Bandarban Diary - ঝিরিপথ ধরে নাফাখুমের পথে।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। নাফাখুম যাওয়ার সময় যাত্রা পথে দারুন দারুন সব দৃশ্য চোখে পড়েছে। আমার অভিজ্ঞতায় এ এক অন্যরকম অধ্যায় যোগ হলো।
ঝিরিপথ ধরে হাঁটার মধ্যে এক স্নিগ্ধতা নীরবতা প্রশান্তি আর মুগ্ধতা কাজ করে যেটা শুধুমাত্র এই জায়গাটাতে নিজে উপস্থিত থাকলেই বোঝা যাবে। ট্র্যাকিং করার অভিজ্ঞতা আমার পূর্বে কখনোই ছিলো না। নাপাকুম পৌঁছাতে আমাদের দীর্ঘক্ষণ ট্রাকিং করতে হয়েছে।
কখনো ঝিরিপথ পার দিতে হয়েছে, কখনো বা পাহাড়ের একটু উঁচু দিয়ে হাঁটতে হয়েছে। মাঝে মাঝে কিছু আদিবাসী মেয়েদের সাথে দেখা হয়েছে। এখানকার মেয়েরা খুব কর্মঠ। তবে একটা বিষয় লক্ষ্য করেছি তারা যে অবস্থাতেই থাক সবসময় সাজুগুজু করে থাকে।
চলতি পথে আমরা কয়েকটি দোকান দেখেছি যেখানে একটুখানি দাঁড়িয়ে চা খেয়ে নিয়েছি। যারা ট্র্যাকিং করে এ পাশ দিয়ে তারা সবাই এখানে একটুখানি রেস্ট নিয়ে তারপর আবার যাত্রা শুরু করে। আমরা একটি দোকানে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে রং চা খেলাম। ওইখানে একটুখানি বসে জিরিয়ে নেওয়া সেইসাথে হালকা নাস্তা পানির পর্ব সেরে নিয়েছিলাম। সকালবেলা কিছু না খেয়ে এসেছি যার কারণে একটু খিদে লেগে গিয়েছিল। পাহাড়ি কলা আর চা দিয়েই সকালের নাস্তাটা শেষ করলাম।
চলতি পথের একটুখানি বিশ্রাম শেষে আবার আমরা যাত্রা শুরু করেছিলাম নাফাখুমের দিকে। আমরা সেই গতকাল থেকে নেটওয়ার্কের বাইরে ছিলাম। নেটওয়ার্কের বাইরে থাকার অভিজ্ঞতাও ছিলো ভিন্ন রকমের।
যাওয়ার সময় আমরা অনেকগুলো আমগাছ দেখতে পেলাম পাহাড়ের ঢালে। পূর্বে একটা ভাইয়ের কাছ থেকে শুনেছিলাম তারা নাকি আমের সিজনে এই পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় এখানকার আম গাছগুলো থেকে আম খেয়েছিল। প্রচন্ড মিষ্টি হয় পাহাড়ের আমগুলো। আসলে পাহাড়ের অর্গানিক যে কোন জিনিসই আমাদের অঞ্চল থেকে অনেক বেশি ভালো।
অনেক অনেক ছোট ছোট অনুভূতি যেগুলো লিখে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ছোট্ট একটা ভিডিও ক্লিপ আপনাদের সাথে শেয়ার করছি যাতে আপনাদের কিছুটা হলেও বুঝতে সুবিধা হয়। পরবর্তীতে আরো অনেক ফটোগ্রাফি শেয়ার করব।
https://youtube.com/shorts/3vpvdTRGl90?si=dhEdCeQU0Z8TjEZ9
আশা করি ভিডিওটি ভালো লেগেছে। শহরের অস্থিরতা, যানজট, কোলাহল থেকে বেরিয়ে এমন নির্জনতার মাঝে সময় কাটানোর আত্ম তৃপ্তির মূল্য অনেক বেশি। সচরাচর যে সকল জায়গায় টুরিস্টরা যেয়ে থাকে তার থেকে বহুগুনে ভিন্ন এই পিওর প্রকৃতির গহীনের নির্জনতা। যাইহোক, পরবর্তী পর্বে দেখা হবে ইনশা আল্লাহ। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
সত্যিই ভাইয়া এতো সুন্দর জায়গা দেখলে মনটা ভরে যায়।আপনার শেয়ার করা ভিডিওগ্রাফি দেখে ভীষণ ভালো লাগলো।চমৎকার জায়গায় চমৎকার অনুভূতি সত্যি দারুন লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
বাহ্! ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে ভাই। আসলেই ভাই, সচরাচর যেসব জায়গায় পর্যটকরা বেশি যায়, সেসব জায়গার চেয়ে শতগুণে ভালো সময় কাটানো যায় এমন নিরিবিলি জায়গায়। পাহাড়ি কলা এবং পেঁপে অনেক খেয়েছি, তবে আম কখনো খাওয়া হয়নি। পাহাড়ি ফল গুলো অনেক মিষ্টি লাগে খেতে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি চমৎকার ভাবে ক্যাপচার করেছেন ভাই। সবমিলিয়ে পোস্টটি বেশ উপভোগ করলাম। যাইহোক এমন মনোমুগ্ধকর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রকৃতির এই নিরব সৌন্দর্য্য , প্রশান্তি এবং মুগ্ধতা এনে দেওয়ার মতোই ৷ সব মিলিয়ে বেশ ভালোই মুহূর্ত গুলো উপভোগ করেছেন ৷ আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো ৷ পাহাড়ের প্রকৃতিকে এতো কাছ থেকে দেখা হয়নি ৷ ছবি গুলো দেখে জায়গাটা প্রেমে পড়ে গেলাম ৷ তবে আদিবাসী মেয়েরা আসলেই অনেক পরিশ্রমী এবং সুন্দর হয় ৷ ধন্যবাদ ভাইয়া , আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো এবং ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য ৷
ভাইয়া ধীর্ঘদিন ধরে নাফাখুম যাওয়ার প্লান প্রোগ্রাম করছি। আপনার ব্লগ পড়ে কিছুটা ধারনাও পেলাম। তবে আপনি যে নাফাখুম যাওয়ার পথে সাজুগুজু করা আদিবাসী মেয়েদের সাথে কথা বলেছেন,সেটা যদি ভাবি জানে তাহলে জীবনের তরে বান্দরবান সীলগারা করে দিবে,হা হা হ।।
হিহিহি 😅