পেছনের গল্প( পর্ব: ১৫ )।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
করোনা ভাইরাসের প্রভাব তখন সবেমাএ কাটতে শুরু করেছে। ততদিনে লকডাউন শিথিল হয়ে গিয়েছে। বেশ কিছু করোনা ভ্যাকসিন বের হয়েছে। মানুষের জীবনযাত্রা আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আমাদের কলেজ খুলে দিয়েছে। তবে ঐভাবে ক্লাস হয় না। দিনগুলো কাটানো বেশ মুশকিল হয়ে যেত। বলছি ২০২১ সালের কথা। তখন প্রায় প্রতিদিন বিকেলে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন ঘুরতে বের হতাম। বাইকে করে আমাদের শহরের সব জায়গা ঘুরে বেড়াতাম। আমাদের কুমারখালী শহর থেকে শুরু করে প্রতিটা গ্রাম আমাদের ঘোরা হয়ে গিয়েছিল। আগের দিন রাতে আমরা সিদ্ধান্ত নিতাম আগামীকাল কোনদিকে যাব। সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পরের দিন বিকেলে বের হয়ে যেতাম। ঐ সময়ে আমাদের বেশ অনেক ধরনের অভিজ্ঞতা হয়।
তার আগে আমি আমাদের উপজেলার সব গ্রাম চিনতাম না নামও জানতাম না। কিন্তু সব এমনভাবে ঘুরেছিলাম ঐসময় পরবর্তীতে সেটা আমার অনেক কাজেই লেগে গিয়েছিল। আমরা যখন নতুন কোন গ্রামের মধ্যে ঢুকতাম বাইক নিয়ে যেতাম তখন আমাদের কৌতূহল কাজ করত। গ্রামের সরু পিচঢালা রাস্তা। কখনও রাস্তার পাশে গাছপালা আবার কখনও পুকুর। আবার কখনও রাস্তার দুই পাশে বিস্তির্ণ ফসলের মাঠ। আহ এটা দেখে একেবারে অসাধারণ লাগত। অজানা অচেনা ঐসব গ্রামের সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করত। একপ্রকার অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ঐটা আমাদের। জীবনের সেরা সময় ছিল আমার বলতেই হয়। আমার শহরের অনেক জায়গা আমার অচেনা ছিল। ঐসময় সেটা আমার পরিচিত হয়ে যায়।
এরমধ্যে একটা জায়গা ছিল হাসিমপুর বাঁধ। এই জায়গাটার নাম আমি অনেক শুনলেই ঐভাবে কখনও যাওয়া হয়নি। কারণ জায়গাটা ছিল একটু অন্য সাইডে। ঐসময় ঘুরতে ঘুরতে আমি এবং আমার বন্ধু লিখন বেশ অনেকবার চলে গিয়েছিলাম হাসিমপুর বাঁধে। জায়গাটা বর্ষাকালে বেশি সুন্দর লাগে। বন্যার পানিতে দুই পাশ থৈ থৈ করে। বেশ অসাধারণ লাগে দেখতে। এবং শুষ্ক মৌসুমে একেবারে শুকনা থাকে বলা যায়। বিকেল টা ঐ জায়গাই বেশ কাটতো আমাদের। আবার আমাদের সবচাইতে কমন একটা জায়গা ছিল কুমারখালী এম এন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পেছনে নদীর পাড়ে। অর্থাৎ আমাদের সেই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নদীর ঘাটে। জায়গাটার সাথে আমি এখন লিখন বেশ ভালোভাবে পরিচিত ছিলাম। ঐ স্কুলে পড়ার সময় একসঙ্গে ওখানে বসে আড্ডা দিতাম।
প্রতিদিন বিকেলে চারিদিক ঘোরাঘুরি শেষ করে এসে আমরা ওখানে বসে আড্ডা দিতাম। ওখানে আলম ভাই চটপটি ফুসকা বিক্রি করতো। আলম ভাইয়ের সাথে পরিচয় সেই ক্লাস সেভেনে থাকতে। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি কুমারখালীতে আলম ভাইয়ের থেকে ফুসকা চটপটি কেউ ভালো বানাতে পারে না। ওখানে নদীর পাড়ে বসে আলম ভাইয়ের চটপটি ফুসকা খাওয়া আড্ডা দেওয়া। সবমিলিয়ে সময় টা আমাদের অসাধারণ কাটতো। গুগল ফটোতে গিয়ে ছবিগুলো দেখলে এখন সেই দিনগুলোর কথা সেই মূহূর্তের কথা বেশ মনে পড়ে যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1928741695568371750?t=dp3Z6aDjlrU2GB1o7zpytw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1928742251489907132?t=GW-NAJ6zixOf4UzUwzWSHQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1928742566914306111?t=HsdcIOp_-fSzXeq_itJYig&s=19
https://x.com/Emon423/status/1928742792874045444?t=_6up2hjF9-yb2KEC62wGgA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