পেছনের গল্প( পর্ব- ৩৩ )!!

in আমার বাংলা ব্লগ5 hours ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ২৬ ই আগষ্ট ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000585217.jpg


পরীক্ষার কথা মাথায় আসলেই যেন একটা চিন্তা ভর করে বসে। সে যতই ভালো শিক্ষার্থী হোক না কেন যতই ভালো প্রিপারেশন নেওয়া থাক না কেন। পরীক্ষা আসলে টেনশন যেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায়। আমিও এটার বাইরে ছিলাম না। সেমিষ্টার ফাইনালের সময়ে শুধু দিন গুনতাম কবে শেষ হবে পরীক্ষা কবে শেষ হবে পরীক্ষা। শেষ পরীক্ষার দিন বেশ আনন্দ হতো। শেষ পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার যে অনূভুতি যে ভালোলাগা সেটা বলে কোনভাবেই আপনাদের বোঝানো যাবে না। আর বোঝানোর মনে হয় না দরকার আছে। আপনারা বেশ ভালোভাবে জানেন সেটা। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা। আমাদের পঞ্চম সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ হয়েছে। তবে তখনও বাকি ব‍্যবহারিক পরীক্ষা। আর আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষার্থীদের জন্য ব‍্যবহারিক পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও ব‍্যবহারিক পরীক্ষা কখনোই খুব বেশি প‍্যারা দেয় না তাত্ত্বিক বিষয়ের মতো। তবে ঐদিন ব‍্যবহারিক পরীক্ষাও শেষ। তারপর মোটামুটি ৮-১০ দিন ছুটি। পরীক্ষা যখন শেষ হলো তখন বিকেল সাড়ে তিনটা চারটা হবে। আমরা কয়েকজন বন্ধু যার মধ্যে ছিল রাসেল, শাওন, তুহিন, মাহফুজ, ইকরা এবং নাভিদ। সবাই মিলে ঠিক করলাম বাড়িতে যাওয়ার আগে চল কোথাও গিয়ে আড্ডা দেওয়া যাক। আমরা হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে। যদিও ওখানে যাওয়ার আরেকটা উদ্দেশ্য ছিল। এবং সেই উদ্দেশ্য টা হলো বরফ গোলা খাওয়া। ঐদিন বেশ গরম পড়েছিল। এবং এই বরফ গোলা বরাবরই আমার বেশ পছন্দের। আমরা কয়েকজন চলে গেলাম। এবং আমাদের জন্য বরফ গোলা তৈরি করতে বললাম।


1000585216.jpg

1000585213.jpg

1000585215.jpg

1000585214.jpg

1000585219.jpg

1000585220.jpg

1000585218.jpg


আমি আমার গোলাতে সবসময় লেবুটা বেশি নিতাম। লেবুর টকস্বাদ টা আমার কাছে ভালো লাগত। আর গরমের মধ্যে গোলা খাওয়া টা একটা প্রশান্তি দিত। শুধু গোলা খাওয়া না। আমরা বন্ধুরা মিলে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে থাকি। তবে সবার কথার মধ্যে একটা প্রশান্তি ছিল। কারণ সেমিষ্টার ফাইনাল শেষ। আগামী মাস থেকে শুরু হবে নতুন সেমিষ্টার। আর ততদিন একেবারেই মুক্ত। বরফ গোলা বেশ কিছুক্ষণ পরে দিল। গোলা খাওয়ার আগে আমরা বন্ধুরা মিলে এভাবে ছবি তুলি। সেই ছবিগুলো এখনও আমি বেশ যত্ম সহকারে রেখে দিয়েছি। গোলা হাতে নিয়ে ছবি তোলার পরে আমরা আমাদের মুখের কাজ করতে থাকি। বেশ কিছুক্ষণ পরে গোলা শেষ হয়। ৬ টা গোলার দাম আসে ১২০ টাকা। আর তখন আমরা সবাই প্রায় বেকার। ঐটা আমাদের কাছে বেশ বড় অ‍্যামাউন্টের টাকা।

যাইহোক আমি নিজে থেকেই অর্ধেক টা দেয়। কারণ গোলা খাওয়ার কথাটা আমিই সবার আগে বলেছিলাম। আমি বাকিদের মধ্যে দুজন দেয় বাকি অর্ধেক। গোলা খাওয়া শেষ। তখন আমাদের বাড়ি ফেরার পালা। আর কী ঠিক করলাম আজ আর বাসে অথবা সিএনজিতে না। আজ সবাই আমরা যাব ইজিবাইকে করে। বেশ ভেতরে বসে আড্ডা দিতে দিতে যাওয়া যাবে। এবং করেছিলামও তাই। আড্ডা দিয়ে সময় কাটিয়ে পরীক্ষার দিনটা বেশ স্মরণীয় করে রেখেছিলাম আমরা। এই ছবিগুলো এখনও সেটার ছাপ রেখে গিয়েছে। এখনও সেই দিনগুলো দারুণ ভাবে স্মরণ করিয়ে দেয়। যদিও তারপর আর ঐভাবে সবাই গোলা খাওয়া হয়নি।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png