বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচু রাস্তা।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তার কিছু দৃশ্য। বান্দরবান জেলায় অবস্থিত খুবই জনপ্রিয় একটি টুরিস্ট প্লেস হচ্ছে ডিম পাহাড়। এই ডিম পাহাড়ের উপর দিয়ে যে রাস্তাটা নির্মাণ করা হয়েছে সেটাকেই বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু রাস্তা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আলীকদম এবং থানচি উপজেলার মাঝামাঝি এ রাস্তাটি অবস্থিত। বলা চলে দুটি উপজেলাকে পৃথক করেছে এই রাস্তা। ডিম পাহাড়ের উপরের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দু'পাশের ডায়নামিক ভিউ আপনাকে অবাক করে দিবে। মনে হবে আমি যেন স্বপ্নে আছি। সমতলে থাকলে যেমন পৃথিবীকে খুব স্বাভাবিক মনে হয় ওইখানে থাকলে অনুভূতিটা ভিন্ন রকম হবে। সামনে হাজার হাজার ফুট নিচু ভূমি আবার তার ওপাশে হাজার হাজার ফুট উঁচু পাহাড়।
একটা সময় ডিম পাহাড় ছিল শুধু দূর থেকে দেখার মতো একটি পাহাড়। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ডিম পাহাড়ের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে এবং এই রাস্তাটি হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু রাস্তা। দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু রাস্তায় এটি। আমরা যখন রাস্তাটির উপর দিয়ে যাচ্ছিলাম তখন এই অনুভূতিটা ভালো লাগাচ্ছিলাম। ওই সময় আরো একটি বিষয় আমরা অনুভব করেছি, সেটা হচ্ছে গাড়ি জোরে যাওয়ার সময় অতি ক্ষুদ্র পানির কণার স্পর্শ অনুভব করছিলাম। শীতল একটি অনুভূতি যেটা নিচে থাকতে পাচ্ছিলাম না। এটা কিন্তু বাতাসের শীতলতা না, এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছিল অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানির কণার স্পর্শ। আমরা যেদিন গেলাম সেদিন আকাশে মেঘের বালাই ছিল না। তাছাড়া মেঘের বিছানা দেখতে পেতাম রাস্তার নিচ থেকে দিগন্ত পর্যন্ত। তবে যেহেতু আমরা অনেক উপরে ছিলাম সেখানে মেঘের উপস্থিতি কিছুটা হলেও ছিল যার কারণে শীতল অনুভূতি পাচ্ছিলাম অথচ তখন কিন্তু প্রচন্ড রোদ ছিলো।
১২০ কোটি টাকা খরচ করে সুন্দর একটি রাস্তা তৈরীর সিদ্ধান্তটা বাংলাদেশের ট্যুরিজমের জন্য খুবই বড় একটি পাওয়া ছিলো। পাহাড়ের উপর দিয়ে এরকম ৩৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য রাস্তাটি আপনাকে বাংলাদেশকে আরো সুন্দর ভাবে চিনিয়ে দিবে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই ডিম পাহাড়ের উচ্চতা হলো আড়াই হাজার ফুট। এতটা উঁচু দিয়ে যাওয়ার অনুভূতিটা নিঃসন্দেহে চমৎকার ছিলো।
= হয়তো একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন আকাশটা প্রচণ্ড নীল। আমার সারা জীবনেও আমি কখনো এতটা নীল আকাশ দেখিনি। আমরা যখন সমতল ভূমি থেকে আকাশ পানে তাকাই তখন অনেকগুলো ফ্যাক্টরের কারণে আকাশ কিছুটা কম নীল দেখায়। বায়ুমণ্ডলের বিভিন্ন ডাস্টের কারণে হতে পারে বা অন্যান্য কারণ থাকতে পারে। কিন্তু এতটা উঁচুতে কোন পলিউশন না থাকায় আকাশটা দুর্দান্ত লাগছিল দেখতে।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

