বদ অভ্যাসে জর্জরিত জীবন||
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
আজকে আপনাদের মাঝে কোন টপিক নিয়ে লিখতে চলেছি সেটা নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন বন্ধুরা।আমাদের প্রত্যেকের যেমনি ভালো অভ্যাস রয়েছে ঠিক তেমনি রয়েছে বদ অভ্যাস।মানুষ অভ্যাসের দাস কথাটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত।তবে এই অভ্যাসটি মানুষের জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।আমাদের সকলের উচিত পরিস্থিতির সাথে নিজেদের অভ্যাস গুলোকে পরিবর্তন করা।আমাদের মধ্যে যেসকল মানুষ পরিস্থিতির সাথে নিজেদের অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করতে সক্ষম তারা তুলনামূলক ভালো বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই পড়ে।কেননা যেকোনো পরিস্থিতিতে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেয়ে ভালো কোনো গুণ আর কোনো কিছুতেই হতে পারেনা।যদিও আমি এই কাজটিতে একেবারেই ব্যর্থ।আমার নিজের সব পরিস্থিতিতে মানাতে খুব কষ্ট হয় যায়।
তো বন্ধুরা চলুন আজকের আলোচনার মূল টপিক শুরু করা যাক।দুপুরের পর থেকেই আমার একটা খারাপ লাগা কাজ করছে।আসলে এই খারাপ লাগাটা একমাত্র আমার একাডেমিক পড়াশুনা কে কেন্দ্র করে ।আমাদের তৃতীয় চতুর্থ বর্ষে তিনটি প্রকাশনীর বই পড়ানো হয় সাধারণত।এবার এক এক টিচার এক এক প্রকাশনী পড়িয়ে থাকেন।আমি অনলাইন কোর্স গুলো সবসময় ম্যামের ব্যাচেই করে এসেছি এই পর্যন্ত।এবার চতুর্থ বর্ষে এসে অফলাইন ব্যাচে ভর্তি হওয়া আমার কলেজের টিচারের কাছে এখন দুইজন দুই প্রকাশনীর বই পড়ান।তো এজন্য মূলত ম্যাম এর কোর্স টা এবার করছিলাম না।
এবার আমার কয়েকজন বন্ধু বান্ধবী মিলে অনলাইন আরো এক ভাইয়ের কোর্স কিনেছে তো আমিও সেই ব্যাচে ভর্তি হয়েছি।এখন তিনি আবার অন্য প্রকাশনী পড়ান। স্যার আর ম্যাম যেটা করান সেটা থেকে ভিন্ন।এখন বই ও ভিন্ন আর পেইজ গুলোও ভিন্ন।ভাইয়ার কোর্স গুলো সব হোয়াইট পেপারের।আর বাকি দুই প্রকাশনীর বই নিউজ প্রিন্ট।এখন এই হোয়াইট প্রিন্ট বই গুলো আমার পড়তে সমস্যা হচ্ছে।কারণ পূর্বে সব কোর্স গুলোর বই নিউজ প্রিন্ট এর ছিল।এখন এই ভাইয়ার ক্লাস আমার একটুও ভালো লাগছে না।কারণ আমি ম্যাম এর ক্লাসেই অভ্যস্ত বিগত বছর গুলোতে তার কাছে পড়েছি।অথচ ভাইয়া কিন্তু ভালো পড়ান আমার অন্য বন্ধুদের কোনো সমস্যা হচ্ছেনা।তারা যে কারো ক্লাস খুব ভালো করে করতে পারে ।তাদের কথা হচ্ছে কোর্স শেষ করতে হবে।এবার টিচার ভিন্ন প্রকাশনী বই এর পেইজ ভিন্ন এগুলো নিয়ে আমার খুব সমস্যা হচ্ছে।
এখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি ম্যাম এর কাছেও পড়ব কলেজের টিচার এর কাছেও পড়ব।আর ভাইয়ার কোর্স টা আর করব না যেহেতু সমস্যা হচ্ছে তাই শুধু শুধু সময় নষ্ট।এখন বাকিদের থেকে আমার ডাবল ফিস দিয়ে কোর্স কিনতে হচ্ছে শুধুমাত্র এই বদ অভ্যাসের কারণে।নিজেকে সব পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারাটা কতটা ভোগান্তির সেটা আমার জীবন থেকেই উপলব্ধি করছি।আমার এই পরিস্থিতি দেখে বান্ধবীরা বলছে যে মানিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করতে যেহেতু সবাই করছে।কিন্তু কোনভাবেই সম্ভবপর হচ্ছেনা সেটা কারণ শেষ বর্ষ এজন্য ঝুঁকিও নিতে পারছিনা দেখা গেল মানিয়ে নিতে গিয়ে বিপদে পড়ে গেলাম।তবে আমার এসকল সমস্যার সমাধান আছে তার জন্যই মূলত এই বদ অভ্যাস গুলো রয়ে গিয়েছে ছোট বেলা থেকে।
যখন খুব ছোট ছিলাম তখন থেকেই আমার প্রাইভেট পড়তে হতো এভাবে এক টিচার বাসায় এসে পড়াতেন আর এক টিচারের কাছে গিয়ে পড়তাম।এক বিষয় দুইবার করে পড়তে হতো।আর যার জন্য সবার চেয়ে আমার খরচ টাও বেশি পড়ে যেত।সবাই অল্প টাকা ইনভেস্ট করেই যে পরিমাণ রেজাল্ট করত আমার তার ডাবল ইনভেস্ট করতে হতো ।আর আমার এই সকল কর্মকান্ড গুলোতে পরিবারের সবাই বাঁধা দিলেও আব্বু সবসময় আমার পক্ষেই থাকেন।আর পরিবারের মেইন গার্ডিয়ান আমার আব্বু তাই আর কেউ বাঁধা দিলেও সেভাবে কিছু হয়না।এখন পর্যন্ত এইভাবেই চলছে আমার সকল পরিস্থিতি ও সমস্যার সমাধান।বাড়ির বড় সন্তান হওয়ার সুফল বলতে পারেন এটা।আমার উপর একটু বেশিই ভরসা আমার আব্বুর।আপনারা দোয়া করবেন যাতে তার ভরসাগুলোর মর্যাদা রাখতে পারি সারাজীবন।কারণ ছোট থেকেই খুব বেশি ব্যয় করেছে আমার পিছনে যেটা আসলে অন্যদের জন্য করতে হয়নি তার।আর আমার এই বদ অভ্যাস গুলো থেকে বেরোতে পারি।কারণ জীবনটা অনেক বড় সবসময় সাপোর্ট নাও পেতে পারি এখনকার মত।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date- 11th July,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপনার কথাগুলো পড়ে আমার সত্যি অনেক ভালো লাগলো, আসলে আমরা এটা মানতে চায় না যে মানুষ অভ্যাসের দাস আমরা চাইলে কথাটা একটু উল্টেও বলতে পারি ,অভ্যাস মানুষের দাস, মানুষ যেটা অভ্যাস করবে সেটাই হবে, কারন মানুষের মধ্যে ইচ্ছে শক্তি প্রবল মানুষ ইচ্ছে করে যেটা করে সেটাই অভ্যাস, আমরা এই কথাগুলো মানতে চাই না, আপনার প্রতিটা কথা আমার কাছে অনেক সুন্দর লেগেছে ধন্যবাদ এমন সুন্দর একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমার মনে হয় আপনার নিজের কাছে যেটা ভালো লাগে সেটা করা উচিত। সব সময় নিজে যে কাজটার সাথে বা যে পরিস্থিতির সাথে কমফোর্ট ফিল করতে পারবেন সেই কাজে এগিয়ে যাওয়া উচিত। এখন যদি মনে করেন আপনি ওই ভাইয়ের কাছে পড়বেন না তাহলে সেটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার তবে একটু ভেবেচিন্তে কাজ করা উচিত যেহেতু তিনি ভালো পড়ান।