পেছনের গল্প( পর্ব: ২৬ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
স্কুলে বন্ধুদের উপর আমার খুব একটা প্রভাব ছিল না। কিন্তু কলেজে গিয়ে সেটার পরিবর্তন হয়। কলেজে গিয়ে আমার যেকজন বন্ধু হয় এর মধ্যে নাভিদ ইকরা তুহিন ছিল সবচাইতে নিকট। এবং আমরা একই শহরের ছিলাম এইজন্যই একসঙ্গে কলেজে যেতাম আসতাম। এবং ওদের সহ আমার অন্যান্য বন্ধুদের উপর আমার একটা প্রভাব তৈরি হয়। এটার কারণ ছিল প্রথম সেমিষ্টার থেকেই ভালো রেজাল্ট করা। আমার যেকোনো সিদ্ধান্ত বা প্রস্তাব ওরা বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভাবে বিবেচনা করতো। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময়ে আমরা বিভিন্ন জিনিসের প্ল্যান করতাম। যদিও শেষ পযর্ন্ত সেই প্ল্যান বাঞ্চাল হয়ে যেত অধিকাংশ সময়। ২০২১ সালের শেষের দিকের কথা। ডিসেম্বর মাস চলছে। ঐদিন আমাদের তৃতীয় সেমিষ্টারের শেষ পরীক্ষা ছিল।
আপনারা জানেন পরীক্ষা শেষের দিনে ঠিক কতটা আনন্দ হয়। সেটা বলে বোঝানো যাবেনা। পরীক্ষা শেষ এটা একটু সেলিব্রেট তো করতেই হয়। সেই ভাবনা থেকেই আমি একটা পরিকল্পনা করেছিলাম। যেহেতু আমাদের পরীক্ষা ছিল দুপুর দুইটা থেকে। পরীক্ষা শেষ করে আমরা কোন একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করব। না টাকা কোন একজন দেবে না। মোটামুটি সবাই সমানভাবে ভাগ করে দেব। যথারীতি তখন আমাদের কুষ্টিয়ার মধ্যে মোটামুটি বেশ ভালো ছিল দুইটা রেস্টুরেন্ট মেহেরজান এবং ধোঁয়া। এখানে একটা বিভেদ সৃষ্টি হয়। নাভিদ যেমন ছিল মেহেরজানে যাওয়ার পক্ষে কিন্তু ইকরা চাইছিল ধোঁয়ায় যেতে। এইজন্যই সিদ্ধান্ত নিলাম ঠিক আছে দুই জায়গাই যাব।
মেহেররজানে বিরিয়ানি আইটেম কম ছিল। তবে ওদের পিৎজা টা বেশ ভালো হতো। এবং ধোঁয়ার বিরিয়ানি আইটেম বেশ ভালো ছিল। আমরা চারজন মিলে সিদ্ধান্ত নেয় মেহেরজান থেকে পিৎজাটা খাব। এরপর ধোঁয়ায় গিয়ে খাব বিরিয়ানি। এবং বলে রাখি এই দুইটা রেস্টুরেন্ট কিন্তু পাশাপাশি। যথারীতি মেহেরজানে গিয়ে বেশ বড় একটা সাইজের পিৎজা অর্ডার করি আমরা। মোটামুটি ৩০ মিনিট পরে সেটা আমাদের দেয়। পিৎজাটা বেশ ভালো ছিল। পিৎজা টা খেয়ে আমরা চলে যায় ধোঁয়ায়। ধোঁয়ায় গিয়ে আমরা ওদের একটা বিরিয়ানি প্যাকেজ ছিল ঐটা অর্ডার করি। চিকেন বিরিয়ানি সাথে দুইটা চিকেন ফ্রাই কম্বোটা সম্ভবত এমন ছিল। ওদের বিরিয়ানি বরাবরই আমার ভালো লাগত। ধোঁয়ায় ছবি তোলার লঞ্জ ছিল। আমরা ওখানে গিয়ে ছবিও উঠেছিলাম।
আমাদের যখন খাওয়া শেষ হলো ততক্ষণে সন্ধ্যা। রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে দেখি বাইরে টা প্রায় অন্ধকার। এবং শীতের সময় হওয়াই সেই অন্ধকার টা যেন আর গাঢ় মনে হচ্ছে। যাইহোক এরপরে আমরা চলে যায় কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশনে। ওখানে গিয়ে সবাই বেশ কিছুক্ষণ আড্ডাড্ডা দেয়। যেহেতু পরীক্ষা শেষের দিন ছিল বাড়ির ফেরার তাড়া আমাদের ছিল না। ঐ সন্ধ্যাটা আমাদের বেশ দারুণ কেটেছিল। সব শেষ করে আমরা চারজন একইসঙ্গে একটা ইজিবাইকে বাড়ি ফিরেছিলাম। বাড়ি ফেরার সময় রাস্তাতে বেশ আড্ডা দিয়েছিলাম। আজ বেশ মনে পড়ছে ঐ দিনটার কথা। কী বাজেভাবেই না হারিয়ে ফেলেছি দিনগুলো।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1949029823915131157?t=dcb5OLRo4LrkXLcERulGQQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1949030119533936740?t=Ats55s2KtpRLayU6-zUcxQ&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.