পেছনের গল্প( পর্ব: ১০ )।।

in আমার বাংলা ব্লগ3 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ রবিবার, ২০ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000577743.jpg


মাঠে আমাদের শিক্ষক রা উপস্থিত। খেলার মাঝে ইলেকট্রিক‍্যাল ডিপার্টমেন্টের সপ্তম সেমিষ্টারের দুই গ্রুপের মাঝে মারামারি। এটা মোটেও স‍্যার রা স্বাভাবিক ভাবে নেয়নি। খেলা ততক্ষণে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে খেলার ঝামেলা মোড় নিয়েছে অন্য দিকে। ঐসময় কিছুটা সুবিধাবাদী এসে তাদের ব‍্যক্তিগত আক্রোশ প্রকাশ শুরু করে। ঝামেলার আকার আরও বড় হয়। পরবর্তীতে আমাদের কয়েকজন স‍্যার এবং আমাদের চেষ্টায় মারামারি বন্ধ হয়। ফাইনালের জন্য যে ট্রফি ছিল সেগুলো আমাদের দায়িত্বে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। খেলার ফলাফলের জন্য পরবর্তীতে খেলা আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমাদের ডিপার্টমেন্টের প্রধান ইয়াকুব আলী স‍্যার একপ্রকার রেগে গিয়ে মাঠ ত‍্যাগ করে। ঐ ঘটনা উনি মোটেই মেনে নিতে পারেননি। তাও আবার উনার ডিপার্টমেন্টের সবচাইতে সিনিয়র শিক্ষার্থীদের থেকে।

পরের দিন আমি কলেজে গেলাম। ক্লাস চলছে। এমন সময় আমাদের ডিপার্টমেন্ট প্রধান আমি সহ ক্লাসের আরও দুইজন কে উনার রুমে যেতে বলে। যেহেতু আমি টিমের ক‍্যাপ্টেন ছিলাম। সাথে আমার আরও দুই বন্ধু। স‍্যারের রুমে গিয়ে দেখি স‍্যার বেশ রেগে। পাশেই আমাদের আরও দুইজন সহকারি শিক্ষক বসে রয়েছে। কেউ কোন কথা বলছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর আমাদের অন‍্য গ্রুপের তিনজন আসে। এরমধ্যে ছিল অন‍্য গ্রুপের ক‍্যাপ্টেন এবং আরও দুইজন। আমরা সবাই পাশাপাশি স‍্যারের রুমে দাঁড়িয়ে। ঐসময় স‍্যার কথা বলা শুরু করে। স‍্যার বলে গতকাল ঘটনার জন্য পুরোপুরি ভাবে তোমরা ৬ জন দায়ী। তোমরা কোনভাবেই এই দায় এড়িয়ে যেতে পারো না। কেন তোমরা নিজেদের খেলোয়াদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে না।


1000577741.jpg

1000577744.jpg

1000577745.jpg


ইলেকট্রিক‍্যাল ডিপার্টমেন্ট আমার কলেজের সেরা ডিপার্টমেন্ট। অথচ সেই ডিপার্টমেন্টের সবচাইতে সিনিয়র দুই গ্রুপ খেলা নিয়ে পুরো কলেজের সামনে মারামারি করল। এটা আমাদের ডিপার্টমেন্টের মানসম্মানের প্রশ্ন। প্রিন্সিপাল এটা নিয়ে আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছে। এইরকম আরও অসংখ্য কথা বলল। আমাদের ৬ জনের কারো মুখেই কোন কথা ছিল না। অবশেষে স‍্যার বলে তোমাদের কী বলার আছে বলো। কেউ কোন কথা বলছিল না। আমি সহ সবাই নিশ্চুপ । স‍্যার বেশ কয়েকবার বলে ঘটনার ব‍্যাখ‍্যা দাও। আমি এর ব‍্যাখ‍্যা চাই। কোন উপায় না দেখে আমি কথা বলি। বেশ বিনীতভাবে বলি স‍্যার খেলার মাঝে যে এমন ঘটনা ঘটবে এটা আমরা কখনও চিন্তাও করিনি। সবকিছু বুঝে উঠার আগেই ঝামেলা টা শুরু হয়ে যায়। এর জন্য স‍্যার আমরা দায়ী। আমরা লজ্জিত।

স‍্যার আমার কথা শুনে আমাদের আরও কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। এবং বলে এই ঝামেলার সম্পূর্ণ দায় তোমাদের। কারণ দুই দলের নিয়ন্ত্রণে আমরা ৬ জন ছিলাম। অবশেষে স‍্যার মোটামুটি একটা থ্রেট দেয় আমাদের। বলে এটা তোমাদের শেষ সেমিষ্টার। তোমরা যত ভালোই পরীক্ষা দাও তোমাদের ফলাফল ভালো হবে না। সেই ব‍্যবস্থা আমি করব। সপ্তম সেমিষ্টারের রেজাল্ট পাওয়ার পরে ব‍্যাপার টা আমরা বুঝেছিলাম। স‍্যার শুধু বলার জন‍্যই বলছিল না। উনি রীতিমতো সেটা করে দেখিয়েছিলেন। অর্থাৎ ব‍্যবহারিক যে মার্ক গুলো থাকে সেগুলো আমাদের দেন নাই বললেই চলে। শেষ সেমিষ্টারে সেই আমাদের সিজিপিএ আসে ৩.৫০। এটা ছিল আমার সবচাইতে খারাপ ফলাফল। আগের ৬ টা সেমিষ্টারে আমার সিজিপিএ ছিল প্রায় ৩.৯০ এর উপরে। কিন্তু ঐ একটা সেমিষ্টারের একটা দূর্ঘটনা আমার এবং অন্য পাঁচজনের উপরে অনেক প্রভাব ফেলে।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.