পেছনের গল্প( পর্ব :১৩ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
এখন আমার সেই আগের দিনগুলো বেশ মনে পড়ে। মনে পড়ে আমার গ্রামে কাটানো সেই দিনগুলো। মনে পড়ে বন্ধুদের সাথে দুপুরে পুকুরে গোসল করতে যাওয়ার কথা। মনে পড়ে বিকেলে একসঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা। মনে পড়ে লোডশেডিং হলে সন্ধ্যার পরে সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা দেওয়ার কথা। সেই দিনগুলো আর নেই। আমরা এখন সবাই আলাদা যে যার নিজের মতো। আমাদের গ্রামের পাশেই বিশাল একটা মাঠ আছে। এবং মাঠের শেষের দিকে একটা বিল। বিল হলো বড় ধরনের পুকুর বলা যায়। প্রতি বছর বর্ষার সময় সেই বিলে নতুন পানি আসে। এতো পরিমাণ পানি হতো যে বিল মাঠ ঘাট পুকুর সব এক হয়ে যেত। যতদূর চোখ যেত শুধু পানি নজরে আসতো। সকালে উঠে দেখলে পুরো মাঠ জুড়ে ফুটে থাকা শাপলা ফুল নজরে আসতো।
এই বিলে অনেকেই মাছ ছাড়তো। বিলে নৌকা থাকত। অধিকাংশ সময় নৌকা থাকত একটা। ছোটবেলা থেকেই ঐ নৌকাতে করে আমরা বিলে ঘুরতাম। আমার মনে পড়ে একটা সময় নৌকায় উঠার প্রতি আলাদা রকম একটা নেশা ছিল আমার। বিকেল হলেই চলে যেতাম। সময় টা তখন করোনার মধ্যে। বাড়িতে বসে আছি বিকেলের দিকে। হঠাৎ আমার বন্ধু তোহা ফোন দিয়ে বলে বাইরে আই। বাইরে গিয়ে দেখি শিমুল এবং তোহা। কী ব্যাপার জিজ্ঞেস করতেই বলে চল একটু ঘুরে আসি । আমি ওদের সাথে ঘুরতে চলে যায়। আমরা হাঁটতে হাঁটতে বিলের ধারে যায়। বিকেলের সময় হালকা বাতাস থাকে খুবই সুন্দর লাগে ওয়েদার টা। আমরা গিয়ে বিলের পাশে বসেছিলাম এবং গল্প করছিলাম। তখনই নৌকায় উঠার কথা বলে শিমুল।
একটু খেয়াল করে দেখি নৌকা টা ঘাটেই বাঁধা আছে। শিমুলের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যায়। হ্যা বিকেলে নৌকায় চড়ে বিলটা ঘুরলে খারাপ হয় না। তবে নৌকাটা টা চালাবে কে। শিমুল বলে আমি চালাবো চল। না নৌকা চালানো সাইকেল চালানোর মতো কঠিন না। তবে ঐটাই বেশ কষ্ট হয়। শারীরিক শক্তির বেশ দরকার হয়। একে একে আমরা তিনজন নৌকায় উঠে গেলাম। নৌকাটা টা বাঁধা ছিল সেই টা খুলে সবার পরে উঠলো শিমুল। নৌকায় উঠে শিমুল বৈঠা টা হাতে নিলো। নৌকা চলতে শুরু করল। সুন্দর জলরাশির উপর দিয়ে ধীর স্থিরভাবে আমাদের নৌকা এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের চারপাশে বিলের মধ্যে শাপলা ফুল অনেক। তবে শাপলা গুলো ফুটে নেয়। কিছুক্ষণ পরে বিলে পাড় হয়ে আমরা চলে গেলাম মাঠের মধ্যে।
মাঠের মধ্যে অনেকেই মাছ ধরার জাল পেতে রেখেছে। সেই জালে আবার বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরা পড়েছে। তবে আমরা এগিয়ে চললাম। সবমিলিয়ে প্রায় কয়েক ঘন্টা চলল আমাদের নৌকায় ঘোরাঘুরি। আমি তোহা শিমুল বেশ মজা করলাম। ঘোরাঘুরি শেষ হলে যথাস্থানে নৌকা টা বেঁধে রেখে চলে আসলাম। আজ তিন বছর হলো ঐ বিলে গিয়ে আর নৌকায় উঠা হয় না। গতবছর বেশ অনেক পানি হয়েছিল শুনেছিলাম তবে আমি বাড়িতে ছিলাম না। সেই দিনগুলো এখন শুধুই স্মৃতিতে। আমি যেখানে থাকি পাশেই একটা নদী আছে শীতলক্ষ্যা। চাইলেই গিয়ে ঐ নৌকায় ঘুরতে পারি। সেই সেই অনূভুতি সেই আনন্দ পাব না। ঐটা আর এটার মধ্যে যেন বিস্তর একটা পার্থক্য বিরাজমান।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1920410898788691995?t=8BQvYWDSkUXUfLd4Bve7vw&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.