পেছনের গল্প( পর্ব- ২৩ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ13 hours ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ১৫ ই জুলাই,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000583273.jpg


২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কথা। তখন করোনা ভাইরাসের প্রভাব কিছুটা কমেছে। হঠাৎ করেই একদিন আমাদের কলেজ থেকে সেমিষ্টার ফাইনাল এর নোটিশ দিল। বেশ অবাক হয়ে গেলাম। কারণ তখনও বাংলাদেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ। অন‍্যদের অটোপাশ দিলেও আমাদের কপালে সেটা জোটেনি। কারণ আমাদের পরীক্ষা দিয়েই সেমিষ্টার শেষ করতে হয়েছে। অবাক হওয়ার কারণ ছিল দীর্ঘ একবছর লেখাপড়া থেকে দূরে থাকা। হঠাৎ করে লেখাপড়ায় মনোযোগ দেওয়াটা মোটেই সহজ ছিল না। যাইহোক কলেজের নোটিশ অনুযায়ী একদিন চলে গেলাম পরীক্ষার প্রবেশপএ নিয়ে আসতে। প্রবেশ পএ নেওয়া শেষ হলে আমরা ট্রেনের উদ্দেশ্যে চলে যায় স্টেশনে।

আমার সাথে ছিল আমার বন্ধু নাভিদ, তুহিন সহ আরও কয়েকজন। কিন্তু ট্রেন যখন আমাদের গন্তব্য স্টেশনের ঠিক উল্টাদিকে যাচ্ছে। কী করব ভাবতে ভাবতে ট্রেনে উঠে পড়লাম। ট্রেন পোড়াদহ জংশন পযর্ন্ত যাবে এবং তারপর আবার ফিরে আসবে। কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে পোড়াদহ স্টেশন খুব একটা বেশি দূরেও না। মাঝে মাএ একটা স্টেশন। আবার বেশ অনেক দিন ওখানে যাওয়া হয় না। এইজন্যই চলে যাওয়া। কলেজে থাকতে আমরা এইরকম প্রতিদিনই করতাম। চলে যেতাম ট্রেনে করে। কারণ আমাদের ভাড়া লাগত না। ততদিনে ট্রেনের টিটিটের সাথে বেশ পরিচিত হয়ে গিয়েছি। তো লোকাল ট্রেনে করে চলে গেলাম পোড়াদহ জংশন। যেটা থেকে কানেক্ট হয়েছে অনেক গুলো জেলার রেল যোগাযোগ লাইন।


1000583270.jpg

1000583269.jpg

1000583272.jpg


কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে পোড়াদহ জংশন যেতে সময় লাগত মোটামুটি ৩০ মিনিটের মতো। যদিও ৩০ মিনিটের পথ না। কিন্তু লোকাল ট্রেন হওয়াই বলতে হয় ধীরে চলতো। পোড়াদহ জংশনে গিয়ে আমরা নেমে পড়তাম। কারণ তখন ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তনের সময়। হাতে বেশ কিছুটা সময় আছে। তখন জংশন টা ঘুরে দেখতাম। সবমিলিয়ে প্রায় ৫-৬ টা প্লাটফর্ম মিলে তৈরি হয়েছে পোড়াদহ জংশন। যার একটা অংশ গাজীপুর টাঙ্গাইল ঢাকার সাথে সংযুক্ত। আরেকটা আবার চুয়াডাঙ্গা যশোর খুলনার সাথে সংযুক্ত। নাটোর সহ সৈয়দপুর দিনাজপুরের সাথেও লাইন ছিল। এবং আমাদের লাইনের দিকে একটা। তখন জায়গাটা বেশ আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। ঐসময় আমরা এসব জায়গার সাথে মোটামুটি নতুন পরিচিত।

মোটামুটি মিনিট পনেরো বিশ পরে আবার ট্রেন যাএা শুরু করতো। আমরা আবার ট্রেনে গিয়ে উঠতাম। তখন ট্রেন একেবারে ফাঁকা থাকতো। আমরা ইচ্ছামতো ছিট নিয়ে বসতে পারতাম। আর মানুষের ভীড় শুরু হতো কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন থেকে। কারণ কুষ্টিয়ার মধ্যে ঐটাই ছিল প্রধান স্টেশন। দুপুরে সবাই কাজ শেষ করে ট্রেনেই ফিরতো। বিশেষ করে আমাদের মতো স্টুডেন্টরা থাকতো বেশি। এগুলো চার বছরের বেশি সময়ের আগের কথা। আজ প্রায় ২ বছর বা তারও বেশি হবে ঐ লোকাল ট্রেনে উঠি না। শেষ উঠেছিলাম ঐ ২০২৩ সালে। সেই লোকাল ট্রেন সেই কুষ্টিয়া কোর্ট স্টেশন বন্ধুদের সাথে সেই আড্ডা এখন সবকিছুই বেশ মিস করি। সময় গুলো কী দ্রুতই না চলে গিয়েছে। আর কখনও ফিরে পাওয়া যাবে না।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png