পেছনের গল্প( পর্ব: ৩৭ )!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
পরীক্ষা মানেই সবসময় টেনশনের মধ্যে থাকা। এই টেনশন তো সব ভালো শিক্ষার্থীদের মাঝেও কাজ করে। আর আমার মতো যারা অর্ধ ভালো স্টুডেন্ট আছে। অর্থাৎ লেখাপড়া কম করে কিন্তু রেজাল্ট ভালো চাই তাদের তো এই টেনশন আরও বেশি হয়। আমিও সেইরকমই একজন ছিলাম। চতুর্থ সেমিষ্টার চলছিল তখন। আজ থেকে সাড়ে তিন বছর আগের কথা। মিডটার্ম চলছে। তবে ঐ সেমিষ্টারে মিডটার্ম পরীক্ষায় যেন একপ্রকার যন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। মনে মনে শুধু বলছিলাম পরীক্ষা টা শেষ হলে বেঁচে যায়। পরীক্ষা যেদিন শেষ হলো সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। আমরা চার বন্ধু মিলে পরিকল্পনা করলাম পরীক্ষা যেহেতু শেষ আগামীকাল কোথাও ঘুরতে যাওয়া যাক একটু মজা করা যাক।
পরিকল্পনা করার সময় ছিলাম চারজন। আমি ইকরা নাভিদ এবং তুহিন। ঠিক হলো তাহলে আগামীকাল কাল শুক্রবারে আমরা যাব শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে। যথারীতি সবকিছু ঠিক হলো। পরের দিন শুক্রবার প্রথমে তুহিন বলল ও যেতে পারবে না পরবর্তীতে সেটা বলল ইকরা। কিন্তু আমি এবং নাভিদ দৃঢ় ছিলাম আমরা যাবই। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পরে আমরা বাড়ি থেকে বের হলাম। যেহেতু শুক্রবার ছিল খুব বেশি প্রস্তুতি নেয় নাই। নামাজ পরে পাঞ্জাবি পড়েই চলে গিয়েছিলাম। আমি এবং নাভিদ কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড একসঙ্গে হয়। এরপর দুজন চলে যায় শিলাইদহ এর উদ্দেশ্যে। গিয়েই দেখি অনেক বেশ অনেক মানুষ। শুক্রবার হওয়াই ওখানে মানুষ কিছুটা বেশি ছিল।
আমি এবং নাভিদ টিকিট কেটে ভেতরে যায়। ভেতরের জায়গাটা আমার বরাবরই ভালো লাগে। বেশ দারুণ সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ। চারপাশ টা সামান্য দেখে আমরা বাড়ির ভেতরে চলে যায়। যেখানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন আসবাবপত্র স্মৃতি সহ শিলাইদহে থাকার সময়ে তার ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসপত্র ওখানে ছিল। নিচতলা ঐসব দেখে আমরা উপরে চলে যায়। যেহেতু সেটা অনেক আগে তৈরি। তখনকার সময়ের নির্মাণশৈলি ছিল পুরোপুরি ভিন্ন। উপর থেকে নিচটা দেখতে আরও চমৎকার লাগছিল। উপর থেকে পুরো বিষয়টা আমরা দেখি। তার আগে আমি ঐভাবে কুঠিবাড়ি ঘোরাঘুরির সুযোগ ঐভাবে কখনোই পাইনি। উপরে ঘোরা শেষ করে নিচে এসে বাগানের মধ্যে আমরা চলে যায়।
বেশ কিছুটা দূরেই একটা বিশাল পুকুর ছিল। পুকুরের চারপাশে অনেক গাছপালা। বলতে পারেন অবসরে বসে সময় কাটানোর জন্য ঐ জায়গাটা বেশ দারুণ। পুরো বাড়ির চারদিকে একটা প্রাচীল দেওয়া। পাশেই একটা পল্লবঘন আম্রকানন মানে আর কী আমবাগান। সবমিলিয়ে বেশ অনেক টা সময় আমরা ঘোরাঘুরি করে বাইরের দিকে চলে আসি। বাইরের দিকে ঘোরার জন্য বেশ কিছু জায়গা আছে। সবমিলিয়ে সময় টা আমাদের বেশ দারুণ কেটেছিল। ঐদিন বলতে গেলে আমাদের মস্তিষ্ক বেশ ফ্রি হয়ে যায় । আমরা সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছিলাম। এখন বেশ মনে পড়ে দিনটার কথা। নাভিদের সাথে আজ অনেকদিন ঐভাবে যোগাযোগ নেই। এখন যে যার মতো ব্যস্ত। ইচ্ছা থাকলেও আর যোগাযোগ রাখা হয় না। আর একসঙ্গে হওয়া তো অনেক পরের বিষয়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।