পেছনের গল্প( পর্ব- ২২ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
প্রথম সেমিষ্টার শেষ করে তখন দ্বিতীয় সেমিষ্টারে উঠেছি। সবেমাএ দ্বিতীয় সেমিষ্টারের ক্লাস শুরু হয়েছে। আবার নতুন করে আমাদের গ্রুপিং করা হয়েছে। আমার স্কুলের বন্ধু রাসেল এবং আমি প্রথম সেমিষ্টারে ভিন্ন গ্রুপে থাকলেও সেবার একই গ্রুপে পড়ে গিয়েছিলাম। এবং সেই টা ছিল চিরস্থায়ী অর্থাৎ ডিপ্লোমা এর শেষ পযর্ন্ত ঐটাই ছিল আমাদের পার্মানেন্ট গ্রুপ আর কী। দ্বিতীয় সেমিষ্টারে আমাদের একটা ব্যবহারিক ক্লাস ছিল কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন। অর্থাৎ কম্পিউটার এর ব্যাসিক নলেজ। টাইপিং, কপি, পেস্ট, মাইক্রোসফট অফিসফিস এগুলোর কাজ জানা। এগুলোই ছিল ঐ ক্লাসের বিষয় বস্তু। সপ্তাহে দুইদিন ক্লাস হতো আমাদের সেটা প্রায় তিনঘন্টা দৈর্ঘ্যের।
কম্পিউটার ডিপার্টমেন্টের ল্যাব ক্লাসে আমাদের ক্লাস হতো। সেখানে ৫০ এর অধিক কম্পিউটার থাকলেও বেশ অনেক গুলো কম্পিউটার ছিল একেবারে নষ্ট। ক্লাসে আগে গিয়ে আমাদের আগে ভালো পিসি টা দখল করতে হতো। ঐ ক্লাসে আমি এবং আমার বন্ধু রাসেল পাশাপাশি বসে আছি। আমাদের ক্লাস ম্যাম ঐদিন টাস্ক দিয়েছে টাইপিং প্রাকটিস করতে হবে। এবং টাইপিং স্পিড বৃদ্ধি করতে হবে। যথাযথ নিয়মে টাইপ করতে হবে। তবে ঐ অভ্যাস সবগুলো আঙ্গুলের ব্যবহার কিছুতেই করতে পারছিলাম না। আমি ঐ দুই হাতের তর্জনী নিয়েই কাজ চালিয়ে নিচ্ছিলাম। তবে আমার বন্ধু রাসেল বেশ সিরিয়াস ছিল এই বিষয়ে। ও বেশ মনোযোগ সহকারে টাইপ করছিল। ঐসময় আমি ওর পাশে বসে অন্য একটা বিষয়ে কথা বলে হাসাহাসি করছিলাম।
হাসির মূহূর্তে ম্যাম আমাকে দেখে ফেলে। এবং বলে দেয় আজকে সবার আগে টাইপিং টেস্ট দেবে ইমন। শুনে আমার তো অবস্থা খারাপ । না আমার টাইপিং স্পিড খুব ধীর বিষয় এটা ছিল না। বিষয় ছিল আমি সঠিক নিয়মে প্রাকটিসই করিনি। ছবিগুলো দেখে দিনটার কথা গভীর ভাবে মনে পড়ছে। প্রতিদিন সকালে উঠেই কলেজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতাম। আমার বাড়ি থেকে ইনস্টিটিউট এর দূরত্ব বেশি হওয়াই সবসময় যানবাহনের ব্যবহার করতে হতো। ঐসময় আমরা বেশ কয়েকটা বন্ধু একসঙ্গে যেতাম। আমি তুহিন সবুজ ইকরা নাভিদ সহ আরও কয়েকজন। পথে যাওয়ার সময় গাড়ির মধ্যে নানান বিষয়ে আড্ডা চলতো কথাবার্তা চলতো। বেশ মূহুর্ত্তের মধ্যেই আমরা পৌঁছে যেতাম কলেজে। ।
আবার যখন ফেরার সময় হতো তখন প্রায়ই ট্রেনে ফিরতাম। হ্যা ঐসময় একটা লোকাল ট্রেন ছিল। পনেরো কিলোমিটার এর ভাড়া লাগত মাএ ৫ টাকা। বলতে পারেন টাকা বাঁচানোর জন্য আমরা ট্রেনে আসতাম। এরপর কুমারখালী স্টেশন থেকে বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার পথ হেঁটে আসতাম। ঐসময় আমার সাথে প্রায়ই থাকতো আমার এলাকার ফ্রেন্ড তোহা। তোহা আমাদের ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিল। তবে ও আমার থেকে এক বছরের সিনিয়র ছিল। আজ ছবিগুলি দেখে ঐদিন গুলোর কথা বেশ মনে পড়ছে। প্রায় সাড়ে চার বছর আগের কথা বলছি আমি। সময় টা এভাবে খুবই দ্রুত চলে গিয়েছে কখন বুঝতেই পারিনি। সময়ের ব্যাপার টা ঠিক এমনই।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1944319575593726246?t=7NEu4T2_kKxrRCMsCcKyjA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1944320271588233710?t=imgf0sq1YaXoFq-rZJ0pBw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1944320416065126725?t=Mekx_XeZHDdtMBSOhauWtA&s=19
https://x.com/Emon423/status/1944320596244037725?t=icttlHvxyXJTYiFobhZo3A&s=19
https://x.com/Emon423/status/1944321821207298373?t=Dnwk3RrHAQX0OPIJ_kymUg&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.