Bandarban Diary - বিদায় রেমাক্রি।
হ্যালো বন্ধুরা।
আসসালামু আলাইকুম।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই অনেক ভালো আছেন। নাফাখুমের সৌন্দর্য দর্শন শেষ করে আমরা আবার ফেরত আসলাম রেমাক্রিতে। আমাদের দুপুরের খাওয়া-দাওয়া টা সেখান থেকেই সেরে নিয়েছিলাম। দুপুরের খাওয়ার আগে আমি রেমাক্রি থেকে গোসল সেরে নিয়েছিলাম।
এখানের পানি মারাত্মক স্বচ্ছ আর নিচের পাথর পর্যন্ত দেখা যায়। প্রচন্ড স্রোত আর স্বচ্ছ পানির জন্য এই জায়গাটা গোসল করার জন্য খুবই জনপ্রিয়। পানি প্রচন্ড ঠান্ডা ছিল কিন্তু গোসলের অনুভূতিটা ছিল দারুণ। যখন একটা ডুব দিচ্ছিলাম তখন কিছুটা দূরে গিয়ে উঠতে হচ্ছিল স্রোতের বেগে। স্বচ্ছ গতিশীল এমন নদীর মধ্যে গোসল করার অনুভূতিটা আরো অনেক বেশি ভালোভাবে উপলব্ধি করা যায় যখন চারিপাশের বিশালতার দিকে নজর যায়।
চারদিক উঁচু উঁচু পাহাড়, পাথরের চাদরের উপর বহমান নদী- সে নদীতে গা ভাসানোর মাঝে বিশালা তৃপ্তি লুকায়িত। আপনারা যদি কখন এখানে যান এই গোসলের অভিজ্ঞতা না নিয়ে আসবেন না। যাইহোক গোসল শেষ করে দুপুরের খাবার খেয়ে নিয়েছিলাম। আগে থেকেই অর্ডার দিয়ে রাখা হয়েছিল পাহাড়ি মুরগির মাংস, ডাল আর সাথে সাদা ভতের। গোসল শেষ করে গরম গরম ভাত খেয়ে নিলাম। আহ কি তৃপ্তি। গোসল করার পর এমনিতেই অনেক ফ্রেশ লাগছিল। তারপর পেট পুরে খাওয়ার পর খিদে টাও মিটলো।
যেহেতু আমাদের রেমাক্রি ভ্রমণ শেষ হলো তাই আমাদের এখন ফিরতে হবে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমরা রাতে যেখানে ছিলাম সেই জায়গায় গিয়ে সমস্ত ব্যাগপত্র নিয়ে আসলাম। চোখ বুলিয়ে দেখে নিলাম এক নজরে সবকিছু। ব্যাগ পত্র নিয়ে সোজা চলে এলাম আমাদের নৌকার কাছে। নৌকা এসে টাইম মতো দাঁড়িয়ে ছিল ঘাটে।....
গত তিন পর্বের মতো এ পর্বেও ভিডিওটি শেয়ার করলাম। যারা এখনো দেখেন নাই তারা দেখে নিতে পারেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। ফিরতি পথের গল্প শেয়ার করব আগামী পর্বে। এখান থেকে ফিরে আমরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। শেয়ার করব সে গল্প আগামী পর্বে। আল্লাহ হাফেজ।
https://youtube.com/shorts/3vpvdTRGl90?si=dhEdCeQU0Z8TjEZ9
VOTE @bangla.witness as witness

OR
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

এমন স্বচ্ছ পানিতে গোসল করে, পাহাড়ি মুরগির মাংস দিয়ে বেশ তৃপ্তি সহকারে খাওয়া করেছেন ভাই। কখনো সেখানে গেলে অবশ্যই গোসল করবো ইনশাআল্লাহ। এমন জায়গায় ঘুরাঘুরি শেষ করে রওনা দেওয়ার সময় কিছুটা খারাপ লাগার কথা। কারণ রেমাক্রি আসলেই চমৎকার জায়গা। যাইহোক পরবর্তী গন্তব্য তাহলে কক্সবাজার। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ভাই। যাইহোক এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
রেমাক্রি দারুন সময় কাটিয়েছিলাম। আসলে যতবার বান্দরবান গিয়েছে ততবারই সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছি। নেটওয়ার্কের বাইরে একদিন ছিলাম সত্যিই সেই অনুভূতি অন্যরকম ছিল। প্রযুক্তি যুগ থেকে আমাদের আলাদা করে রেখেছিল । সবাই অনেক মজা করেছিলাম তারই স্মৃতিচারণ হিসেবে এই পোস্ট ভালো লাগলো।
এটা সত্য ভাই পাহাড়ি এলাকার এই স্বচ্ছ নদীগুলোতে গোসল করতে দারুণ লাগে, কারন জাফলংয়ের অভিজ্ঞতা এবং ভোলাগঞ্জের অভিজ্ঞতা আছে আমার। দৃশ্যগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে পানি কতটা স্বচ্ছ ছিলো। আর হ্যা, পাহাড়ির মুরগির খালি পাহাড়ি পা দেখছি মাংসগুলো কে খেলো? হা হা হা।
ভাই মুরগিটা কিন্তু মুলা দিয়ে রান্না ছিল। 😅
ঠান্ডা সচ্ছ পানিতে গোসল দিয়ে,পাহাড়ি মুরগি দিয়ে খাবার। দেখেই বুঝা যাচ্ছে যে পাহাড়ি মুরগির মাংস। ছিড়তে কিছুটা কষ্ট হয়েছে অবশ্যই। যায়হোক এমন সুন্দর একটা জাগায় গিয়ে ফিরে আসতে মন চাইবে না। তারপরেও ছেড়ে আসতে হয়। পরিবেশটা দারুন ছিল। ধন্যবাদ।