভূতি জেনে অনেক ভালো লাগলো। গুড়ের কেজি ২০০ টাকা করে তাহলে তো খুব একটা বেশি দাম দেখছি না। পিঁয়াজের দাম এখন একটু বেশি সব জায়গায় চলছে। আপনাদের ওইখানে ১০০ টাকা করে কেজি আর আমাদের এইখানে ৬০ টাকা করে কেজি চলছে এখন। পুই ফল এই শীতের সময়টাতে পাওয়া যায় তবে ৮০ টাকা করে কেজি দামটা একটু বেশি মনে হল আমার কাছে।
জি ভাইয়া পিঁয়াজের দাম অনেক বেড়ে গেছে, পুই ফল ৮০ টাকার নিচে নেই।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।