পরিবারের সবার সাথে বসে মুড়ি মাখা খাওয়ার অনুভূতি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আস-সালামু আলাইকুম

প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাইবোন বন্ধুরা,

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নিয়ে চলে আসলাম আরও একটি নতুন পোস্ট। তো আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব পরিবারের সবাই সাথে বসে গল্পের সাথে মুড়ি মাখা খাওয়ার অনুভূতি। আসলে মুড়ি বর্তমান আমার প্রায় রেগুলার খাদ্য হয়ে গিয়েছে। মনে হয় জেনে আমি প্রায় প্রতিদিনই মুড়ি খাচ্ছি। তবে আলহামদুলিল্লাহ এখন পর্যন্ত এই মুড়ি অরুচিকর হয়নি।

তো যাই হোক কিছুদিন আগেই আপুরা এসেছে ভেবেছিলাম একদিন সবাই মিলে মুড়ি মাখিয়ে খাব। তো প্রথমে তো ভেবে নিয়েছিলাম বাজার থেকে মুড়ি কিনে এনে তারপর সেটাকে মাখিয়ে খাব। কিন্তু আপুর হঠাৎ কি মনে হলো সে নাকি মুড়ি ভাজবে। তো যেই কথা সেই কাজ আজকে আপুদের মুড়ি ভাজার কথা ছিল তো আমি রাতে বাসায় এসে দেখি অনেকগুলো মুড়ি ভেজে নিয়েছে। যদিও বা আমাকে আগে থেকেই চানাচুর কিনে আনতে বলেছিল কিন্তু প্রথমে আমি ইচ্ছে করেই নিয়ে আসিনি।

তো আমি বাড়ি আসতেই আমাকে চানাচুর কিনে আনার কথা জিজ্ঞেস করলে আমি প্রথমেই বলে দি যে এখনই যাব চানাচুর কিনতে। তো যেহেতু সবাইকে বলে দিলাম তাই এবার তো যেতেই হবে। বেরিয়ে পড়লাল আমার বড় ভাগ্নেটাকে নিয়ে চানাচুর কেনার উদ্দেশ্যে। তো প্রথমে আশপাশে একটা দোকান থেকে খোঁজ নিলাম যে বনফুল চানাচুর আছে কিনা তো উনি বলল নাই। তার জন্য বাধ্য হয়ে বাজারে চলে গিয়েছিলাম কারণ বনফুল চানাচুর খেতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে।

যাইহোক এরপর আমি এবং আমার ভাগ্নে মিলে বাজারে গিয়ে চানাচুর কিনলাম এর সাথে ভাবলাম ছোলা এবং একটু ঝালমুড়ি মাখানোর তেল কিনে নিয়ে গেলে ভালো হবে। তো সেই মোতাবেক আমি ঝাল মুড়ি আলার কাছে গিয়ে ছোলা এবং তেল সহ কিনে নিয়ে আসি। তো এরপর বাড়ি এসে আম্মুকে ঝাল পিঁয়াজ কাটতে বললাম। তো আম্মু সেই মোতাবেক ঝাল পেঁয়াজ কেটে রেডি করে রাখল।

এরপর আমি একের পর এক স্টেপ ফলো করে ঝালমুড়ি মাখানোর কার্যক্রম শুরু করে দিলাম। যেমন প্রথমে ঝাল পেঁয়াজ গুলো একটু মাখিয়ে নিলাম এরপর এর মধ্যে চানাচুর ও সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিলাম। তারপর আবার এর মধ্যে ছোলা ও ঝালমুড়ি মাখানো তেল দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে এবার মুড়ি দিয়ে সম্পূর্ণটা মাখিয়ে নিয়েছিলাম। আর হ্যাঁ মাঝে নুডুলস রান্না করার ম্যাজিক মসলাও দিয়েছিলাম। এটা দিলে নাকি টেস্ট লাগে তাই এটাও বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসেছিলাম।

যাইহোক এরপর মুড়ি মাখানো শেষ করে দেখি একদম ফার্স্ট ক্লাস না হলেও খেতে বেশ ভালই লাগছিল। তারপর একে একে সবাই মিলে খাওয়া শুরু করে দিলাম। ব্যাস তারপর মোবাইলগুলো সাইডে রেখে সবাই মিলে আড্ডা দিতে দিতে মুড়ি গুলো শেষ করলাম।

তো প্রিয় আমার বাংলা কমিউনিটির ভাই বোন বন্ধুরা, এই ছিল আমার আজকের পোস্ট। তো আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। আর পরিবারের সাথে খাওয়া-দাওয়া করতে আপনাদের কেমন লাগে সেটা অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। তো আজকের মতো এটুকুই আবারো খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আপনাদের মাঝে ইনশা-আল্লাহ। ততক্ষণ সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন নিজের খেয়াল রাখবেন।

আল্লাহ হাফেজ

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 last year 

এজাতীয় মুড়ি মাখানোর রেসিপি গুলো শীতকাল আসলে আমরাও করে থাকি, সেটা তোমার খুবই ভালো করে জানা। তারপরেও চেষ্টা করব এবার যেন সে আয়োজন করা সম্ভব হয়ে ওঠে, তবে তার আগে তোমাকে জানাবো।

 last year 

বিকেল বেলায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে এই খাবারটি বেশ মজার হয়। আপনি যেহেতু কথা দিয়েছিলেন চানাচুর আনবেন। কিন্তু শেষমেষ আপনাকে নিয়ে আনতে হলো। মুড়ি মাখা তো বেশ মজার করেই মাখলো দেখে বুঝা যাচ্ছে। পরিবারের সাথে সবাই মিলে অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া খুব সুন্দর একটি অনুভূতি শেয়ার করলেন।