পেছনের গল্প ( পর্ব: ৩২ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বলছি ২০২২ সালের কথা। আমাদের কলেজ থেকে ছোট পরিসরে বিদায় অনুষ্ঠান এবং নবীন বরণ করলেও ডিপার্টমেন্ট থেকে বেশ জাকজমকভাবে সেটা করা হতো। তবে সেটা আমাদের শিক্ষার্থীদের টাকা নিয়েই। আমি যখন প্রথম সেমিষ্টারে ছিলাম। নিজেই ছিলাম নবীন সেবার কোন চাঁদা দিতে হয়নি। আমি আমন্ত্রিত ছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় জরুরি কাজে ঐসময় আমাকে ঢাকা আসতে হয়। আমি আর ঐ অনুষ্ঠান টা উৎযাপন করতে পারিনি। তবে পরবর্তীতে আমার বন্ধুদের কাছে শুনেছিলাম বেশ দারুণ হয়েছিল নাকী অনুষ্ঠান টা। আমার বন্ধুরা সবাই বেশ উপভোগ করেছিল। তারপর করোনা চলে আসার জন্য মাঝে কয়েক বছর আর ঐরকম অনুষ্ঠান হয়নি। ঐ ব্যাচগুলোর দুঃভাগ্য বললেও এটা ভুল হবে না কোনভাবেই।
২০২২ সালে আবার শুরু নবীন বরণ এবং বিদায় অনুষ্ঠান প্রোগ্রাম। অর্থাৎ একইদিনে নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ করা এবং বিদায়ী ব্যাচদের শুভকামনা জানানো। তখন আমরা পঞ্চম সেমিষ্টারের শিক্ষার্থী। আমরা বেশ বড় হয়ে গিয়েছি। ক্লাস থেকে যথারীতি সবার থেকে টাকা তুলে দেয়। নির্দিষ্ট দিনে ঠিক করা হয় অনুষ্ঠানের তারিখ। যদিও প্রথমে আমাকে কিছু দায়িত্ব দেওয়ার কথা হয়েছিল। কিন্তু স্যারকে বলে আমি সেই দায়িত্ব এড়িয়ে যায়। কারণ আমি প্রোগ্রাম টা পুরোপুরি ভাবে উৎযাপন করতে চেয়েছিলাম। ঐ বছর প্রোগ্রামের দিন আমার জীবনে আরও একটা বিশেষ এবং উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে যায়। সেটা অন্য একদিন বলা যাবে। আগে থেকেই আমরা বন্ধুরা ঠিক করি ঐদিন আমরা সবাই পাঞ্জাবি পড়ে যাব। যদিও প্রথমে আমার কিছুটা দ্বিধা কাজ করছিল। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আমিও মেনে নেয়।
সকাল ১০ টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটা শুরু হয় সকাল ১১ টাই। দুপুরের আগে শুধু বক্তব্য পর্ব এবং দুপুরের পরে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বক্তব্য শুরু হওয়ার আগে থেকেই আমরা বন্ধুরা এক জায়গা হয়ে যায়। এবং আমাদের ইয়ার্কি আড্ডা সেলফি চলতে থাকে। সবাই মিলে দারুণ সময় কাটে। দুপুরের আগের প্রোগ্রাম শেষ হওয়ার পরে ছিল আমাদের দুপুরের খাবারের বিরতি। খাবারের ব্যবস্থা আমাদের চাঁদা থেকেই করা হয়েছিল। খাওয়া শেষ করে আমরা সবাই আবার অডিটোরিয়ামে চলে যায়। কারণ তখনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাকি। সেখানে পারফর্ম করেছিল আমাদের কুষ্টিয়ার লোকাল মিউজিক ব্রান্ড চন্দ্র। তারা ছাড়াও আমাদের ডিপার্টমেন্টের ছোট বড় অনেকেই অংশ নেয় নাচ গান মঞ্চ নাটকে। দেখতে দেখতে মহলটা বেশ জমে উঠে।
তখন বিকেল হয়ে গিয়েছে। সময় টা যে কীভাবে কেটে গিয়েছিল বুঝতেই পারিনি। আমাদের প্রিন্সিপাল কতৃক আদেশ ছিল সন্ধ্যার আগেই যেন সমস্ত কার্যক্রম শেষ করা হয়। এইজন্যই দ্রুত শেষ করা হয় সকল প্রোগ্রাম। বিকেল আমি অডিটোরিয়াম থেকে বেরিয়ে যায়। আমার সাথে আরেকজন মানুষ ছিল। আমার বন্ধুরা ছিল আমার পেছনে। আজ ঐদিনের ছবি গুলো দেখে দিনটার কথা বেশ মনে পড়ছে। স্মরণে আসছে ঐদিনের আনন্দদায়ক মূহূর্ত। ঐদিনের সকল অনূভুতি মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে যাচ্ছে। আহ কী চমৎকার ছিল সেই দিনগুলো। এখন অনেক মিস করি। আর কখনও বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে হয়ে উৎযাপন করতে পারব না এমন প্রোগ্রাম। আর কখনও এইরকম হাসি ঠাট্টা হবে না। সবই হারিয়ে গেছে সময়ের পরিক্রমায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1959533841150066752?t=dsyi09Y5hjuDduxv678xQQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1959535335999701491?t=po6pVmgCtkwiBEvU4AouhQ&s=19
https://x.com/Emon423/status/1959295829677891766?t=fA-B5aFHOXzumQL_zzH36w&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.