পেছনের গল্প( পর্ব: ৬ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ6 days ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বুধবার, ৯ ই এপ্রিল ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000575930.jpg


কলেজে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছিলাম আমাদের ডিপার্টমেন্টের বড় ভাইদের বিদায় বেশ জাকজমকপূর্ণভাবে হয়। সবসময় এই আশাটা ছিল এক দিন আমাদের বিদায়ও এমনভাবে হবে। তবে কবে হবে এটার জন্য আমরা সবাই অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু অপেক্ষার প্রহর কাটলো। যখন কাটলো ততদিনে ক‍্যাম্পাসের প্রতি একটা ভালোবাসা তৈরি হয়ে গিয়েছে। বিদায় নেওয়ার ইচ্ছা বা মানসিকতা আর কোনটাই নেই। তবে সবকিছুরই একটা নিয়ম আছে। চাইলেই কোথাও সারাজীবন থাকতে পারি না আমরা। একটা নির্দিষ্ট সময় পরে আমাদের নতুন গন্তব্যে চলে যাওয়া লাগে।


1000575931.jpg

1000575929.jpg

1000575928.jpg

1000575927.jpg

1000575925.jpg


২০২৩ এর ডিসেম্বরে মোটামুটি ক্লিয়ারেন্স পেয়ে যায়। তবে তখনও ফাইনাল রেজাল্ট আসেনি। পরের মাসে জানুয়ারির ২৮ তারিখে আয়োজন করা হয় আমাদের বিদায় অনুষ্ঠানের। সত্যি বলতে প্রথমে আমরা যতটা আগ্রহী ছিলাম বিদায়ের দিনটাতে এসে হৃদয় টা ততটাই মলিন হয়ে গিয়েছিল। নির্দিষ্ট দিনে আমরা ইনস্টিটিউটে চলে যায়। যথারীতি বেশ ভালো এবং জাকজমকপূর্ণ ভাবে সবকিছু সাজানো ছিল। দেখে বেশ ভালো লাগছিল। আমি যাওয়ার আগেই আমার বেশ কিছু ফ্রেন্ড চলে এসেছিল। ঐটা ছিল একসঙ্গে আমাদের শেষ মিটআপ। একে একে সবাই চলে আসে। তবে অনেকেই আসেনি। কারণ তারা তখন বিভিন্ন প্রয়োজনে ছিল শহরের বাইরে।


1000575923.jpg

1000575926.jpg

1000575924.jpg

1000575922.jpg


১১ টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথমে আমাদের ছোট ভাইয়েরা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে আমাদের স্বাগত জানায়। আমাদের বিদায়ী ব‍্যাচের বসার আসন ছিল আলাদা। অন্যদিকে বসেছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এরপর আমাদের ডিপার্টমেন্টে প্রধান এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্য রাখে। শেষ দিকে গিয়ে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় একটা ক্রেস্ট। ঐটা মূলত একটা অর্জন বলতে পারেন। একটা স্মৃতি ঐটা। তারপর দেওয়া হয় দুপুরের লাঞ্চের বিরতি। লাঞ্চের বিরতি তে আমরা যথারীতি খাওয়ার কাজটা শেষ করি। কারণ দুপুরের পরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবং সেখানে উপস্থিত থাকাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। অন্তত এবার আমি ঐটা মিস করতে রাজি ছিলাম না একেবারেই ।

দুপুরের খাওয়ার পর আমরা সময় টা ছবি উঠতে ব‍্যস্ত সময় অতিবাহিত করি। আমার এক বন্ধু প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার। ও আমাদের সবার ছবি তুলে দেয়। বিশেষ করে আমি একটু অতিরিক্ত সুবিধা নিয়েছিলাম ওর থেকে। তবে সবচাইতে মজার একটা মূহূর্ত ঘটে মাঠের মধ্যে বসে। তখনও অনুষ্ঠান শুরু হয়নি। মাঠের মধ্যে বসে আমরা কয়েকজন বন্ধু গল্প করছি। হঠাৎ একটা কুকুর এসে আমার পাশে বসে। আমি একটু কৌতূহলী দৃষ্টি নিয়ে কুকুরের দিকে তাকানোর সময় আমার এক বন্ধু কয়েকটা ছবি তোলে। পরবর্তীতে আমি দেখি ঐটা বেশ অসাধারণ একটা ক‍্যাপচার হয়েছে। বাকি সময় টা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান টা বন্ধুরা মিলে বেশ উপভোগ করেছিলাম। দিনটা বেশ ভালো কেটেছিল আমার। তবে যেহেতু শেষদিন ছিল অন্যরকম একটা অনূভুতি কাজ করছিল।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png