পেছনের গল্প( পর্ব: ২৪ )।।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
২০২১ সালের রমজান মাসের কথা। করোনার প্রভাব তখন মোটামুটি ভালোই। রমজান মাস তার উপর করোনা বাড়িতে থেকে বের হওয়া একেবারে বন্ধ। মোটামুটি দিনগুলো চলে যাচ্ছিল। লিখনের সাথে তার মধ্যে আমার অনেক দিন যোগাযোগ নেই। অর্থাৎ বলতে পারেন যোগোযোগ বিচ্ছিন্নভাবে আমরা ছিলাম। হঠাৎ একদিন বিকেলে লিখন এসে হাজির। লিখনকে দেখে আমি অবশ্য বেশ অবাক হয়েছিলাম। লিখন এসেই খোজখবর নিলো। বেশ কিছুক্ষণ কথা হলো। এরপর লিখন বলল আগামীকাল বিকেলে দুজন বের হবো। আমি বললাম ঠিক সমস্যা নেই। কিন্তু কোথায় যাওয়া যায়। জবাব লিখনের উওর আগের বের তো হয় তারপর দেখা যাবে। পরের দিন বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আমরা বের হয়েছিলাম। কারণ ইফতারের আগে আবার আমাদের বাড়ি ফিরতে হবে।
প্রথম দিন আমরা চলে গিয়েছিলাম আমাদের বন্ধু আলিফের খোঁজে। আলিফ পুরোপুরি যোগোযোগহীনভাবে ছিল। এবং আলাফির বাড়ি আমরা চিনতাম না। শুধুমাত্র ওর এলাকার নামটা জানতাম। ব্যাস নাম ছিল দিয়ে দিলাম মিশন আলিফ। আলিফের এলাকায় গিয়ে ওকে বেশ খোজাখুজি করলাম বেশ অনেকের কাছে জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু কেউ আশানুরুপ উওর দিতে পারলো না। তবে কী আলিফ ঢাকা থেকে বাড়ি আসে নাই। আপনাদের জানানোর জন্য বলে রাখি আলিফের ঐসময় কোন স্মার্টফোন ছিল না। এইজন্যই আমরা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায়বস্থায় ছিলাম। আলিফের এলাকা সম্পর্কেও আমাদের দ্বিধা ছিল। সঠিক কোন এলাকা এটাও আমরা জানতাম না। আলিফ কে না পেয়ে আমরা একটা হতাশ। আসরের নামাজ পড়তে ঐ এলাকার একটা মসজিদে গেলাম।
মসজিদে গিয়েই যেটা দেখলাম সেটার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। দেখি আলিফ মসজিদের সামনের দিকে বসে রয়েছে। বেশ অবাক হয়ে গেলাম। যাইহোক পরবর্তীতে আলিফের সাথে কথা হলো। রমজান মাসের শেষ দশদিন ইওেকাফে থাকতে হয়। অর্থাৎ পৃথিবীর সবকিছু ভুলে গিয়ে সৃষ্টিকর্তার জন্য সময় অতিবাহিত করা। আলিফের সাথে দেখা করে বেশ অনেক কথায় হয়েছিল আমাদের। ঠিক হলো আমরা ঈদের দিন আবার যোগাযোগ করব। কারণ আলিফের ইওেকাফ শেষ হবে ঈদের ঠিক আগের দিন সন্ধ্যার সময়। মিশন আলিফ সফল। আমি এবং লিখন বাড়ি ফিরছি। গ্রামের সুন্দর গাছের ছায়াঘেরা পরিবেশে বেশ দারুণ লাগছে। হঠাৎ দেখি রাস্তার পাশে একজন আখের রস বিক্রি করছে। না এটা একেবারে ফ্রেশ রস। আপনিও খেতে পারবেন এমন হা হা।
সারাদিন রোজা রাখার পরে এটা বেশ উপকারী শরীরের জন্য। আমি এবং লিখন দুজনেই নিয়ে নিলাম। বাড়ি গিয়ে ইফতারের সময় খাওয়া যাবে। তারপর আমরা বাড়ির দিকে যাএা শুরু করলাম। ঐ বছর রমজানের শেষ কদিন বিকেলে আমরা এভাবেই ঘোরাফেরা করেছিলাম। শেষ বিকেলে সময় টা দারুণ কাটতো। রোজার জন্য কোন ক্লান্তি আসতো না। যদিও তার পরের বছর আর আমাদের ঐভাবে কখনোই বের হওয়া হয়নি। ছবিগুলো দেখে কথাগুলো মনে পড়ে গেল। বহুদিন হয়েছে লিখনের সাথে দেখা হয় না। একসঙ্গে বহুদিন ঘোরাঘুরি করা হয় না। সময় টা বেশ মিস করছি। আমাদের জীবনের সময় গুলো কী অদ্ভুত ভাবেই না কেটে গিয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.