পেছনের গল্প( পর্ব: ২৮ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
লাইফে কিছু দিনের কথা সবসময় স্মরণীয় থেকে যায়। ২০১৯ সালে আমি ভোটার হালনাগাদ করি। অর্থাৎ ভোটার হওয়ার জন্য বা জাতীয় পরিচয় পাওয়ার জন্য আবেদন করি। তখন আমার বয়স ছিল ঐ ১৭ বছর কয়েকমাস। এর একবছর পরে যখন আমার পুরোপুরি ১৮ অতিবাহিত হয়ে যায় তখন আমি আমার জাতীয় পরিচয় পএ হাতে পেয়ে যায়। তবে সেটা অনলাইন কপি। কারণ আমাদের একেবারে স্মার্ট কার্ড দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই স্মার্ট কার্ড আজ পযর্ন্ত পাইনি। আপাতত ঐ অনলাইন কপি দিয়েই কাজ চালানো লাগছে আর কী। ২০২১ সালের শেষের দিকে বলতে আমাদের এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ এর নির্বাচনের সময় আসে। যেখানে একজন চেয়ারম্যান এবং প্রতি ওয়ার্ড থেকে একজন সাধারণ সদস্য এবং তিনজন মহিলা সদস্যা নির্বাচিত হবে।
আমি ভেবেছিলাম হয়তো এবার ভোটার লিস্টে আমার নাম আসবে না। কিন্তু আমি যখন ভোটার লিস্ট চেক করি আশ্চর্যজনকভাবে দেখি আমার নামটা আছে।তবে সবার শেষে। অর্থাৎ সেই বছর আমিই ছিলাম আমার এলাকার শেষ ভোটার। আমার মধ্যে একটা আগ্রহ এবং কৌতূহল তৈরি হতে থাকে যে জীবনে প্রথম ভোট দেব। যদিও ভোটের দিন ঝামেলা হতে পারে ভেবে প্রথমে ভোট দেওয়ার চিন্তা বাদ দেয়। আমি কলেজে চলে যায়। ক্লাস শেষ করে যখন বাড়িতে আসি তখন শুনি ভোট নাকী একেবারে সুষ্ঠু হচ্ছে। আমাদের কেন্দ্রে কোন ঝামেলা হচ্ছে না। তাহলে ভোট দিতে যাওয়াই যায় । দেখলাম আমার মা আমাকে বাঁধা দিলো না। যাইহোক চলে গেলাম ভোট কেন্দ্রে। আমি আমার চাচাতো ভাই নাজমুলের সাথে গিয়েছিলাম। দুজন হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম।
আমাদের ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ছিল আমার প্রাইমারি স্কুল। ঐ স্কুলেই আমি প্রাইমারি শিক্ষা অর্জন করেছি। যাওয়ার সময় আমি আমার চাচাতো ভাইকে বলছিলাম আমার কাছে তো কেউ ভোট চাইনি। তাহলে আমি ভোট দেব কাকে। সত্যি বলতে কাছে কোন সিঙ্গেল প্রার্থী ভোট চাইনি। যদি কেউ একবার চাইতো আমি তাকেই দিতাম। কিন্তু কেউ যখন চাইনি আমি একটা দ্বিধায় পড়ে গেলাম ঠিক কী করা যায়। তখন আমার চাচাতো ভাই নাজমুল একটা ভোট চেয়ে নিল। ও বলল মেম্বার পদপ্রার্থী এই ব্যক্তিকে ভোট দিতে। আমি বললাম ঠিক আছে তাকেই দেব। ঐ লোকটা মোটামুটি ভালো ছিল। তাকে যেকোনো কাজের সময় পাওয়া যেত। কিন্তু আমার হাতে আরও দুইটা ভোট এরমধ্যে একটা চেয়ারম্যান এর। এই ভোটটা কাকে দিব তখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। যাইহোক আমি ভোটকেন্দ্রের ভেতরে চলে গেলাম।
ভেতরে গিয়ে দেখলাম আমার এলাকার এবং একজন এজেন্ট ভেতরে বসে আছে। আমাকে দেখে চিনতে পারলো। তবে আমি যে ভোট দিতে যাব সে আশা করেনি। যথারীতি ব্যালট পেপার নিয়ে ভেতরে চলে গেলাম। নাজমুল ভাইয়ের কথামতো ঐ প্রার্থীকে প্রথম ভোট টা দিলাম। এবং বাকি দুইটা ভোট নিজের ইচ্ছা দিয়ে চলে আসলাম। ঐদিন বাকিটা সময় ভোট কেন্দ্রেই ছিলাম আমি। সন্ধ্যার পরে গণনা তখন শেষ। যখন ফলাফল দিল দেখলাম আমি যাকে মেম্বার এর জন্য ভোট দিয়েছি সে নির্বাচিত হয়েছে। অর্থাৎ আমার একটা ভোট কাজে লেগেছে। ঐ দিনটা আমার কাছে বেশ স্মরণীয় হিসেবে ছিল। প্রথমবার ভোট দেওয়ার সেই অনূভুতি ছিল অন্যরকম। সেই দিনের কিছু স্মৃতি এখনও রয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
https://x.com/Emon423/status/1951557000468525538?t=HkY0po8F11kO631DsEAJJg&s=19
https://x.com/Emon423/status/1951557216538095651?t=7dLX_mZAaJpb3wai9Q0iKw&s=19
https://x.com/Emon423/status/1951557376475328735?t=sEWgXM_c4DP7PXiuAOZYbA&s=19
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.