শৈশবের দিনগুলি—স্মৃতির অম্ল-মধুর পাঠ
১. ছোট্ট খেলাধুলার আনন্দ
প্রাত্যহিক জীবনের ছোট্ট খেলাধুলাগুলো—ছক্কা, লুকোচুরি, পুতুলবাড়ি—এসবই ছিল আমাদের সবচেয়ে বড় বিনোদন।
চোখ বন্ধ করে লুকোচুরি: বন্ধুরা কোথায় লুকিয়ে আছে, সেটা খুঁজে বের করার উত্তেজনা ছিল অন্যরকম।
পুতুলবাড়ি: ছোট্ট বাসা, ছোট্ট আসবাব, আর পুতুলদের ভিড়—আমাদের ছোট্ট পৃথিবী।
২. মিষ্টি–খারাপ পরীক্ষার স্মৃতি
শৈশবে পরীক্ষা মানেই হতাশা আর উত্তেজনার মিশ্রণ।
প্রস্তুতি: রাতভর বইয়ের পাশে বসে পড়াশোনা, মাঝে মাঝে বাবা-মায়ের আদরঘেরা চা বিরতি।
পরীক্ষার ফল: ভালো ফল এলে স্কুলের মাঠে দৌড়, আর খারাপ ফল এলে মা-বাবার সামান্য ভয়ানক ‘ভাল করে পড়ো’ উক্তি।
৩. গ্রাম-বাড়ির প্রীতি
বড় শহরের বাইরে যখন ছুটি কাটাতে যেতাম, গ্রাম-বাড়ির বায়ু, মাঠ-খোলা আর পুকুরের ধারে মাছ ধরার মজা ভুলবার নয়।
সন্ধ্যার আড্ডা: পুকুরের ধারে বসে বড়দের গল্প—কালের কথা, গ্রামের কাকতাড়ুয়া, গোপন প্রেমের গল্প।
সকালবেলা: হাঁস-মুরগি ডাক, হালকা কুয়াশা, আর দাদুর হাতে তৈরি গরম চা আর রুটি।
৪. বন্ধুত্বের অপরিসীম শক্তি
শৈশবের বন্ধুরা আজো হৃদয়ে থাকে—সে যেই অপরাধ করুক না কেন!
স্মৃতি বিনিময়: একে অপরের বই-খাতা, লাঠি-ছুরি, আর মাঝেমাঝে একসাথে হেসে ফেলার উন্মত্ততা।
আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা: স্কুলের প্রথম দিন, বন্ধুদের উৎসাহ-উদ্দীপনা—যা আজো নতুন কাজের শুরুতে অনুপ্রেরণা দেয়।
উপসংহার
শৈশবের দিনগুলি অতল গহ্বরের মতো—যেখানে সুখ, দুঃখ, ভালোবাসা আর আকাঙ্ক্ষার সবই মিশ্রিত। বড় হওয়ার পথে আমরা হয়তো এগুলোকে বিস্মৃত করে দিই, তবে হৃদয়ের পাতায় সবসময়ই এই স্মৃতিগুলো অম্ল-মধুর হয়ে থাকে।
আজকের টাস্ক: আপনার শৈশবের এক ছোট্ট মুহূর্ত আজই আপনার ব্লগে লিখুন, ১৫০–২০০ শব্দে। নিচে কমেন্টে সেই লিঙ্ক শেয়ার করুন—সবাই মিলে পড়ি আর স্মৃতির নৌকায় ভ্রমণ করি!