ওয়াও আসলে তো এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় উচু রাস্তা ৷ কিছুদিন আগে ইউটিউবে এমনটা ভিডিও দেখেছিলাম ৷ সেখানেও বেশ ভালোই ছিল ভিডিওগ্রাফ টি সাথে ঘটনা৷ যা হোক শুনে অবাক হলাম যে, সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে আড়াই হাজার ফুট উপরে ৷ তখন মনে হয় আকাশটা কাছে মনে হয়েছিল না ৷ হিহিহি
ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ৷ তবে হয়তো বাস্তবে গেলে আরও ভালো কিছু দেখতে বা অনুভব করতে পারবো ৷
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ডিম পাহাড়ের উচ্চতা আড়াই হাজার ফুট। আপনার পোষ্ট না পড়লে বুঝতে পারতাম না ভাইয়া এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু রাস্তায় এটি। আসলেই ভাইয়া রাস্তাটি অনেক সুন্দর দেখতে ।আপনার পোস্টের মাধ্যমে এত সুন্দর রাস্তা দেখতে পেলাম ।ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ দ্বিতীয় উঁচু রাস্তায় এটি।আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ডিম পাহাড়ের উচ্চতা আড়াই হাজার ফুট। আসলে এই বিষয়গুলো জানাই ছিল না। আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে দেখতে পেলাম, আর রাস্তা দিয়ে ভ্রমণের মুহূর্ত সত্যিই অসাধারণ। চারপাশে সবুজ প্রকৃতির দৃশ্যগুলো দেখে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে অনেক কিছু জানতে পারলাম। আসলে এগুলো জানা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উঁচু রাস্তা কতটা সুন্দর সেটা আপনার ছবি দেখেই বুঝতে পারছি ভাইয়া। তাছাড়া আপনি যেই মুহূর্তে ছবি গুলো ক্লিক করেছেন সেই সময়টা জাস্ট অসাধারণ। এই গাঢ় নীল আকাশকে যেন আকাশে থাকা সমুদ্রের মতো লাগছে।
এর আগে সম্ভবত রাহুল ভাইয়ের পোস্ট থেকে জেনেছিলাম এই ডিম পাহাড়ের উচু রাস্তা সম্পর্কে। সত্যি ১২০ কোটি টাকা খরচে অসাধারণ একটা রাস্তা নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এরজন্য পর্যটকদের বেশ অনেক সুবিধা হয়েছে। তবে এটা যে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উচ্চতা বিশিষ্ট রাস্তা এটা জানতাম না। পাহাড়ের ভিউ বেশ সুন্দর লাগছে। ফটোগ্রাফি গুলো বেশ দারুণ করেছেন ভাই।
আমিও এতোটা নীল আকাশ কখনো দেখিনি। নীল আকাশ বরাবরই আমার ভীষণ পছন্দ। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছি ভাই। কোনটা রেখে কোনটার প্রশংসা করবো,সেটাই বুঝতে পারছি না। আপনার ফটোগ্রাফির দক্ষতা আসলেই খুব ভালো। রাস্তাটি খুব সুন্দরভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেনাবাহিনীদের এমন কাজ অবশ্যই বেশ প্রশংসনীয়। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ডিম পাহাড়!নামটি কেমন মজার।তাছাড়া এমন উঁচু রাস্তা দেখে খুবই ভালো লাগলো দাদা।আপনার শীতল অনুভূতি পড়ে মনে হচ্ছিল যদি যেতে পারতাম ওই পাহাড়ে।আকাশ এতটা নীল যে মন ছুঁয়ে গেল,ফটোগ্রাফিগুলি অনেক সুন্দর।ধন্যবাদ দাদা।
ভাইয়া আলীকদম এবং থানচি উপজেলার রাস্তা গুলো সত্যিই অনেক সুন্দর। এই জায়গা গুলো যখন ফটোগ্রাফিতে দেখি তখন হৃদয় ছঁয়ে যায়। খুব তারাতারি আমরা বান্দারবন ভ্রমন করবো,ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ ভাইয়া।