পেছনের গল্প( পর্ব:২৯ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ ই আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000585130.jpg


২০২১ সালের কথা। তার আগে আমি খুব একটা ঘোরাঘুরি করতাম না বললেই চলে। তবে ঐ বছর থেকেই আমার ঘোরাঘুরির প্রবণতা অনেক বেড়ে যায়। কারণ টা ছিল আমার বন্ধু লিখন। প্রতিদিন কোন নতুন দিকে চলে যেতাম দুজন।আর এটা এক পর্যায়ে আমাদের অভ‍্যাসে দাঁড়িয়ে যায়। আমাদের কুমারখালীতে তখন একটা বড় পার্ক হয়েছিল। যদিও তার আগে আমি শুধু নাম শুনেছিলাম কিন্তু ঐভাবে কখনও যায়নি। কিন্তু একবার হঠাৎ আমার বন্ধু লিখন বলল চল একদিন পার্ক থেকে ঘুরে আসি। এই পার্কটা বাংলাদেশের স্বনামধন্য ঔষধ নির্মাতা কোম্পানি হেলথ কেয়ার এর মালিক আলাউদ্দিন আহমেদ এর অর্থায়নে তৈরি। এবং নামটাও উনার নামেই। এক শুক্রবার দুপুরের পরে চারটার দিকে দুজন বের হলাম।

আমরা দুজন কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে মিলিত হলাম। এরপর দুজন চলে গেলাম আলাউদ্দিন নগরে। আলাউদ্দিন নগর থেকে চলে গেলাম পার্কে। দূরত্ব টা খুব বেশি ছিল না। যেহেতু শুক্রবার ছিল অন‍্যদিনের তুলনায় কিছুটা ভীড় ছিল অবশ‍্য। যাইহোক পার্কে প্রবেশের জন্য তখন টিকিটের মূল‍্য ছিল ৩০ টাকা। লিখন এগিয়ে গিয়ে আমাদের দুজনের জন্য দুইটা টিকিট নিয়ে নেয়। যদিও এখন টিকিটের মূল্য কত আমার ঠিক জানা নেই। ভেতরে গিয়েই চোখে পড়ে অনেক বড় একটা পুকুর। এবং পুকুরের মধ্যে একধরনের রঙিন মাছ। সেই মাছগুলোতে খেতে দেওয়া হয়েছে। এবং মাছগুলো যেভাবে খেলা করছে দেখে বেশ সুন্দর লাগছিল।


1000585131.jpg

1000585133.jpg

1000585134.jpg


এরপর সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখি বাচ্চাদের একটা গেমস জোন। যেখানে বাচ্চাদের বিভিন্ন খেলার সরঞ্জাম রয়েছে। একটা ট্রেনও চলছিল পার্কের মধ্যে। আর একটু ভেতরে গেলে আরও দুই একটা রাইড আমাদের চোখে পড়ে। সঙ্গে ছিল একটা ফুলের বাগান। এছাড়া তখন আর আমাদের নজরে সেরকম কিছু আসেনি। যেটার জন্য মানুষ ঐভাবে ওখানে যেত। তবে একটা রাইড ছিল আমাদের বড়দের জন্য। বড় পুকুর টাতে কিছু নৌকা ছিল। যেগুলো দুজন মিলে পা দিয়ে চালানো যায় । এবং সেগুলো ঘন্টা চুক্তিতে দেওয়া হয়। অর্থাৎ আপনি ঐ নৌকা নিয়ে এক ঘন্টা একটা নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণে ঐ পুকুরের মধ্যে ঘুরতে পারবেন। যাইহোক আমরা একটা নৌকা নেয় এবং পুকুরটা ঘুরতে থাকি। মোটামুটি বলতে পারেন ছেলেমানুষী আর কী। যদিও তখন আমাদের বয়স ততটা বেশিও ছিল না।

নৌকায় ঘোরা শেষ হলে আমরা আবার স্থলে ফিরে আসি। এবং এরপর পাশেই একটা ড্রিংকস এর দোকানে যায়। যেহেতু বেশ রোদ ছিল আমরা দুজন দুইটা ড্রিংকস নেয়। তবে ড্রিংকসের দাম দিতে গিয়ে ঝামেলা হয়ে যায়। কারণ ঐটার মূল‍্য দেওয়া ছিল যেখানে ২০ টাকা। সেখানে উনারা ২৫ টাকা দাম বলছিল। কারণ জানতে চাইলে বলে পার্কের মধ্যে দাম বেশি। কিন্তু কোন যুক্তিতে দাম বেশি সেটা তারা বলে নাহ বাংলাদেশের অধিকাংশ পর্যটক কেন্দ্রের অবস্থা এইটা। সবকিছুর দাম মূল‍্যের থেকেও বেশি নেয়। যদিও আমরা একপ্রকার ঝামেলা করে উনার ড্রিংকস ফিরিয়ে দেয়। কারণ অতিরিক্ত ৫ টাকা দেওয়া পুরোটাই ভিওিহীন ছিল। তবে ঐটা বাদ দিয়ে আমাদের সময় টা ভালো কেটেছিল। কিন্তু ঐরকম কৌতূহলের কিছু আমরা ভেতরে দেখি নাই।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png